Ajker Patrika

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, বসবে, গ্রেপ্তার করবে: জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৩
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের আমিরে জামায়াত যদি থাকতেন (মিটিংয়ে), তাহলে আমি বলতাম, নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে হয় না। আমি ন্যাশনালি বলব না, যার যার নির্বাচনী এলাকায়, প্রশাসনে যারা আছে, তাদেরকে (প্রশাসনকে) অবশ্যই অবশ্যই (পরপর দুবার) আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে।’

শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর জন্য আজকের এই সুযোগ ভবিষ্যতে আর আসবে না। (দেশের) দুর্নীতির টাকা বাদ দেন, পার্শ্ববর্তী দেশ হিন্দুস্তান থেকে বস্তা বস্তা টাকা দেশে ঢুকবে। আর অস্ত্র ঢুকবে।’

শনিবার (২২ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে জামায়াতের চট্টগ্রামের নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তাঁর এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিক্রিয়া হয় ব্যাপকভাবে।

বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মদ শাহজাহানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রাইমারি স্কুলের মাস্টারকে দাঁড়িপাল্লার কথা বলতে হবে। উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষককে দাঁড়িপাল্লার কথা বলতে হবে। পুলিশকে আপনার পেছনে পেছনে হাঁটতে হবে। ওসি সাহেব আপনার কী প্রোগ্রাম সকাল বেলায় জেনে নেবে, আর আপনাকে প্রটোকল দেবে।’

শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘আমি আমার দক্ষিণ জেলায় অনেককে সহযোগিতা করেছি। তখন ক্যান্ডিডেট হিসেবে আমার নামও ঘোষণা করা হয়নি। জনগণের অভাব, অভিযোগ, চাহিদা বুঝতে হবে। আমার এলাকায় ডেকোরেশনের বয়দের নিয়ে সম্মেলন হয়েছে। অনেক এলাকায় হয়নি। আমরা তো তাদের ভোটারই মনে করতেছি না। সবাইকে নিয়ে সম্মেলন করতে হবে।’

জামায়াত নেতা বলেন, ‘আমাকে মাফ করবেন, নির্বাচন সংগঠন নয়। সংগঠন অবশ্যই লাগবে। সংগঠন আমাদের মৌলিক ভিত্তি। সংগঠনই আমাদের একমাত্র ধারক এবং বাহক। কিন্তু জনগণকে যদি জায়গা দিতে না পারেন, তাহলে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া কঠিন। যেমন বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার শুধু আওয়ামী লীগের লোক নিয়ে দেশ শাসন করতে চেয়েছে। জনগণকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তাই জনতার আন্দোলনের মাঝে আওয়ামী লীগের নেতারা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।’

বক্তব্যের বিষয়ে জানতে জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীকে কল দিলে সাড়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জানতে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহানের মোবাইলে কল করা হলে সংযোগ মেলেনি।

১৯৯১ সালে শাহজাহান চৌধুরী চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ১৯৯৬ সালে তৎকালীন প্রভাবশালী বিএনপি নেতা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদ তাঁকে হারিয়ে আসনটির নিয়ন্ত্রণ নেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি আসনটি জামায়াতকে ছেড়ে দিলেও অনড় অবস্থান নেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অলি আহমদ। অলিকে মানাতে না পেরে বিএনপি আসনটি উন্মুক্ত রাখে। নির্বাচনে অলি আহমদকে হারিয়ে শাহজাহান চৌধুরী সবাইকে চমকে দেন।

২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী জরুরি অবস্থায় দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি মামলায় আসামি হওয়া নিয়ে জটিলতায় নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাহজাহান চৌধুরীকে প্রার্থী করেনি জামায়াত। যদিও মামলাটিতে পরবর্তী সময়ে খালাস পেয়েছিলেন তিনি। ওইবার আসনটিতে তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির শামসুল ইসলাম প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিলামে নির্ধারিত পরিমাণের অতিরিক্ত বালু বিক্রি বন্ধ

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি 
নিলামে নির্ধারিত পরিমাণের অতিরিক্ত বালু বিক্রি বন্ধ

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের শৈলধুকড়ী গ্রামে বাঙ্গালী নদী খননজনিত স্তূপ করা নিলামে নির্ধারিত বালুর অতিরিক্ত বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গতকাল শনিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ নির্দেশ দেন। বর্তমানে স্থানে তিনটি খননযন্ত্র রয়েছে। নতুন করে কোনো ট্রাক বালু নিতে প্রবেশ করতে পারছে না।

তবে নিলামপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান বলছেন, বালু বিক্রি বন্ধের খবর সঠিক নয়। এর আগে ২০ নভেম্বর জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘বালুতে নষ্ট কোটি টাকার রাস্তা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

পানি উন্নয়ন বিভাগের নিলাম-সম্পর্কিত ২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবরের কার্যাদেশ অনুযায়ী, নদী খননের ৮ লাখ ৩২ হাজার ৫৪১ ঘনফুট বালু ‘মেসার্স মাসুদ কনস্ট্রাকশন’-এর মালিক মাসুদুজ্জামানকে ৬ লাখ ২৪ হাজার ৯২৬ টাকায় বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রথম কার্যাদেশে ২৮ অক্টোবর ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৫ সালের মধ্যে বালু অপসারণের নির্দেশ ছিল। পরে ২০২৫ সালের ২৯ জুন আরেক আদেশে সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে কত ঘনফুট বালু অপসারণ হয়েছে বা বাকি আছে, তা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি।

প্রথম কার্যাদেশে আটটি এবং দ্বিতীয় কার্যাদেশে নয়টি শর্ত ছিল। উভয় কার্যাদেশের ৪ নম্বর শর্তে বলা হয়েছে, বালু পরিবহনের কারণে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে নিলামগ্রহীতা নিজ খরচে তা মেরামত করবেন। দ্বিতীয় কার্যাদেশের ৮ নম্বর শর্তে শর্তভঙ্গের ক্ষেত্রে নিলাম বাতিলসহ ‘বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০’ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। এলাকার পাশের আরও একটি স্থান থেকে নিলামে ২ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট বালু নিয়ে বিক্রি করছেন উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মাশফিকুর রহমান মামুন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিলামপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান এখন পর্যন্ত এক কোটি ঘনফুটের বেশি বালু বিক্রি করেছেন। এতে এলাকার কাঁচা-পাকা কোটি টাকার রাস্তা নষ্ট হয়েছে। ধুলাবালুতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তাঁরা জানান, গতকাল রাত থেকে বালু পরিবহন বন্ধ হয়েছে এবং স্তূপের ওপর তিনটি খননযন্ত্র রয়েছে।

এ বিষয়ে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাইফুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গতকাল রাতে ওই এলাকার অতিরিক্ত বালু বিক্রি ও বহন বন্ধ করতে বলা হয়েছে। বগুড়া পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘বিষয়টি জানার জন্য অফিস থেকে লোক পাঠানো হয়েছিল। চলতি সপ্তাহে আমি নিজে সেখানে পরিদর্শনে যাব। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয় পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী। আমরা ৮ লাখ ৩২ হাজার ৫৪১ ঘনফুটের বেশি বালু নিলামে দিইনি। এর বেশি কেউ বিক্রি করলে তার দায় আমাদের নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা নারীসহ আটক ২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়-পাসপোর্ট-অফিস । ছবি: সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়-পাসপোর্ট-অফিস । ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা তরুণীসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। আজ রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলো হাজেরা বেগম (১৭)। সে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মুক্তার আহমদের মেয়ে। অপরজন জেলার সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা এলাকার বাসিন্দা ইমন মিয়া (১৮)।

জানা যায়, জেলার সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের বাসিন্দা ঈমান মিয়া রোহিঙ্গা তরুণী হাজেরা বেগমকে একই উপজেলার কালিকচ্ছ ইউপির ঘোষপাড়া গ্রামের কালন মিয়ার মেয়ে সুফিয়া আক্তার নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে আসেন। এ সময় পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামানে সন্দেহ হলে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানায়, দুপুরে রোহিঙ্গা তরুণী ব্রাহ্মণবাড়িয়া অফিসে পাসপোর্ট করতে আসে। বয়স কম হওয়ায় এই তরুণীকে অভিভাবকের কথা বলায় সে অসংগতিপূর্ণ কথাবার্তা বলে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার সঙ্গে থাকা কাগজপত্র দেখা যায়, তার জন্মনিবন্ধন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের। তবে জন্মনিবন্ধনে স্থায়ী ঠিকানা রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ঘোষপাড়া গ্রামের কালন মিয়ার মেয়ে সুফিয়া আক্তারের।

ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানায়, সে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের। তার আসল নাম হাজেরা বেগম। একটি প্রতারক চক্র তাকে পাসপোর্ট করিয়ে দিয়ে দেবে বলে পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে আসে। পরে রোহিঙ্গা তরুণীকে আটক করার পরে ঈমান মিয়া নামে একজন ভাই পরিচয়ে আসেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে দেখা যায়, পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে যোগসাজশ রয়েছে তাঁর। পরে দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাবিতে ভর্তির রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন

জাবি প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম চলবে আগামী ৭ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। গতকাল শনিবার বিকেলে প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে হবে। আগামী ৭ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।’

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) এ বছরের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। ভর্তি-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (ju-admission.org) পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে দপ্তরটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইআইটির পরিচালক অধ্যাপক ড. রিসালা তাসিন খান জানান, ভর্তিপদ্ধতি সহজ, সুষ্ঠু ও প্রযুক্তিনির্ভর রাখতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ২১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জামিন পেলেন আসাম থেকে পুশ ইন হওয়া ভারতীয় নাগরিক সখিনা বেগম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
১০ নভেম্বর শুনানির জন্য কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে আসা হয় সখিনা বেগমকে। ছবি: পারভেজ আহমেদ রনি
১০ নভেম্বর শুনানির জন্য কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে আসা হয় সখিনা বেগমকে। ছবি: পারভেজ আহমেদ রনি

পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের মামলায় ভারতীয় নাগরিক সখিনা বেগমকে (৬৮) জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন তাঁকে জামিন দেন।

আসামি সখিনা বেগমের পক্ষে আইনজীবী রহমাতুল্যাহ সিদ্দিক জামিন চেয়ে শুনানি করেন। তিনি আদালতকে বলেন, সখিনা বেগম ইচ্ছে করে এ দেশে আসেননি, জোর করে তাঁকে পাঠানো হয়েছে। তা ছাড়া এ মামলার ধারা জামিনযোগ্য। শুনানি শেষে আদালত তাঁকে জামিন দেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য ‘দ্য কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট, ১৯৫২’-এর অধীনে সখিনার বিরুদ্ধে পুলিশ একটি মামলা করে।

এফআইআরে (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী) বলা হয়েছে, পুলিশ ভাষানটেক বস্তি এলাকার একটি গলির প্রবেশপথ থেকে সখিনাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তাঁর বাড়ি ভারতের আসামে বলে জানান। তিনি কিছু বাংলা ও তাঁর আঞ্চলিক অসমীয়া ভাষা বলতে পারলেও পাসপোর্ট বা ভিসা দেখাতে পারেননি। পুলিশের অভিযোগে আরও বলা হয়, সখিনা কীভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন বা ঢাকার ভাষানটেক এলাকায় পৌঁছেছেন, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। এরপর তাঁকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরপর কয়েক দফা জামিন আবেদন করা হলেও তা নাকচ হয়। সর্বশেষ ১০ নভেম্বর সখিনাকে আদালতে হাজির করা হলে সেদিনও জামিন নামঞ্জুর হয়। জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর তিনি আদালতের হাজতখানায় অঝোরে কাঁদতে থাকেন।

বাংলাদেশি ও ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আসামের নলবাড়ি জেলার বারকুরা গ্রামের বাসিন্দা সখিনা বেগমকে গত মে মাসে তাঁর বাড়ি থেকে হেফাজতে নেয় আসাম পুলিশ। এরপর তিনি দীর্ঘদিন নিখোঁজ ছিলেন এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না। পরে জুনের প্রথম সপ্তাহে সখিনাকে ঢাকার মিরপুর ভাষানটেক এলাকায় রাস্তার পাশে একজন পথচারী খুঁজে পান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত