Ajker Patrika

লাঠির আঘাতের ১৬ দিন পর মারা গেলেন কলেজছাত্র আইয়ুব

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪: ৪৮
Thumbnail image
কলেজছাত্র আইয়ুব উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে লাঠির আঘাতে আহত কলেজছাত্র ১৬ দিন পর মারা গেছেন। আজ শনিবার ভোররাত ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে ২২ নভেম্বর রাতে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ডিককুলপাড়ায় হামলার স্বীকার হন তিনি।

নিহত কলেজছাত্রের নাম আইয়ুব উদ্দীন (২৪)। তিনি ওই ইউনিয়নের স্কুলপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোছাইনের ছেলে। আইয়ুব ডুলাহাজারা ডিগ্রি কলেজ থেকে সদ্য এইচএসসি পাস করেছেন।

বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইয়াছিন মিয়া।

চকরিয়া থানা-পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, ২২ নভেম্বর কৈয়ারবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বন্ধুদের নিয়ে সমিতি সংক্রান্ত কথাবার্তা বলছিলেন। এ সময় মোবাইল ফোনে কল দিয়ে আইয়ুবকে ইউনিয়নের ডিককুলপাড়ায় ডাকেন ওয়াহিদ নামের এক যুবক। আইয়ুব, আরাফাত ও আব্দুর রহমানসহ ৫ জন যুবক সেখানে যায়।

সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা মিনার ও জসিমের নেতৃত্বে আরও ৬-৭ জন যুবক আইয়ুবকে ঘিরে ফেলেন। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মাথায় লাঠির আঘাতে আইয়ুব গুরুতর আহত হয়। তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে সঙ্গে থাকা আব্দুর রহমান (২৩) ও মো. আরাফাত (২৪) আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেকে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।

আইয়ুবের বাবা আনোয়ার হোছাইন (৬৯) কান্নাজনিত কণ্ঠে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ছেলেকে মিনার, জসিম ও ওয়াহিদসহ আরও কয়েকজন ফোন করে ডেকে নিয়ে, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তাঁদের মধ্যে কী দ্বন্দ্ব ছিল সেটা আমার জানা নাই। আমি আমার ছেলে খুনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইয়ুব খেত-খামারে কাজ করার পাশাপাশি লেখাপাড়া করে এইচএসসি পাস করেছে। পরিবারের হাল ধরেছিল। ইচ্ছা ছিল, লেখাপাড়া করে চাকরি করবেন। এক লাঠির আঘাতে আমাদের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইয়াছিন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার পর নিহত আইয়ুব উদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছিল। তদন্ত শেষে মামলা করার জন্য তাঁদের ডাকা হলে, তাঁরা সামাজিকভাবে মীমাংসা করার কথা বলে আসেননি। লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত