Ajker Patrika

কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন: বিএনপি-আ.লীগ পদ ভাগাভাগি

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম 
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০: ১০
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টদের প্রতিষ্ঠান ‘চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’। এ সংগঠনের নেতা নির্বাচনে ভোট হয় না—বিএনপি সমর্থিত ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে সরকার বদলের পর সব বদলে গেল। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতারা মিলেমিশে এ সংগঠনের নেতৃত্বের পদ ভাগাভাগি করে নিলেন।

চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনে বরাবরই নির্বাচন হয়। এবার ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। ২ হাজার ৫০০ ভোটার নির্বাচনে ভোট দেওয়ার কথা ছিল। এ জন্য গত ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। তবে রোববার দেখা গেল, ২৯টি পদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শরিফ নতুন নেতাদের নাম ঘোষণা করেন। এতে দেখা যায়, সংগঠনের ২৯টি পদের বিপরীতে বিএনপি ১৩, আওয়ামী লীগ ১০, অন্যান্য দল ৬টি পদ ভাগাভাগি করে নিয়েছে।

গত রোববারের ঘোষণা অনুসারে চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ এস এম সাইফুল আলম; সহসভাপতি আওয়ামী লীগের সমর্থক মো. নুরুল আফসার ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, বিএনপির সমর্থক আবু ছালেহ। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপির সমর্থক মো. শওকত আলী। আর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বিএনপিপন্থী ওবায়দুল হক ও জামাল উদ্দিন। এ ছাড়া সংগঠনের অন্য পদগুলোয় বিএনপি-আওয়ামী লীগ ছাড়াও জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের নেতারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

তবে আওয়ামী লীগ-বিএনপি মিলেমিশে কমিটি গঠনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সভাপতি এ এস এম সাইফুল আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চারটির ট্রেড বডির সঙ্গে আলোচনা করে একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি প্রদান করা হয়েছে। এখানে আমরা রাজনৈতিক বিষয়টি বিবেচনা করিনি।’

এর আগে ৩০ জানুয়ারি বিকেলে নগরের আগ্রাবাদে সংবাদ সম্মেলন করে পদ ভাগাভাগির অভিযোগ করেন সমমনা পরিষদের সমন্বয়ক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু। তিনি বলেছিলেন, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে না দিয়ে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করার ষড়যন্ত্র চলছে।

এই সমমনা পরিষদ আওয়ামীপন্থী হিসেবে পরিচিত। নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চুকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল এই প্যানেল। আলতাফ হোসেন চৌধুরী সম্প্রতি গা ঢাকা দিয়েছেন। তাই প্যানেলের নেতৃত্বে এসেছেন কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু। সর্বশেষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক তিনি।

কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সমমনা পরিষদ নির্বাচনমুখী, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী একটি সংগঠন। নির্বাচনের মাধ্যমেই এ সংগঠনের নেতারা নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এবার সমমনা পরিষদকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহে বাধা দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের নির্বাহী কমিটির ২৯টি পদের বিপরীতে কেবল ২৯টি মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

তবে নতুন কমিটিতে দেখা যাচ্ছে, আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও কাজী মাহমুদ ইমাম বিলুপন্থীরাও এসেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত