মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা পাহাড়-সমতল ঘেরা জনপদ। এখানে ইতিপূর্বে সরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে বাণিজ্যিকভাবে কেউ সূর্যমুখীর চাষ করেননি। এই মৌসুমে কৃষি বিভাগের প্রণোদনায় চার হেক্টর জমিতে ৩০ জন প্রান্তিক কৃষক সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। প্রতিটি খেতে এখন ফুলের বাহারি সৌরভ আর মৌমাছির আনাগোনায় উচ্ছ্বসিত কৃষক।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তিনটহরীর ভূঁইয়া বিল, বড়ডলু, তিনটহরী নামারপাড়া, বড়বিল, কুমারী, ডাউনছড়ি, বাটনাতলীসহ উপজেলার ১১টি কৃষি ব্লকে ৩০ জন প্রান্তিক কৃষক এবার সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। প্রতি কৃষক দুই কেজি বীজ, ৩০ কেজি সার প্রণোদনা পেয়েছেন। কৃষি বিভাগের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও প্রান্তিক কৃষকের আন্তরিকতায় খেতে কোনো প্রকার রোগবালাই ছাড়াই গাছ বেড়ে উঠেছে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় তিনটহরী এলাকায় প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবদুল মজিদ ভূঁইয়ার বিলে সরেজমিন দেখা যায়, জমিতে ফুলের সৌরভ ছড়াচ্ছে। সূর্যমুখীর বাহারি সৌন্দর্য উপভোগ করতে মানুষজন খেত দেখতে যেমন ভিড় করছেন। অন্যদিকে মৌমাছি দলে দলে ফুলে আনাগোনা করছে।
সেখানে কথা হয় তাঁর ছোট ছেলে মো. শাহাদাত হোসেন বাবুর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ জনপদে আগে কখনো সূর্যমুখীর চাষ হয়নি। এ বছর কৃষি অফিস বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়ায় সূর্যমুখী চাষে আমরা উদ্বুদ্ধ হয়েছি। তবে গাছ পাকা বীজ থেকে তেল করার কোনো প্রশিক্ষণ বা পদ্ধতি এখানে নেই। আমার ২৪ শতক জমিতে পানি সেচ ও পরিচর্চায় এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১২ হাজার টাকা।’
স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মো. মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলাকায় সূর্যমুখী ফুল ফোটার পর জনপদে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এতে সূর্যমুখী চাষে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়বে।’
তিনটহরী নামাপাড়ার সফল কৃষক মো. সানা উল্লাহ বলেন, ‘সূর্যমুখী চাষে ব্যয় একেবারে কম। নিয়মিত সেচ ও পরিচর্যা ছাড়া কোনো ব্যয় নেই। যে কেউ সূর্যমুখী চাষ করে ৬৫-৭০ শতাংশ লাভ করা সম্ভব।’
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই প্রথম কৃষি অফিসের প্রণোদনার বড় পরিসরে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। প্রান্তিক কৃষকদের আন্তরিকতায় চাষ ভালো হয়েছে।’
কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই জনপদের দ্বিতীয় শ্রেণির জমিতে সূর্যমুখী চাষে প্রান্তিক কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এখানে ৩০ জন কৃষকের মাঝে দুই কেজি হারে বীজ ও ৩০ কেজি হারে সার প্রণোদনা হিসেবে দিয়ে চার হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। হেক্টরে দুই টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আপাতত দেশীয় পদ্ধতিতে কৃষকেরা বীজ থেকে তেল সংগ্রহ করবে। ভবিষ্যতে সূর্যমুখী চাষ বাড়লে আধুনিক প্রযুক্তিতে তেল সংগ্রহের বিষয়ে কৃষি বিভাগ উদ্যোগ নেবে।’
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা পাহাড়-সমতল ঘেরা জনপদ। এখানে ইতিপূর্বে সরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে বাণিজ্যিকভাবে কেউ সূর্যমুখীর চাষ করেননি। এই মৌসুমে কৃষি বিভাগের প্রণোদনায় চার হেক্টর জমিতে ৩০ জন প্রান্তিক কৃষক সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। প্রতিটি খেতে এখন ফুলের বাহারি সৌরভ আর মৌমাছির আনাগোনায় উচ্ছ্বসিত কৃষক।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তিনটহরীর ভূঁইয়া বিল, বড়ডলু, তিনটহরী নামারপাড়া, বড়বিল, কুমারী, ডাউনছড়ি, বাটনাতলীসহ উপজেলার ১১টি কৃষি ব্লকে ৩০ জন প্রান্তিক কৃষক এবার সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। প্রতি কৃষক দুই কেজি বীজ, ৩০ কেজি সার প্রণোদনা পেয়েছেন। কৃষি বিভাগের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও প্রান্তিক কৃষকের আন্তরিকতায় খেতে কোনো প্রকার রোগবালাই ছাড়াই গাছ বেড়ে উঠেছে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় তিনটহরী এলাকায় প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবদুল মজিদ ভূঁইয়ার বিলে সরেজমিন দেখা যায়, জমিতে ফুলের সৌরভ ছড়াচ্ছে। সূর্যমুখীর বাহারি সৌন্দর্য উপভোগ করতে মানুষজন খেত দেখতে যেমন ভিড় করছেন। অন্যদিকে মৌমাছি দলে দলে ফুলে আনাগোনা করছে।
সেখানে কথা হয় তাঁর ছোট ছেলে মো. শাহাদাত হোসেন বাবুর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ জনপদে আগে কখনো সূর্যমুখীর চাষ হয়নি। এ বছর কৃষি অফিস বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়ায় সূর্যমুখী চাষে আমরা উদ্বুদ্ধ হয়েছি। তবে গাছ পাকা বীজ থেকে তেল করার কোনো প্রশিক্ষণ বা পদ্ধতি এখানে নেই। আমার ২৪ শতক জমিতে পানি সেচ ও পরিচর্চায় এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১২ হাজার টাকা।’
স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মো. মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলাকায় সূর্যমুখী ফুল ফোটার পর জনপদে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এতে সূর্যমুখী চাষে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়বে।’
তিনটহরী নামাপাড়ার সফল কৃষক মো. সানা উল্লাহ বলেন, ‘সূর্যমুখী চাষে ব্যয় একেবারে কম। নিয়মিত সেচ ও পরিচর্যা ছাড়া কোনো ব্যয় নেই। যে কেউ সূর্যমুখী চাষ করে ৬৫-৭০ শতাংশ লাভ করা সম্ভব।’
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই প্রথম কৃষি অফিসের প্রণোদনার বড় পরিসরে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। প্রান্তিক কৃষকদের আন্তরিকতায় চাষ ভালো হয়েছে।’
কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই জনপদের দ্বিতীয় শ্রেণির জমিতে সূর্যমুখী চাষে প্রান্তিক কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এখানে ৩০ জন কৃষকের মাঝে দুই কেজি হারে বীজ ও ৩০ কেজি হারে সার প্রণোদনা হিসেবে দিয়ে চার হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। হেক্টরে দুই টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আপাতত দেশীয় পদ্ধতিতে কৃষকেরা বীজ থেকে তেল সংগ্রহ করবে। ভবিষ্যতে সূর্যমুখী চাষ বাড়লে আধুনিক প্রযুক্তিতে তেল সংগ্রহের বিষয়ে কৃষি বিভাগ উদ্যোগ নেবে।’
বরগুনার তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের হরিণখোলা সিএনএ দাখিল মাদ্রাসার মাঠ দখল করে মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা আমন ধানের বীজতলা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৬ মিনিট আগেঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় পথসভার মধ্য দিয়ে শেষ হলো জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি। গতকাল বুধবার (৩০ জুলাই) রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইলে এ সভা হয়। সভায় দলটির নতুন কর্মসূচির ব্যপারেও জানানো হয়।
৪০ মিনিট আগেচট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং জহুরুল হক বিমান ঘাঁটিতে জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য পাইপলাইনে জেট ফুয়েল সরবরাহের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী আগস্ট মাসে এই পাইপলাইনের কমিশনিং হওয়ার কথা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও পদ্মা অয়েল কোম্পানির সহকারী...
৮ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরায় মরিচ্চাপ নদীর ওপর নির্মিত সাতটি সেতু ধসে পড়েছে। এতে সদর ও আশাশুনি উপজেলার অন্তত ২৫টি গ্রামের মানুষের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের অভিযোগ, সেতুর নিচ দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন এবং নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সেতু নির্মাণ করায় এমন বিপর্যয় ঘটেছে।
৮ ঘণ্টা আগে