সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দুই জামায়াত কর্মীকে গণপিটুনিতে মারার ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা অত্যাধুনিক বিদেশি পিস্তলটি নগর পুলিশের। ‘তরাস’ নামে ব্রাজিলের তৈরি এই পিস্তলি আধা স্বয়ংক্রিয়। এটা ব্যবহার করত নগর পুলিশ। গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নগরের থানাগুলোতে তাণ্ডব চালানোর সময় পিস্তলটি লুট হয় বলে পুলিশের ধারণা।
এর আগে গত সোমবার রাত ১০টায় সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ১৫-২০ জনের একটি দলকে ঘিরে ধরে পিটুনি দেন স্থানীয় লোকজন। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই জামায়াত কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একজনের মরদেহের পাশে বিদেশি এই পিস্তল পড়ে ছিল। সেটি জব্দ করে পুলিশ। এ সময় সেখানে কয়েকটি গুলির খোসাও পাওয়া যায়।
গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের মধ্যমকাঞ্চনা এলাকার নেজাম উদ্দিন (৪৬) এবং একই ইউনিয়নের গুরগুরি এলাকার আবু ছালেক (৩৮)। দুজনই জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে নেজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১০টির বেশি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে সাতকানিয়া থানা-পুলিশ।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা নেজাম উদ্দিন ও তাঁর সহযোগীরা এলাকায় ফিরে আসেন। এর পর থেকে নেজাম ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ করে আসছেন স্থানীয় লোকজন।
কয়েক মাস ধরে মধ্যমকাঞ্চনার ‘নিয়ন্ত্রক’ আরেক জামায়াত কর্মীর সঙ্গে নেজামের বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নেয়। দুজনই একে অপরের বিরুদ্ধে গুলিবর্ষণ ও হামলার অভিযোগ এনে স্থানীয় থানায় অভিযোগও করেন।
ঘটনার পর পুলিশের তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গণপিটুনি ও ধারালো বস্তুর আঘাতে দুজন মারা যান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর নেজাম উদ্দিনের মরদেহের পাশ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করে। ‘তরাস’ ব্র্যান্ডের ব্রাজিলের তৈরি এই পিস্তলের ম্যাগাজিন খালি ছিল। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৬টি গুলির খোসাও পাওয়া যায়।
পিস্তলটি কে বা কারা ব্যবহার করেছিল, তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, সোমবার তারাবি নামাজের পর রাত ৯টার দিকে ৯টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ১টি মোটরসাইকেলে করে অন্তত ২০ জন অস্ত্রধারীকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় জামায়াত কর্মী নেজাম উদ্দিন এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকায় যান। এ সময় স্থানীয় লোকজন ডাকাত সন্দেহে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত আসছে, ডাকাত আসছে’ বলে ঘোষণা দেন। একপর্যায়ে এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে নেজাম ও তাঁর সহযোগীদের ঘিরে ফেলেন। এ সময় নেজামের সহযোগীরা জনতাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। একপর্যায়ে নেজাম উদ্দিন, তাঁর সহযোগী আবু ছালেহসহ কয়েকজনকে ধরে ফেলেন এলাকার লোকজন। তখন পিটুনিতে দুজন মারা যান।
স্থানীয় লোকজন জানান, ঘটনার সময় অর্ধশতাধিক গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এবং বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট নগরের ৮টি থানা ও ৮টি ফাঁড়িতে তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় থানা ও ফাঁড়িগুলো থেকে পাঁচ শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও ১২ হাজারটি গুলি লুট হয়। এগুলো মধ্যে ৩০০টি বিদেশি পিস্তল রয়েছে। এসব আগ্নেয়াস্ত্রের বেশির ভাগ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহতের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তলটি বিদেশি। ধারণা করা হচ্ছে, গত ৫ আগস্ট কোনো থানা থেকে লুট হয়ে অস্ত্রটি এই যুবকদের হাতে এসেছে।
পুলিশ বলছে, সন্ত্রাসী চক্রের মাধ্যমে থানা থেকে লুটের অস্ত্রটি উপজেলা সাতকানিয়ায় সন্ত্রাসীদের কাছে পৌঁছায়।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার মাহমুদা বেগম বলেন, ৫ আগস্ট সিএমপির থানাগুলোতে তাণ্ডব চালানোর সময় অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্রের সঙ্গে তরাস ব্র্যান্ডের এই বিদেশি পিস্তলও লুট হয়েছিল।
গণপিটুনিতে নিহত এক জামায়াত কর্মীর মরদেহের পাশ থেকে থানা থেকে লুট হওয়া পিস্তল পাওয়া নিয়ে নানা আলোচনাও চলছে।
এদিকে গত মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাতকানিয়ার কাঞ্চনা ইউনিয়নের ফুলতলায় আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেকের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে দুজনের লাশ দাফন করা হয়।
ওই ঘটনায় গতকাল বুধবার রাত পৌনে ৯টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানান সাতকানিয়া থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম।
সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের বিবৃতি
গণপিটুনিতে নিহত নেজাম ও আবু ছালেকের মৃত্যুকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ দাবি করে সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলে, ‘এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রাম বহু আগে থেকেই সন্ত্রাসকবলিত। এওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাসী নজরুল ইসলাম ওরফে মানিক চেয়ারম্যান ছনখোলা গ্রামের পাহাড়, পাহাড়ি গাছ ও ইটভাটাগুলো নিয়ন্ত্রণে নিতে একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতনের পর নজরুল আত্মগোপন করলেও তাঁর বাহিনী রয়ে গেছে। তাঁর ভাই হারুন ও মমতাজের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এই সন্ত্রাসীরা এখনো নানা অপকর্মে জড়িত।
সোমবার রাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে জামায়াত কর্মী নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেককে বিচারের কথা বলে ডেকে নেওয়া হয়। পরে মাইকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে গণপিটুনির নামে চেয়ারম্যান মানিকের নির্দেশে তাঁর ভাইদের পরিকল্পনায় কুপিয়ে দুজনকে জঘন্যতম কায়দায় হত্যা করেছে।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দুই জামায়াত কর্মীকে গণপিটুনিতে মারার ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা অত্যাধুনিক বিদেশি পিস্তলটি নগর পুলিশের। ‘তরাস’ নামে ব্রাজিলের তৈরি এই পিস্তলি আধা স্বয়ংক্রিয়। এটা ব্যবহার করত নগর পুলিশ। গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নগরের থানাগুলোতে তাণ্ডব চালানোর সময় পিস্তলটি লুট হয় বলে পুলিশের ধারণা।
এর আগে গত সোমবার রাত ১০টায় সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ১৫-২০ জনের একটি দলকে ঘিরে ধরে পিটুনি দেন স্থানীয় লোকজন। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই জামায়াত কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একজনের মরদেহের পাশে বিদেশি এই পিস্তল পড়ে ছিল। সেটি জব্দ করে পুলিশ। এ সময় সেখানে কয়েকটি গুলির খোসাও পাওয়া যায়।
গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের মধ্যমকাঞ্চনা এলাকার নেজাম উদ্দিন (৪৬) এবং একই ইউনিয়নের গুরগুরি এলাকার আবু ছালেক (৩৮)। দুজনই জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে নেজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১০টির বেশি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে সাতকানিয়া থানা-পুলিশ।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা নেজাম উদ্দিন ও তাঁর সহযোগীরা এলাকায় ফিরে আসেন। এর পর থেকে নেজাম ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ করে আসছেন স্থানীয় লোকজন।
কয়েক মাস ধরে মধ্যমকাঞ্চনার ‘নিয়ন্ত্রক’ আরেক জামায়াত কর্মীর সঙ্গে নেজামের বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নেয়। দুজনই একে অপরের বিরুদ্ধে গুলিবর্ষণ ও হামলার অভিযোগ এনে স্থানীয় থানায় অভিযোগও করেন।
ঘটনার পর পুলিশের তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গণপিটুনি ও ধারালো বস্তুর আঘাতে দুজন মারা যান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর নেজাম উদ্দিনের মরদেহের পাশ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করে। ‘তরাস’ ব্র্যান্ডের ব্রাজিলের তৈরি এই পিস্তলের ম্যাগাজিন খালি ছিল। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৬টি গুলির খোসাও পাওয়া যায়।
পিস্তলটি কে বা কারা ব্যবহার করেছিল, তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, সোমবার তারাবি নামাজের পর রাত ৯টার দিকে ৯টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ১টি মোটরসাইকেলে করে অন্তত ২০ জন অস্ত্রধারীকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় জামায়াত কর্মী নেজাম উদ্দিন এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকায় যান। এ সময় স্থানীয় লোকজন ডাকাত সন্দেহে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত আসছে, ডাকাত আসছে’ বলে ঘোষণা দেন। একপর্যায়ে এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে নেজাম ও তাঁর সহযোগীদের ঘিরে ফেলেন। এ সময় নেজামের সহযোগীরা জনতাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। একপর্যায়ে নেজাম উদ্দিন, তাঁর সহযোগী আবু ছালেহসহ কয়েকজনকে ধরে ফেলেন এলাকার লোকজন। তখন পিটুনিতে দুজন মারা যান।
স্থানীয় লোকজন জানান, ঘটনার সময় অর্ধশতাধিক গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এবং বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট নগরের ৮টি থানা ও ৮টি ফাঁড়িতে তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় থানা ও ফাঁড়িগুলো থেকে পাঁচ শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও ১২ হাজারটি গুলি লুট হয়। এগুলো মধ্যে ৩০০টি বিদেশি পিস্তল রয়েছে। এসব আগ্নেয়াস্ত্রের বেশির ভাগ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহতের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তলটি বিদেশি। ধারণা করা হচ্ছে, গত ৫ আগস্ট কোনো থানা থেকে লুট হয়ে অস্ত্রটি এই যুবকদের হাতে এসেছে।
পুলিশ বলছে, সন্ত্রাসী চক্রের মাধ্যমে থানা থেকে লুটের অস্ত্রটি উপজেলা সাতকানিয়ায় সন্ত্রাসীদের কাছে পৌঁছায়।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার মাহমুদা বেগম বলেন, ৫ আগস্ট সিএমপির থানাগুলোতে তাণ্ডব চালানোর সময় অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্রের সঙ্গে তরাস ব্র্যান্ডের এই বিদেশি পিস্তলও লুট হয়েছিল।
গণপিটুনিতে নিহত এক জামায়াত কর্মীর মরদেহের পাশ থেকে থানা থেকে লুট হওয়া পিস্তল পাওয়া নিয়ে নানা আলোচনাও চলছে।
এদিকে গত মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাতকানিয়ার কাঞ্চনা ইউনিয়নের ফুলতলায় আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেকের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে দুজনের লাশ দাফন করা হয়।
ওই ঘটনায় গতকাল বুধবার রাত পৌনে ৯টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানান সাতকানিয়া থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম।
সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের বিবৃতি
গণপিটুনিতে নিহত নেজাম ও আবু ছালেকের মৃত্যুকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ দাবি করে সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলে, ‘এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রাম বহু আগে থেকেই সন্ত্রাসকবলিত। এওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাসী নজরুল ইসলাম ওরফে মানিক চেয়ারম্যান ছনখোলা গ্রামের পাহাড়, পাহাড়ি গাছ ও ইটভাটাগুলো নিয়ন্ত্রণে নিতে একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতনের পর নজরুল আত্মগোপন করলেও তাঁর বাহিনী রয়ে গেছে। তাঁর ভাই হারুন ও মমতাজের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এই সন্ত্রাসীরা এখনো নানা অপকর্মে জড়িত।
সোমবার রাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে জামায়াত কর্মী নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেককে বিচারের কথা বলে ডেকে নেওয়া হয়। পরে মাইকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে গণপিটুনির নামে চেয়ারম্যান মানিকের নির্দেশে তাঁর ভাইদের পরিকল্পনায় কুপিয়ে দুজনকে জঘন্যতম কায়দায় হত্যা করেছে।
নেতৃত্বের শূন্যতায় ধুঁকছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি)। তার প্রভাব পড়ছে নগরজীবনে। নগরবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, দূষণ, যানজট, জলজট, খানাখন্দে ভরা রাস্তাঘাট, মশার উপদ্রব, সড়কবাতির অভাবে রাতে ভুতুড়ে পরিবেশ—এসব এখন নগরবাসীর নিত্যসঙ্গী। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই।
৪ ঘণ্টা আগেদেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
৬ ঘণ্টা আগেদুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
৭ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
৭ ঘণ্টা আগে