কুমিল্লা প্রতিনিধি
আত্মীয়ের জানাজায় যাওয়ার পথে কুমিল্লা নোয়াখালী মহাসড়কের লাকসাম এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী ও মেয়েসহ একই পরিবারের চার সদস্য মারা যান। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর নিঃস্ব হয়ে পড়েছে নিহত দম্পতির তিন মেয়ে। দুর্ঘটনার পর স্বজনদের নিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজি চালিত অটোরিকশা দেখতে এসেছে তারা।
জানা যায়, কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পরতি গ্রামের অটোরিকশা চালক বাহালুল আলম, তাঁর স্ত্রী, শিশু কন্যা ও তার শাশুড়িসহ ভোরে সিএনজিতে করে রওনা হয়েছিলেন ফেনীর দাগভুইয়ায়। সেখানে তাঁদের এক আত্মীয়ের জানাজায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পথেই লাকসাম এলাকায় কুমিল্লামুখী বিআরটিসি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় সিএনজিটির। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বাহালুল ও তাঁর শাশুড়ি। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তাঁর স্ত্রী ও শিশু কন্যা। বাবা, মা ও বোনকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ অটোরিকশাচালক বাহালুলের তিন মেয়ে। পরিবারের সকল আশ্রয় বাবা, মা ও আদরের ছোট বোনকে হারিয়েছে তারা।
নিহত অটোরিকশা চালক বাহালুল মিয়ার বড় মেয়ে ফাতেমা আক্তার স্থানীয় পরতি ফাজিম মাদ্রাসায় আলিম বর্ষের শিক্ষার্থী, মেজ মেয়ে মরিয়ম আক্তার পরতি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও আরেক মেয়ে হাজেরা বেগম পরতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে।
বড় মেয়ে ফাতেমা আক্তার জানান, সকাল ভোরে ছোট বোনকে নিয়ে বাবা মা ফেনীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রওনা হয়েছিলেন। জানাজায় অংশ নিয়ে বিকেলে ফেরার কথা তাদের। অথচ বিকেলে তাদেরই জানাজা হচ্ছে। এর চেয়ে বড় কষ্ট পৃথিবীতে কি হতে পারে।
নিহত বাহালুলের জ্যাঠাতো ভাই ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘তাঁর চার মেয়ে ছিল। এক মেয়ে, স্ত্রীসহ সে মারা যাওয়ায় তিন মেয়েকে দেখার আর কেউ রইল না। অটো চালিয়ে কোনো রকম দিন যাপন করত বেলাল। সহায় সম্বল কিছু নেই।’
নিহত বাহালুলের স্বজন মাহবুব আলম বলেন, ‘আমাদের দাবি, পরিবারটিকে যেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।’
লাকসাম হাইওয়ে ক্রসিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাকসুদ আহাম্মদ জানান, কুমিল্লা নোয়াখালী মহাসড়কের এক লেনে নির্মাণকাজ চলতে থাকায় অপর লেনেই চলছিল দুই পথের চলাচল। এ ছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে আহত সিএনজি চালক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আত্মীয়ের জানাজায় যাওয়ার পথে কুমিল্লা নোয়াখালী মহাসড়কের লাকসাম এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী ও মেয়েসহ একই পরিবারের চার সদস্য মারা যান। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর নিঃস্ব হয়ে পড়েছে নিহত দম্পতির তিন মেয়ে। দুর্ঘটনার পর স্বজনদের নিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজি চালিত অটোরিকশা দেখতে এসেছে তারা।
জানা যায়, কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পরতি গ্রামের অটোরিকশা চালক বাহালুল আলম, তাঁর স্ত্রী, শিশু কন্যা ও তার শাশুড়িসহ ভোরে সিএনজিতে করে রওনা হয়েছিলেন ফেনীর দাগভুইয়ায়। সেখানে তাঁদের এক আত্মীয়ের জানাজায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পথেই লাকসাম এলাকায় কুমিল্লামুখী বিআরটিসি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় সিএনজিটির। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বাহালুল ও তাঁর শাশুড়ি। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তাঁর স্ত্রী ও শিশু কন্যা। বাবা, মা ও বোনকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ অটোরিকশাচালক বাহালুলের তিন মেয়ে। পরিবারের সকল আশ্রয় বাবা, মা ও আদরের ছোট বোনকে হারিয়েছে তারা।
নিহত অটোরিকশা চালক বাহালুল মিয়ার বড় মেয়ে ফাতেমা আক্তার স্থানীয় পরতি ফাজিম মাদ্রাসায় আলিম বর্ষের শিক্ষার্থী, মেজ মেয়ে মরিয়ম আক্তার পরতি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও আরেক মেয়ে হাজেরা বেগম পরতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে।
বড় মেয়ে ফাতেমা আক্তার জানান, সকাল ভোরে ছোট বোনকে নিয়ে বাবা মা ফেনীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রওনা হয়েছিলেন। জানাজায় অংশ নিয়ে বিকেলে ফেরার কথা তাদের। অথচ বিকেলে তাদেরই জানাজা হচ্ছে। এর চেয়ে বড় কষ্ট পৃথিবীতে কি হতে পারে।
নিহত বাহালুলের জ্যাঠাতো ভাই ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘তাঁর চার মেয়ে ছিল। এক মেয়ে, স্ত্রীসহ সে মারা যাওয়ায় তিন মেয়েকে দেখার আর কেউ রইল না। অটো চালিয়ে কোনো রকম দিন যাপন করত বেলাল। সহায় সম্বল কিছু নেই।’
নিহত বাহালুলের স্বজন মাহবুব আলম বলেন, ‘আমাদের দাবি, পরিবারটিকে যেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।’
লাকসাম হাইওয়ে ক্রসিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাকসুদ আহাম্মদ জানান, কুমিল্লা নোয়াখালী মহাসড়কের এক লেনে নির্মাণকাজ চলতে থাকায় অপর লেনেই চলছিল দুই পথের চলাচল। এ ছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে আহত সিএনজি চালক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
৬০১ কোটি টাকার প্রকল্প। ১০ ভবনে নির্মিত হয়েছে ৭৩৬ আবাসিক ফ্ল্যাট। সময় পাঁচ বছরও গড়ায়নি, এরই মধ্যে ফ্ল্যাটগুলোতে থাকার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ, ক্রমেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে এসব ফ্ল্যাট। কোনো ভবনে ফাটল ধরেছে, টোকা দিলেই খসে পড়ছে প্লাস্টার। কোথাও আবার বৃষ্টি হলেই ছাদ
৪ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার ঘটনা নিয়ে আরও দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ভিডিও নতুন নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ফলে পুলিশ শুরু থেকে ঘটনার পেছনে ‘হানি ট্র্যাপে’র যে কথা বলছে, তার বাইরে আরও কারণ
৪ ঘণ্টা আগেবগুড়ার শাজাহানপুর থানা-পুলিশ ১ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে টেঙ্গামাগুর এলাকা থেকে রনি আহমেদ নামের এক যুবককে আটক করে। পরদিন তাঁকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, টহল পুলিশ দেখে ওই যুবক পালানোর সময় তাঁকে আটক করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ায় গত দেড় দশকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যার ডজনখানেক ঘটনা ঘটেছে। তবে অধিকাংশ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখেনি। বেশির ভাগ মামলাই ক্ষমতাসীনদের চাপে মাঝপথে থমকে গেছে। বেশ কয়েকটি মামলা তদন্ত পর্যায়ে আটকে রয়েছে। মানবাধিকার ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোর দাবি, বিচারহীনতার এ সংস্কৃতি অপরাধীদের আরও
৫ ঘণ্টা আগে