নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুর স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ট্রেনচালক মো. জসিম উদ্দিন, সহকারী চালক মো. মহসিনের গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এই ঘটনায় তাঁরা ছাড়াও চট্টগ্রাম ডিভিশনের সোনার বাংলা আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক ও হাসানপুর স্টেশনের মেইনটেইনার (সিগন্যাল) ওয়াহিদকে দায়ী করা হয়েছে।
গত ১৬ এপ্রিল নাঙ্গলকোটের হাসানপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনকে সোনার বাংলা ট্রেন ধাক্কা দিলে অন্তত ৫০ জন আহত হন। এই ঘটনায় ওই দিনই চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে থাকা চার সদস্য হলেন বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) মো. জাহিদ হাসান, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা তারেক মো. ইমরান, বিভাগীয় সংকেত প্রকৌশলী জাহেদ আরেফিন পাটোয়ারি তন্ময় ও বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ এম এ হাসান মুকুল।
বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা তারেক মো. ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত। কয়েক দিনের মধ্যে রেলওয়ে প্রশাসনকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার দিন সাময়িকভাবে বরখাস্ত চারজনকে দায়ী করা হয়েছে। তাঁদের গাফিলতিতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’
তদন্ত কমিটির সূত্রে জানা গেছে, সোনার বাংলা ট্রেনের চালকের ভুলের কারণে নাঙ্গলকোটে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সোনার বাংলা ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম থেকে মালবাহী ট্রেনটি নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলস্টেশনে পৌঁছালে স্টেশন মাস্টার লুপ লাইনে (চার নম্বর লাইন) ট্রেনটিকে দাঁড় করান। ওই সময় অনেকক্ষণ স্টেশন এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। সিগন্যাল সিস্টেমের ব্যাকআপ ব্যাটারিরও চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ায় পুরো সিগন্যাল সিস্টেম অকার্যকর হয়ে পড়ে। চট্টগ্রাম থেকে সোনার বাংলা ট্রেনটিও ওই সময় হাসানপুর রেলস্টেশনে ঢুকছিল। সোনার বাংলা ট্রেনের চালক স্টেশনে ঢোকার যেহেতু কোনো সংকেত পাননি বা স্টেশনের সিগন্যাল সিস্টেম বন্ধ দেখেছেন, তখন তিনি নিজ উদ্যোগে চলন্ত ট্রেনটি থামাতে পারতেন। কিন্তু ট্রেনচালক পুরো স্টেশন অন্ধকার দেখেও ট্রেন চালিয়ে যাওয়ার কারণে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে সোনার বাংলা ট্রেনের পরিচালক, চালক ও সহকারী চালক দায়ী। পাশাপাশি তদন্ত কমিটির গাফিলতি দেখেছেন হাসানপুর স্টেশনের মেইনটেইনার (সিগন্যাল) ওয়াহিদকেও। কারণ যখনই সিগন্যাল কাজ করছিল না, তিনি সঙ্গে সঙ্গে কন্ট্রোলে বিষয়টি বলতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।
ঘটনার দিন যান্ত্রিক প্রকৌশলী বিভাগের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালু স্টেশন এলাকায় সাধারণত ট্রেনের স্পিড কমাতে হয়। কিন্তু সোনার বাংলা ট্রেনের চালক স্টেশন অতিক্রম করার সময় ৭০-৭১ মাইল স্পিডে ট্রেনটি নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি একটু ধীরে ট্রেন চালালে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটা আরও কম হতো।
শুধু কুমিল্লার ঘটনা নয়, এর আগের তিনটি বড় ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলের নিজস্ব তদন্তেই ট্রেনচালক, সহকারী ট্রেনচালক, গার্ড ও গেটম্যানদের গাফিলতির বিষয়টি উঠে আসে। দুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন সময় তদন্ত কমিটি নানা সুপারিশ করলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটি যাঁদের দোষী সাব্যস্ত করবে তাঁদের ছাড় নয়। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুর স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ট্রেনচালক মো. জসিম উদ্দিন, সহকারী চালক মো. মহসিনের গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এই ঘটনায় তাঁরা ছাড়াও চট্টগ্রাম ডিভিশনের সোনার বাংলা আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক ও হাসানপুর স্টেশনের মেইনটেইনার (সিগন্যাল) ওয়াহিদকে দায়ী করা হয়েছে।
গত ১৬ এপ্রিল নাঙ্গলকোটের হাসানপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনকে সোনার বাংলা ট্রেন ধাক্কা দিলে অন্তত ৫০ জন আহত হন। এই ঘটনায় ওই দিনই চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে থাকা চার সদস্য হলেন বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) মো. জাহিদ হাসান, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা তারেক মো. ইমরান, বিভাগীয় সংকেত প্রকৌশলী জাহেদ আরেফিন পাটোয়ারি তন্ময় ও বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ এম এ হাসান মুকুল।
বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা তারেক মো. ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত। কয়েক দিনের মধ্যে রেলওয়ে প্রশাসনকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার দিন সাময়িকভাবে বরখাস্ত চারজনকে দায়ী করা হয়েছে। তাঁদের গাফিলতিতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’
তদন্ত কমিটির সূত্রে জানা গেছে, সোনার বাংলা ট্রেনের চালকের ভুলের কারণে নাঙ্গলকোটে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সোনার বাংলা ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম থেকে মালবাহী ট্রেনটি নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলস্টেশনে পৌঁছালে স্টেশন মাস্টার লুপ লাইনে (চার নম্বর লাইন) ট্রেনটিকে দাঁড় করান। ওই সময় অনেকক্ষণ স্টেশন এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। সিগন্যাল সিস্টেমের ব্যাকআপ ব্যাটারিরও চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ায় পুরো সিগন্যাল সিস্টেম অকার্যকর হয়ে পড়ে। চট্টগ্রাম থেকে সোনার বাংলা ট্রেনটিও ওই সময় হাসানপুর রেলস্টেশনে ঢুকছিল। সোনার বাংলা ট্রেনের চালক স্টেশনে ঢোকার যেহেতু কোনো সংকেত পাননি বা স্টেশনের সিগন্যাল সিস্টেম বন্ধ দেখেছেন, তখন তিনি নিজ উদ্যোগে চলন্ত ট্রেনটি থামাতে পারতেন। কিন্তু ট্রেনচালক পুরো স্টেশন অন্ধকার দেখেও ট্রেন চালিয়ে যাওয়ার কারণে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে সোনার বাংলা ট্রেনের পরিচালক, চালক ও সহকারী চালক দায়ী। পাশাপাশি তদন্ত কমিটির গাফিলতি দেখেছেন হাসানপুর স্টেশনের মেইনটেইনার (সিগন্যাল) ওয়াহিদকেও। কারণ যখনই সিগন্যাল কাজ করছিল না, তিনি সঙ্গে সঙ্গে কন্ট্রোলে বিষয়টি বলতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।
ঘটনার দিন যান্ত্রিক প্রকৌশলী বিভাগের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালু স্টেশন এলাকায় সাধারণত ট্রেনের স্পিড কমাতে হয়। কিন্তু সোনার বাংলা ট্রেনের চালক স্টেশন অতিক্রম করার সময় ৭০-৭১ মাইল স্পিডে ট্রেনটি নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি একটু ধীরে ট্রেন চালালে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটা আরও কম হতো।
শুধু কুমিল্লার ঘটনা নয়, এর আগের তিনটি বড় ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলের নিজস্ব তদন্তেই ট্রেনচালক, সহকারী ট্রেনচালক, গার্ড ও গেটম্যানদের গাফিলতির বিষয়টি উঠে আসে। দুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন সময় তদন্ত কমিটি নানা সুপারিশ করলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটি যাঁদের দোষী সাব্যস্ত করবে তাঁদের ছাড় নয়। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হরিহর নদ পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা না রেখে হরিহর নদের ওপর যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদাহ বাজারে আরেকটি অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ করছে স্
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুত থাকা সরকারি বিপুল ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। সময়মতো রোগীদের মাঝে বিতরণ না করায় ওষুধগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে; একই সঙ্গে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজারো রোগী।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় ‘নিরাপদ পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহযোগিতায় পাইলট প্রকল্পটি রোববার (২০ এপ্রিল ২০২৫) থেকে শুরু হয়ে ৮ মে পর্যন্ত চলবে।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন কারওয়ান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলাল উদ্দিন হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. শামীম হোসেন (২৮) ও মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে মুরগি ইয়াসিন (২১)।
২ ঘণ্টা আগে