Ajker Patrika

খুলনায় রেললাইনে অবরোধ, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনায় ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনায় রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করার কারণে আড়াই ঘণ্টা রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে রাজশাহীগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যেতে পারেনি। অপর দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সুন্দরবন এক্সপ্রেস দৌলতপুর রেলস্টেশনের কাছে আটকে রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার্থীদের আহ্বানে আজ রোববার দুপুর থেকে নগরীর দৌলতপুরস্থ বিএল কলেজের সামনের রেললাইনের ওপর অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই অবরোধ কর্মসূচি চলার ফলে খুলনা থেকে রাজশাহীগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনটি খুলনা স্টেশন থেকে ছাড়েনি। বিকেল ৪টা থেকে ট্রেনটি যাত্রী নিয়ে খুলনা রেলস্টেশনে আটকে আছে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আড়াই ঘণ্টা আটকে থাকা যাত্রীদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

এদিকে সন্ধ্যার পর শিক্ষার্থীরা বিসিএসর অ্যাডমিট কার্ড পোড়ানো কর্মসূচি পালন করেন।

আন্দোলনকারীরা বলেন, অতীতেও বিসিএসের জন্য যৌক্তিক সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ৪৭তম বিসিএসের জন্য মাত্র দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ঢাকাসহ সারা দেশে যে আন্দোলন চলছে, তার সঙ্গে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীরা এ রেল অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের দাবি বাস্তবায়ন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে তাঁরা জানান।

এদিকে সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে খুলনা রেলস্টেশন মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম খান বলেন, ‘এখনো অবরোধ চলছে। তবে সন্ধ্যা ৭টার পর ঢাকা থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের নির্দেশনা আসতে পারে। আমরা সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। আপাতত ট্রেন চলছে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

থানার গেটের সামনে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ

শেরপুর প্রতিনিধি
শ্রীবরদী থানার সামনে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
শ্রীবরদী থানার সামনে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেরপুরের শ্রীবরদীতে আওয়ামী লীগের মশাল মিছিলের ঘটনায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় জামায়াত নেতাকে আসামি করায় থানা গেটে বিক্ষোভ করেছে জামায়াতে ইসলামী। আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মো. নুরুজ্জামান বাদলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ হয়।

জানা গেছে, শ্রীবরদী মধ্যবাজারে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী কার্যালয়ের সামনে মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা থানা গেটে গিয়ে দাঁড়ান। পরে মো. নুরুজ্জামান বাদলসহ জামায়াতের সিনিয়র নেতারা শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল আজমের কক্ষে যান এবং তাঁকে ঘটনার বিস্তারিত জানান। পরে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম মোবাইল ফোনে নুরুজ্জামান বাদলের সঙ্গে কথা বলে আগামী দুই দিনের মধ্যে বিষয়টির সুরাহার আশ্বাস দেন। এরপর জামায়াত নেতারা বিক্ষোভ তুলে নেন।

জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. নুরুজ্জামান বাদল বলেন, ‘আমাদের কর্মীদের প্রতিপক্ষরা বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় যে তোমরা যারা দাঁড়িপাল্লার পক্ষে কাজ করবে, তাদের নামে মামলা দেওয়া হবে, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। ২১ নভেম্বর শেষ রাতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ব্যানারে মশাল মিছিল হয়েছে। ওই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় শ্রীবরদী পৌর জামায়াতের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুব শাখার সভাপতি আলমাস হোসাইনের নাম ঢোকানো হয়েছে। এই বিষয়েই আমরা থানায় এসেছিলাম। শেরপুরের পুলিশ সুপার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে তদন্ত করে আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া যায়, সেটি দেখবেন। উনাদের সহযোগিতামূলক আচরণের জন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

জামায়াত নেতা আরও বলেন, ‘এ আসনের নির্বাচন নিঃসন্দেহে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হবে। আমার প্রতিপক্ষ বিএনপির যিনি প্রার্থী রয়েছেন, তিনি হেভিওয়েট ও তিনবারের সংসদ সদস্য। আমরা একসঙ্গে রাজনীতি করেছি। তিনিও একজন ভালো মানুষ। তারপরও কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে অনেক কথাই আসে। প্রশাসনকে অনুরোধ করব, যাতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে কেউ হয়রানি না হয় এবং নির্বাচনে কোনো হুমকি-ধমকির ঘটনা না ঘটে, সেদিকে লক্ষ রাখার জন্য।’

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ওসি রবিউল আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাশকতার মামলায় একজন আসামির বিষয়ে জানাতে জামায়াত নেতারা থানায় এসেছিলেন। পরে এসপি স্যার নিজেই মোবাইল ফোনে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাটি তদন্ত করে দুই দিনের মধ্যে আইনগত প্রক্রিয়ায় সুরাহার আশ্বাস দিয়েছেন।’

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদে ২১ নভেম্বর রাতে শেরপুরের শ্রীবরদীতে মশাল মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা-কর্মী। ওই ঘটনায় সাদ্দাম হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় জামায়াত নেতা আলমাস হোসাইনকে ২৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাউলদের ওপর হামলার প্রতিবাদে উদীচীর নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাউলদের ওপর হামলার প্রতিবাদে উদীচীর নিন্দা

বাউল সাধক আবুল সরকারকে গ্রেপ্তার ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।

বিবৃতিতে আবহমান বাংলার অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালনকারী বাউলদের নির্যাতনের এমন ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয় বলে মত দিয়েছেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদ সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। পাশাপাশি ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের হুমকির মুখে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নরসিংপুর গ্রামে লালন সাধুসঙ্গ আয়োজন সীমিত করার নিন্দাও জানান তাঁরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর থেকে সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী অপশক্তি এ দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং মুক্তবুদ্ধির চর্চা বন্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিভিন্ন স্থানে লোকসংগীতের আসর বন্ধ করে দেওয়া, লালন উৎসবে বাধা দেওয়া, মাজারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা এবং ধর্মীয় ও জাতিগতভাবে সংখ্যায় কম—এমন মানুষদের ওপর ধারাবাহিক হামলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মূল স্পিরিটের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।

তাঁরা আরও জানান, আবহমান কাল থেকে এ ভূখণ্ডে পালা গান, জারি গানসহ নানা ধরনের গানের আসর জনপ্রিয়। এসব আসরে সৃষ্টিকর্তার নানা বিষয় নিয়ে পরস্পর তর্ক ও আলোচনা করেন বাউল ও লোকশিল্পীরা। এসব আলোচনায় মূলত ধর্মের অপব্যাখ্যাকারী ও ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করা হয়। বাউল আবুল সরকারও দীর্ঘদিন ধরে সে কাজ করে আসছেন। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে তাঁকে হেনস্তা করা হচ্ছে।

উদীচী নেতাদের ভাষ্য, বিভিন্ন সময় ধর্মীয় ইস্যু তুলে লোকসংস্কৃতি চর্চায় বাধাদান ও সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কোনো ঘটনাতেই দৃষ্টান্তমূলক কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি পুলিশ-প্রশাসনকে। মানুষের মতপ্রকাশ, ধর্মপালন ও শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালনে বারবারই ব্যর্থ হয়েছে তারা।

অবিলম্বে মৌলবাদী অপশক্তিকে প্রতিহত করে দেশে সংস্কৃতিচর্চার অবাধ পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানান উদীচীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধ কর্মসূচিতে পরিবহনশ্রমিকদের একাত্মতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের প্রতিনিধি সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের প্রতিনিধি সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। আজ রোববার নগরীর বিআরটিসি মার্কেট কার্যালয়ে সংগঠনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির ৪৭টি শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সংগঠনের পূর্বাঞ্চল (চট্টগ্রাম ও সিলেট) কমিটির সভাপতি মৃণাল চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের হৃৎপিণ্ড ও অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র। চট্টগ্রাম বন্দরের পাশে নৌবাহিনীর দপ্তর, তেল শোধনাগার ও বিমানবন্দর রয়েছে। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের পাশে চট্টগ্রাম বন্দর দুবাইভিত্তিক ডিপি ওয়ার্ল্ডের হাতে তুলে দেওয়া জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের জন্য চরম হুমকি।

মোহাম্মদ মুছার সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির কার্যকরী সভাপতি রবিউল মওলা ও সাধারণ সম্পাদক অলি আহামদ।

উপস্থিত ছিলেন আযম চৌধুরী, মো. ইলিয়াছ, হারুন অর রশিদ, আলাউদ্দিন ফারুক, জহুর উল্লাহ, শাহ আলম হাওলাদার, নুর হোসেন, মোহাম্মদ শফি, মনসুর আলম, মো. ইউসুফ, দৌলত মিয়া, আহমদ হোসেন, নজরুল ইসলাম, রুহুল আমিন রনি, মো. একরাম, জাবেদ হোসেন, জরিফ আলী, আমির হোসেন, আলী আকবর, মো. আলী, কামাল উদ্দিন, মো. রাশেদ, মো. রুবেল, জাকির হোসেন, সুমন, মো. হাসান, শান্ত, মো. রবিন, মো. ইয়াকুব, মো. আবদুর রহিম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে স্কপের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কনভেনশনে আগামী বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। অবরোধের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে আগ্রাবাদ বিদ্যুৎ ভবনের সামনে, মাইলের মাথা ও বড়পোল পোর্ট কানেকটিং রোডের মুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মিরসরাইয়ে পোলট্রি খামারে আগুন

মিরসরাই (প্রতিনিধি) চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে লাগা আগুনে একটি পোলট্রি খামারের দুই হাজারের বেশি মুরগির বাচ্চা মারা গেছে।

আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মঘাদিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন পোলট্রি খামারে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ খামারের ভেতর থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখে লোকজন ছুটে আসেন। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় খামারের ভেতরের প্রায় ২ হাজার ৩০০টি মুরগির বাচ্চা পুড়ে মারা যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত পোলট্রি খামারমালিক আলাউদ্দিন জানান, প্রায় চার হাজার বর্গফুটের খামারটিতে ছয় দিন আগে ২ হাজার ৩০০ মুরগির বাচ্চা তুলেছিলেন। আজ দুপুরে হঠাৎ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে মুহূর্তের মধ্যে পুরো খামার পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে খামারের সব মুরগির বাচ্চা ও কাঠামো মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা আহমেদ হোসেন বলেন, ‘আগুন লাগার খবর আমরা কিছুটা দেরিতে পেয়েছি। দুর্গম পথ হওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেও সময় লেগেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’

মিরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জাকিরুল ফরিদ জানান, আলাউদ্দিন পোলট্রি খামারে আগুনে ২ হাজার ৩০০টি মুরগির বাচ্চা পুড়ে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত