Ajker Patrika

নিলামে নির্ধারিত পরিমাণের অতিরিক্ত বালু বিক্রি বন্ধ

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি 
নিলামে নির্ধারিত পরিমাণের অতিরিক্ত বালু বিক্রি বন্ধ

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের শৈলধুকড়ী গ্রামে বাঙ্গালী নদী খননজনিত স্তূপ করা নিলামে নির্ধারিত বালুর অতিরিক্ত বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গতকাল শনিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ নির্দেশ দেন। বর্তমানে স্থানে তিনটি খননযন্ত্র রয়েছে। নতুন করে কোনো ট্রাক বালু নিতে প্রবেশ করতে পারছে না।

তবে নিলামপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান বলছেন, বালু বিক্রি বন্ধের খবর সঠিক নয়। এর আগে ২০ নভেম্বর জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘বালুতে নষ্ট কোটি টাকার রাস্তা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

পানি উন্নয়ন বিভাগের নিলাম-সম্পর্কিত ২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবরের কার্যাদেশ অনুযায়ী, নদী খননের ৮ লাখ ৩২ হাজার ৫৪১ ঘনফুট বালু ‘মেসার্স মাসুদ কনস্ট্রাকশন’-এর মালিক মাসুদুজ্জামানকে ৬ লাখ ২৪ হাজার ৯২৬ টাকায় বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রথম কার্যাদেশে ২৮ অক্টোবর ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৫ সালের মধ্যে বালু অপসারণের নির্দেশ ছিল। পরে ২০২৫ সালের ২৯ জুন আরেক আদেশে সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে কত ঘনফুট বালু অপসারণ হয়েছে বা বাকি আছে, তা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি।

প্রথম কার্যাদেশে আটটি এবং দ্বিতীয় কার্যাদেশে নয়টি শর্ত ছিল। উভয় কার্যাদেশের ৪ নম্বর শর্তে বলা হয়েছে, বালু পরিবহনের কারণে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে নিলামগ্রহীতা নিজ খরচে তা মেরামত করবেন। দ্বিতীয় কার্যাদেশের ৮ নম্বর শর্তে শর্তভঙ্গের ক্ষেত্রে নিলাম বাতিলসহ ‘বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০’ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। এলাকার পাশের আরও একটি স্থান থেকে নিলামে ২ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট বালু নিয়ে বিক্রি করছেন উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মাশফিকুর রহমান মামুন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিলামপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান এখন পর্যন্ত এক কোটি ঘনফুটের বেশি বালু বিক্রি করেছেন। এতে এলাকার কাঁচা-পাকা কোটি টাকার রাস্তা নষ্ট হয়েছে। ধুলাবালুতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তাঁরা জানান, গতকাল রাত থেকে বালু পরিবহন বন্ধ হয়েছে এবং স্তূপের ওপর তিনটি খননযন্ত্র রয়েছে।

এ বিষয়ে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাইফুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গতকাল রাতে ওই এলাকার অতিরিক্ত বালু বিক্রি ও বহন বন্ধ করতে বলা হয়েছে। বগুড়া পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘বিষয়টি জানার জন্য অফিস থেকে লোক পাঠানো হয়েছিল। চলতি সপ্তাহে আমি নিজে সেখানে পরিদর্শনে যাব। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয় পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী। আমরা ৮ লাখ ৩২ হাজার ৫৪১ ঘনফুটের বেশি বালু নিলামে দিইনি। এর বেশি কেউ বিক্রি করলে তার দায় আমাদের নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ