Ajker Patrika

নির্বাচন কমিশন: সংলাপে না ডাকলেও ৭ দলের ভোটে বাধা দেখছে না ইসি

মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা 
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৯
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিবন্ধন স্থগিত থাকায় আওয়ামী লীগকে সংলাপে ডাকা হয়নি। এ ছাড়া জাতীয় পার্টিসহ সাতটি দলকে সংলাপে ডাকেনি কমিশন। তবে সংলাপে না ডাকলেও এসব দলের নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দেখছে না ইসি।

জাতীয় পার্টি ছাড়াও ইসির সংলাপে ডাক না পাওয়া দলগুলো হলো জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল), গণতন্ত্রী পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের আলোচনায় ডাক পায়নি জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের শরিকেরা।

সংলাপে না ডাকা সাতটি দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না—জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নিবন্ধিত দলের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে তো আমরা কোনো সিদ্ধান্ত দিই নাই। নির্বাচন কমিশন তো বলেনি যে নিবন্ধন থাকার পরেও তারা নির্বাচনে আসতে পারবে না।’

দলগুলোকে সংলাপে ডাকা হলো না কেন—জানতে চাইলে সরাসরি কোনো জবাব দেননি আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নিবন্ধিত দলের মধ্যে বেশ কয়েকটা দল বাকি রয়েছে। আরও কিছু নতুন দল নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। সেগুলোর নিষ্পত্তির বিষয়টা কোন পর্যায়ে যাবে, আমরা এখনো জানি না। সবকিছু মিলে বাকি যে দলগুলো রয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে সংলাপ হবে কি হবে না, সেই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।’

এর আগে গণঅধিকার পরিষদ ইসিতে লিখিতভাবে জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের সঙ্গে সংলাপ না করার ও দলগুলোকে নির্বাচনের বাইরে রাখার দাবি জানায়। আরও কয়েকটি দলেরও এমন দাবি রয়েছে। আওয়ামী লীগের পদধারীদের স্বতন্ত্রভাবেও নির্বাচন করার সুযোগ না দেওয়া এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়া কোনো প্রার্থীকে নির্বাচনে সুযোগ না দেওয়ার জন্যও দাবি তুলেছে গণঅধিকার পরিষদ।

এদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আগেই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ও আচরণবিধিমালা সংশোধন করায় ইসির সমালোচনা করেছে বেশ কয়েকটি দল। দলগুলোর বক্তব্য, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে এগুলো সংশোধন করা ঠিক হয়নি। তবে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ইসিকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে দলগুলো। পাশাপাশি শক্ত অবস্থানে থাকারও পরামর্শ দিয়েছে দলগুলো।

জানা গেছে, সংলাপে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান অভিযোগ করেন, এনপিসিকে শাপলা কলি প্রতীক দিয়ে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সংলাপে কিছু সমালোচনা হয়েছে। সুপারিশ পক্ষে আছে, বিপক্ষেও আসছে। জোটের ভোটে নিজ দলের প্রতীকের বিষয়েও পক্ষে-বিপক্ষে মত এসেছে। কেউ কেউ বলেছে, একটা নজির সৃষ্টি হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেছে যে এতে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। আসলে এগুলোর মাপকাঠি নির্ধারণ করা খুব কঠিন।’

সংলাপে দলগুলোর কাছ থেকে যেসব সুপারিশ এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা করা; প্রতি কেন্দ্রে সেনা মোতায়েন; লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনের রদবদল; পোস্টারে দলীয় প্রধান ছাড়া অন্য কারও ছবি না থাকা; গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনে আলাদা বুথ ও গণনা পদ্ধতিও আলাদা হওয়া; সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বা ভীতি প্রদর্শন করলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রার্থিতা বাতিল করা; শক্তিশালী সাইবার মনিটরিং সেল বা ফ্যাক্টচেকিং ইউনিট গঠন করা; জামানতের টাকা কমানো; কালোটাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার বন্ধ করা; আইন করে নির্বাচনকালীন স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে রাখা; ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা; এক দিনে নির্বাচন না করে একাধিক দিনে আয়োজন করা; ভোটারদের নিরাপত্তা দেওয়া; আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করা; বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান থেকে পোলিং অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসার না নেওয়া; ৩০০ আসনেই ‘না’ ভোট রাখার বিধান রাখা ইত্যাদি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিমানবন্দরে দুই কোটি টাকার স্বর্ণসহ হজের মুয়াল্লিম গ্রেপ্তার

ধানের শীষের বাইরে কেউ নির্বাচন করলে কোনো কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারবে না: বিএনপি নেতা স্বপন

নির্বাচন কমিশন: সংলাপে না ডাকলেও ৭ দলের ভোটে বাধা দেখছে না ইসি

আজকের রাশিফল: প্রতিশোধের প্রবল ইচ্ছা জাগবে, আজ কিছু একটা হারাবেই

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪ ভবন: ঝুঁকিতে হাজারো শিক্ষার্থীর জীবন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে প্রস্তুত কমনওয়েলথ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সিইসির সঙ্গে কমনওয়েলথ মহাসচিবের বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিইসির সঙ্গে কমনওয়েলথ মহাসচিবের বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে সার্বিক সহযোগিতা করতে চায় কমনওয়েলথ। এ জন্য ৫৬ সদস্য দেশের সংগঠন হিসেবে তারা পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য প্রস্তুত।

আজ রোববার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়োরকর বচওয়ে।

পরে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, সিইসির সঙ্গে বৈঠকে কমনওয়েলথ মহাসচিবের কাছে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি, অগ্রগতি, বিদেশে ভোট প্রদান, গণভোটসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব বলেন, মহাসচিব জানিয়ে দিয়েছেন, কমনওয়েলথ প্রয়োজন হলে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। ব্রিটেনের সহযোগিতা পাওয়ায় তিনিও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

সচিব জানান, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। ইসি জানিয়েছে, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানো হবে। মহাসচিব আশা প্রকাশ করেন, তাঁরা এসে নির্বাচনকে আরও গ্রহণযোগ্য করতে ভূমিকা রাখবেন। এখনো পর্যবেক্ষক দলের সংখ্যা বা পাঠানোর সময় বিষয়ে কিছু নির্দিষ্ট হয়নি। প্রবাসী পর্যবেক্ষকেরাও নির্বাচন পর্যালোচনা করে তাঁদের অবস্থান জানাবেন।

আখতার আহমেদ বলেন, ‘কমনওয়েলথ জিজ্ঞেস করেছে—আপনারা কী ধরনের সহযোগিতা চান? আমরা এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু বলিনি। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে কোথায় সহযোগিতা প্রয়োজন হতে পারে, তা নির্ধারণ করতে কিছু সময় লাগবে।’

ইসি সচিব জানান, আলোচনার শেষাংশে মহাসচিব নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির ওপর আস্থা ও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করবে।

আখতার আহমেদ বলেন, ‘আলোচনাটি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে এবং মহাসচিব আমাদের প্রস্তুতিকে সমর্থন ও আস্থা জানিয়েছেন। আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। শেষে কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেছেন, আমরা আশা করি, এবারের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হবে।’

বৈঠকে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানতে চান সফররত মহাসচিব। জবাবে ইসি জানান, সারা দেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন—এই তিন জোনে ভাগ করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ইসি সচিব বলেন, কমনওয়েলথ মহাসচিব বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে সিইসির কাছে জানতে চেয়েছেন। জানানো হয়েছে যে, ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় সব নির্বাচন সামগ্রী প্রস্তুত করা হচ্ছে। বিদেশে বসবাসকারী ভোটারদের জন্য ওসিভি (আউট অব কান্ট্রি ভোটিং)–এর প্রক্রিয়াও চলছে। ৫৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম প্রবাসীদের এই অন্তর্ভুক্তি হচ্ছে—এটি জেনে মহাসচিব সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এটি সফলভাবে সম্পন্ন হবে।

সচিব জানান, আইসিপিভির (ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট) আওতায় দেশের ভেতরে প্রায় ১০ লাখ ভোটার, যারা বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ দায়িত্বে নিয়োজিত—তাঁদেরও ভোটদানের সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। এটিও মহাসচিবের কাছে ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে।

গণভোট প্রসঙ্গে আখতার আহমেদ বলেন, কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেছেন যে একই দিনে গণভোট আয়োজন নির্বাচন কমিশনের জন্য বাড়তি দায়িত্ব। তবে ইসি যে প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে, তা দেখে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

নারী ভোটার অংশগ্রহণ ও ভোটার তালিকা সংশোধন, নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত সংখ্যাগত তথ্য জেনে মহাসচিব প্রশংসা করেছেন উল্লেখ করে ইসি সচিব জানান, এ ছাড়া মৃত ভোটারদের বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে—এই উদ্যোগকেও তিনি ভালো সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যা দেন। ভুয়া তথ্য ও সংবাদ বিষয়ে কমনওয়েলথ মহাসচিব তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

কমনওয়েলথ মহাসচিবকে উদ্ধৃত করে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘মহাসচিব বলেছেন, নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ জন্য প্রচার-প্রচারণা চালানো জরুরি। জবাবে তাঁকে সিইসি বলেছেন, প্রয়োজনীয় প্রচার চলছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোও সহযোগিতা করবে বলে আশা করা হয়। এতে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে।’

ইসি সচিব জানান, আলোচনার শেষাংশে মহাসচিব নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির ওপর আস্থা ও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন, কমনওয়েলথ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিমানবন্দরে দুই কোটি টাকার স্বর্ণসহ হজের মুয়াল্লিম গ্রেপ্তার

ধানের শীষের বাইরে কেউ নির্বাচন করলে কোনো কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারবে না: বিএনপি নেতা স্বপন

নির্বাচন কমিশন: সংলাপে না ডাকলেও ৭ দলের ভোটে বাধা দেখছে না ইসি

আজকের রাশিফল: প্রতিশোধের প্রবল ইচ্ছা জাগবে, আজ কিছু একটা হারাবেই

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪ ভবন: ঝুঁকিতে হাজারো শিক্ষার্থীর জীবন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গুমের দুই মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী জেড আই খান পান্না

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪১
সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। ফাইল ছবি
সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। ফাইল ছবি

গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে জেড আই খান পান্নাকে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই নিয়োগ দেন।

এ বিষয়ে জেড আই খান পান্না সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে তাঁকে আরও প্রোপার ওয়েতে ডিফেন্স দেওয়া দরকার। যে কারণে আমি তাঁর আইনজীবী হতে আবেদন করেছি। তখন তাঁরা বলেছে, এটাতো আপনি পারেন না, তিনি তো পলাতক। প্রসিকিউশন বলেছে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে থাকতে, তখন আমি বলেছি, আমার কোনো আপত্তি নেই।’

এছাড়া, এই দুই মামলায় আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অন্য আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি আদালত সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত আপত্তিকর কনটেন্ট অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে।

আদালত জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে থাকা কিছু তথ্য ও বক্তব্য জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে এই ধরনের কনটেন্ট সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানো বা সীমাবদ্ধ করা হয়।

এর আগে আজ রোববার সকালে গুমের দুই মামলায় ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুনানির জন্য হাজির করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিমানবন্দরে দুই কোটি টাকার স্বর্ণসহ হজের মুয়াল্লিম গ্রেপ্তার

ধানের শীষের বাইরে কেউ নির্বাচন করলে কোনো কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারবে না: বিএনপি নেতা স্বপন

নির্বাচন কমিশন: সংলাপে না ডাকলেও ৭ দলের ভোটে বাধা দেখছে না ইসি

আজকের রাশিফল: প্রতিশোধের প্রবল ইচ্ছা জাগবে, আজ কিছু একটা হারাবেই

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪ ভবন: ঝুঁকিতে হাজারো শিক্ষার্থীর জীবন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মানবতাবিরোধী অপরাধ

হাসিনা ও ১৩ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ৩ ও ৭ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ০১
রোববার সকাল ১০টার দিকে ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রোববার সকাল ১০টার দিকে ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম, খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের হওয়া দুটি পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনাবাহিনীর ১৩ কর্মকর্তাসহ অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ৩ ও ৭ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে দুই মামলায় ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আজ সকাল ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ হাজির করা হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেল ও জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি)-সংক্রান্ত গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলার শুনানির দিন ছিল আজ।

গত ৮ অক্টোবর পৃথক দুই মামলায় মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে অভিযোগ আমলে নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পাশাপাশি শুনানির জন্য ২২ অক্টোবর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল-১।

র‍্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) গোপন সেলে বন্দী রেখে নির্যাতনের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, র‍্যাব কর্মকর্তা কে এম আজাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, মাহবুব আলম, আবদুল্লাহ আল মোমেন, সারোয়ার বিন কাশেম, খায়রুল ইসলাম, মশিউর রহমান জুয়েল ও সাইফুল ইসলাম সুমন। এর মধ্যে ১০ সেনা কর্মকর্তাকে ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এ ছাড়া জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) বা আয়নাঘরে গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলায়ও শেখ হাসিনা-তারিক আহমেদ সিদ্দিকের নাম রয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন— ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) সাইফুল আবেদিন, লে. জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, সাবেক ডিজি লে. জেনারেল তাবরেজ শামস চৌধুরী, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, মেজর জেনারেল তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহাম্মদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী ও লে. কর্নেল (অব.) মখসুরুল হক। এর মধ্যে ওই দিন তিনজনকে ট্রাব্যুনালে হাজির করা হয়।

এই দুই মামলায় কারাগারে থাকা ১৩ সেনা কর্মকর্তা হলেন— র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে), র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লে. কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিকী।

১২ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ট্রাইব্যুনালের আদেশের পর সেখানে তাঁদেরকে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিমানবন্দরে দুই কোটি টাকার স্বর্ণসহ হজের মুয়াল্লিম গ্রেপ্তার

ধানের শীষের বাইরে কেউ নির্বাচন করলে কোনো কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারবে না: বিএনপি নেতা স্বপন

নির্বাচন কমিশন: সংলাপে না ডাকলেও ৭ দলের ভোটে বাধা দেখছে না ইসি

আজকের রাশিফল: প্রতিশোধের প্রবল ইচ্ছা জাগবে, আজ কিছু একটা হারাবেই

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪ ভবন: ঝুঁকিতে হাজারো শিক্ষার্থীর জীবন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মানবতাবিরোধী অপরাধ: ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ০৭
রোববার সকাল ১০টার দিকে ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রোববার সকাল ১০টার দিকে ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুনের পৃথক দুই মামলায় ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে তাঁদের হাজির করা হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেল ও জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি)-সংক্রান্ত গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলার গুরুত্বপূর্ণ শুনানির দিন আজ।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফেরত-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল এবং পলাতক আসামি শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও আসাদুজ্জামান খান কামালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বা ‘স্টেট ডিফেন্স’ নিয়োগের সম্ভাবনা আজকের কার্যতালিকায় রয়েছে।

এর আগে গত ৮ অক্টোবর পৃথক দুই মামলায় মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে অভিযোগ আমলে নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পাশাপাশি শুনানির জন্য ২২ অক্টোবর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল-১।

রোববার সকাল ১০টার দিকে ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রোববার সকাল ১০টার দিকে ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

র‍্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) গোপন সেলে বন্দী রেখে নির্যাতনের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, র‍্যাব কর্মকর্তা কে এম আজাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, মাহবুব আলম, আবদুল্লাহ আল মোমেন, সারোয়ার বিন কাশেম, খায়রুল ইসলাম, মশিউর রহমান জুয়েল ও সাইফুল ইসলাম সুমন। এর মধ্যে ১০ সেনা কর্মকর্তাকে ২২ অক্টোবর হাজির করা হয়।

রোববার সকাল ১০টার দিকে ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রোববার সকাল ১০টার দিকে ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ ছাড়া জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) বা আয়নাঘরে গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলায়ও শেখ হাসিনা-তারিক আহমেদ সিদ্দিকের নাম রয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) সাইফুল আবেদিন, লে. জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, সাবেক ডিজি লে. জেনারেল তাবরেজ শামস চৌধুরী, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, মেজর জেনারেল তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহাম্মদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী ও লে. কর্নেল (অব.) মখসুরুল হক। এর মধ্যে ওই দিন তিনজনকে আনা হয়।

রোববার সকাল ১০টার দিকে ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রোববার সকাল ১০টার দিকে ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এই দুই মামলায় কারাগারে থাকা ১৩ সেনা কর্মকর্তা হলেন র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে), র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লে. কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিকী।

১২ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ট্রাইব্যুনালের আদেশের পর সেখানে তাঁদেরকে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিমানবন্দরে দুই কোটি টাকার স্বর্ণসহ হজের মুয়াল্লিম গ্রেপ্তার

ধানের শীষের বাইরে কেউ নির্বাচন করলে কোনো কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারবে না: বিএনপি নেতা স্বপন

নির্বাচন কমিশন: সংলাপে না ডাকলেও ৭ দলের ভোটে বাধা দেখছে না ইসি

আজকের রাশিফল: প্রতিশোধের প্রবল ইচ্ছা জাগবে, আজ কিছু একটা হারাবেই

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪ ভবন: ঝুঁকিতে হাজারো শিক্ষার্থীর জীবন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত