প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শিলকুপ ইউনিয়নের জামায়াতের রোকন কাজী নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য বেদারুল হক চৌধুরী। আজ সোমবার বিকেলে অক্সিজেনস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি। জামায়াত নেতা কাজী নুর মোহাম্মদ অভিযোগকারী ওই সাবেক সেনা সদস্যের আত্মীয় হন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাবেক সেনাবাহিনীর সদস্য বেদারুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ৩ ভাই ৪ বোন। বোনেরা শ্বশুর বাড়িতে থাকে। ১৯৯৯ সালে আমার বাবা মারা যান। আমার মা বয়োবৃদ্ধ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি আমার মা একটি জায়গা বিক্রি করে ৪০ লাখ ২৮ হাজার পান। আমরা ভাই-বোন সবাই মোরশী ও ক্রয় করা জমি বিক্রি করে যার যার টাকা গ্রহণ করি। আমার মা জায়গা বিক্রির টাকাগুলো ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বাঁশখালী শাখায় জমা রেখে চেক বই গ্রহণ করেন। আমার মার টাকার ওপর বড় বোন ফরিদা ও তাঁর স্বামী জামায়াত নেতা কাজী নুর মোহাম্মদ ও তাঁর ছেলে কাজী শাহরিয়ারের কুদৃষ্টি পড়ে। পরে তাঁরা আমার অসুস্থ মাকে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়িতে নিয়ে যায়। ওখানে যাওয়ার সময় মা চেক বই সঙ্গে নিয়ে যায়। পরে আমার বোন ফরিদা খানম মাকে বলে আমাকে ৩০ হাজার টাকা দেন, আমার ছেলে কাজী শাহরিয়ার বেতন পেলে দিয়ে দিব। আমার মা সরল বিশ্বাসে একটি ব্যাংক চেকে টিপসই দেন। পরে চেক ভুল হয়েছে বলে আরও দুটি চেকে টিপসই নেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাঁরা মাকে ব্যাংকে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাঁরা মায়ের ৩০ হাজার টাকা তোলার পরিবর্তে ৩৬ লাখ টাকা ফরিদা খানের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করিয়ে নেয়। কিছুদিন পর আমি আমার মায়ের টাকাগুলো এফডিআর করতে ব্যাংক অফিসারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে যাই। আমার মায়ের ৪০ লাখ ২৮ হাজার টাকার স্থলে ২ লাখ টাকা ব্যালেন্স দেখতে পাই। পরে যাচাই করে দেখি টাকাগুলো ফরিদা খানমের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে।'
বেদারুল হক চৌধুরী বলেন আরও বলেন, ‘মাকে বিষয়টি বললে মা হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে এবং এক পর্যায়ে হার্ট অ্যাটাক করে। পরে মাকে চট্টগ্রামে মেডিকেলে ভর্তি করি। সেখান থেকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর মাকে বাসায় নিয়ে আসি। পরে মা বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বাঁশখালী থানাকে তদন্ত দিলে থানা সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেছে বলে একটি তদন্ত রিপোর্ট দেয়। থানা দু’পক্ষকে ডাকলে ফরিদা গং টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে স্বীকার করে। টাকাগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে মাকে পরিশোধ করবে বলে অঙ্গীকার করে। পরে আমরা মায়ের টাকাগুলো চাইতে গেলে টাকা না দিয়ে উল্টো আমাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি-দমকি দিচ্ছে। সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমাদের গুম করারও হুমকি দিচ্ছে। পরে তারা আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতাই ভুগছি। আমি আমার মায়ের টাকাগুলো উদ্ধার করার জন্য প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছি।'
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনা সদস্য বেদারুল হক চৌধুরীর, তাঁর বড় ভাই দিদারুল হক চৌধুরী, তাঁর ছেলে এম মুসফিকুল হক চৌধুরী ও রবিউল ইসলাম।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শিলকুপ ইউনিয়নের জামায়াতের রোকন কাজী নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য বেদারুল হক চৌধুরী। আজ সোমবার বিকেলে অক্সিজেনস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি। জামায়াত নেতা কাজী নুর মোহাম্মদ অভিযোগকারী ওই সাবেক সেনা সদস্যের আত্মীয় হন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাবেক সেনাবাহিনীর সদস্য বেদারুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ৩ ভাই ৪ বোন। বোনেরা শ্বশুর বাড়িতে থাকে। ১৯৯৯ সালে আমার বাবা মারা যান। আমার মা বয়োবৃদ্ধ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি আমার মা একটি জায়গা বিক্রি করে ৪০ লাখ ২৮ হাজার পান। আমরা ভাই-বোন সবাই মোরশী ও ক্রয় করা জমি বিক্রি করে যার যার টাকা গ্রহণ করি। আমার মা জায়গা বিক্রির টাকাগুলো ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বাঁশখালী শাখায় জমা রেখে চেক বই গ্রহণ করেন। আমার মার টাকার ওপর বড় বোন ফরিদা ও তাঁর স্বামী জামায়াত নেতা কাজী নুর মোহাম্মদ ও তাঁর ছেলে কাজী শাহরিয়ারের কুদৃষ্টি পড়ে। পরে তাঁরা আমার অসুস্থ মাকে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়িতে নিয়ে যায়। ওখানে যাওয়ার সময় মা চেক বই সঙ্গে নিয়ে যায়। পরে আমার বোন ফরিদা খানম মাকে বলে আমাকে ৩০ হাজার টাকা দেন, আমার ছেলে কাজী শাহরিয়ার বেতন পেলে দিয়ে দিব। আমার মা সরল বিশ্বাসে একটি ব্যাংক চেকে টিপসই দেন। পরে চেক ভুল হয়েছে বলে আরও দুটি চেকে টিপসই নেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাঁরা মাকে ব্যাংকে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাঁরা মায়ের ৩০ হাজার টাকা তোলার পরিবর্তে ৩৬ লাখ টাকা ফরিদা খানের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করিয়ে নেয়। কিছুদিন পর আমি আমার মায়ের টাকাগুলো এফডিআর করতে ব্যাংক অফিসারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে যাই। আমার মায়ের ৪০ লাখ ২৮ হাজার টাকার স্থলে ২ লাখ টাকা ব্যালেন্স দেখতে পাই। পরে যাচাই করে দেখি টাকাগুলো ফরিদা খানমের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে।'
বেদারুল হক চৌধুরী বলেন আরও বলেন, ‘মাকে বিষয়টি বললে মা হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে এবং এক পর্যায়ে হার্ট অ্যাটাক করে। পরে মাকে চট্টগ্রামে মেডিকেলে ভর্তি করি। সেখান থেকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর মাকে বাসায় নিয়ে আসি। পরে মা বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বাঁশখালী থানাকে তদন্ত দিলে থানা সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেছে বলে একটি তদন্ত রিপোর্ট দেয়। থানা দু’পক্ষকে ডাকলে ফরিদা গং টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে স্বীকার করে। টাকাগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে মাকে পরিশোধ করবে বলে অঙ্গীকার করে। পরে আমরা মায়ের টাকাগুলো চাইতে গেলে টাকা না দিয়ে উল্টো আমাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি-দমকি দিচ্ছে। সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমাদের গুম করারও হুমকি দিচ্ছে। পরে তারা আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতাই ভুগছি। আমি আমার মায়ের টাকাগুলো উদ্ধার করার জন্য প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছি।'
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনা সদস্য বেদারুল হক চৌধুরীর, তাঁর বড় ভাই দিদারুল হক চৌধুরী, তাঁর ছেলে এম মুসফিকুল হক চৌধুরী ও রবিউল ইসলাম।
টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।
৩৩ মিনিট আগে১০০ শয্যার ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৮০০ রোগী সেবা নিয়ে থাকে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এখানে চিকিৎসার জন্য আসে। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে দালাল চক্রের সক্রিয়তার কারণে তাদের ভোগান্তিতে পড়া নিত্যদিনের চিত্র হয়ে উঠেছে।
৩৭ মিনিট আগেগাইবান্ধা শহরে ৯৩টি বিদ্যুতের খুঁটির জন্য ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পথচারী, যাত্রী ও যানবাহনের চালকেরা। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাঁদের। জানা গেছে, বিদ্যুৎ বিভাগকে টাকা দেওয়ার পরও সড়কে থাকা ৪৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি এখনো সরানো হয়নি। জেলা শহরের পশ্চিমে পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে পূর্বে
৪২ মিনিট আগেবুধবার (১৮ জুন) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ও চিকিৎসক জোবাইদা রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে খুলনার তেরখাদার ইখরিতে স্থানীয় আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া তারবিয়াতুল উম্মাহ কওমি মহিলা মাদ্রাসা এতিমখানায় কোরআন খতম ও খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে