কাউছার আলম, পটিয়া (চট্টগ্রাম)
পটিয়ায় হঠাৎ বেড়ে গেছে সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। উপজেলার বেশিরভাগ ঘরেই এখন এ ধরনের রোগী। এসব লক্ষণ দেখে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে শঙ্কা থাকলেও করোনা পরীক্ষায় তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
চিকিৎসকেরা বারবার সতর্ক করছেন, করোনা মহামারির এই সময়ে সর্দি-কাশি-জ্বর দেখা দিলে অবহেলা না করে সাবধান হতে হবে। নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জন্যও বলা হচ্ছে।
এদিকে অসুস্থ অনেকের মধ্যে করোনার উপসর্গ থাকলেও করোনা হয়েছে বলে মানতে চাচ্ছেন না অনেকে। লোকজন করোনা পরীক্ষার আগ্রহও একেবারেই দেখাচ্ছেন না।
তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, আবহাওয়ার কারণেও জ্বর বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাকেও কোনোভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
পৌর সদরের গৃহিনী নারগিস আকতার জানান, কয়েকদিন ধরে পরিবারের সবাই জ্বর-কাশিতে ভুগছেন। জ্বরের সঙ্গে সর্দি-কাশি আছে। একে একে দুই বাচ্চাও জ্বরে পড়ে। তবে একজন এমবিবিএস ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খেয়ে এখন মোটামুটি সবাই সুস্থ। এর মধ্যে দুদিন আগে আমার স্বামীর করোনা পজিটিভ আসে। চিকিৎসকের পরামর্শে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবারো ছেলে-মেয়ে ও আমার করোনা পরিক্ষা করাই। সেখানেই আমার ও মেয়ের নেগেটিভ আসলেও আমার ১৪ বছর বয়সী ছেলের করোনা পজিটিভ আসে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রাজিব দে বলেন—এই জ্বরটা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, করোনা, নন-করোনা সংক্রান্তসহ আরও কিছু কারণে হতে পারে।
এ চিকিৎসক আরো জানান, এবারের জ্বরে আগের মত উচ্চ তাপমাত্রা থাকছে না। তবে নাক জ্যাম, অল্প জ্বর, সর্দির সঙ্গে কাশি হচ্ছে। তবে এসব জ্বরে করোনার মৃদু উপসর্গ থাকায় করোনার শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ, করোনা পরীক্ষা যারা করেছে, তাদের বেশিরভাগেরই পজিটিভ আসছে। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে এবং মাস্ক পড়তে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা পরীক্ষায় ৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এতে পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সব্যসাচী নাথ জানান, বেশীরভাগ লোকের নমুনা পরীক্ষার পর করোনা পজিটিভ আসছে। তাই জ্বর হলেই প্রথমে ফিজিশিয়ানকে দেখাতে হবে। ফিজিশিয়ানই জ্বরের উপসর্গ দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন, করোনা পরীক্ষা করতে হবে কিনা। তবে জ্বর হলেই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বাসায় পরিবারের অন্য সদস্যদের সংস্পর্শ এড়িয়ে পৃথক কক্ষে অবস্থান করতে হবে।
দেখা যায়, জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের কাছে আসা বেশিরভাগ রোগীর মধ্যেই মারাত্মক দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। আবার দুর্বল শরীরে জ্বর নিয়েও অনেকে বাজারঘাটসহ জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ নিয়ে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে এ উপজেলাটি।
তবে অসুস্থদের বেশিরভাগই ডাক্তারের কাছে না গিয়ে বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে জ্বরের কথা বলে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। অনেকে আবার এরই মধ্যে বেশি সুস্থ হয়ে পড়ছেন। এর পরেও করোনা পরীক্ষা করাতে যাচ্ছেন না তাঁরা।
একাধিক রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সামাজিক বিড়ম্বনাসহ নমুনা পরীক্ষায় জটিলতা ও আস্থাহীনতার কারণে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হলেও করোনা পরীক্ষায় আগ্রহী নন তাঁরা।
অপর দিকে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের প্রায় সবারই ধারণা যে, করোনা হোক আর সাধারণ জ্বর হোক, তা সাধারণ চিকিৎসাতেই ভালো হয়ে যাবে। এ কারণে জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশিরভাগেরই করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ কম।
পটিয়ায় হঠাৎ বেড়ে গেছে সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। উপজেলার বেশিরভাগ ঘরেই এখন এ ধরনের রোগী। এসব লক্ষণ দেখে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে শঙ্কা থাকলেও করোনা পরীক্ষায় তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
চিকিৎসকেরা বারবার সতর্ক করছেন, করোনা মহামারির এই সময়ে সর্দি-কাশি-জ্বর দেখা দিলে অবহেলা না করে সাবধান হতে হবে। নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জন্যও বলা হচ্ছে।
এদিকে অসুস্থ অনেকের মধ্যে করোনার উপসর্গ থাকলেও করোনা হয়েছে বলে মানতে চাচ্ছেন না অনেকে। লোকজন করোনা পরীক্ষার আগ্রহও একেবারেই দেখাচ্ছেন না।
তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, আবহাওয়ার কারণেও জ্বর বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাকেও কোনোভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
পৌর সদরের গৃহিনী নারগিস আকতার জানান, কয়েকদিন ধরে পরিবারের সবাই জ্বর-কাশিতে ভুগছেন। জ্বরের সঙ্গে সর্দি-কাশি আছে। একে একে দুই বাচ্চাও জ্বরে পড়ে। তবে একজন এমবিবিএস ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খেয়ে এখন মোটামুটি সবাই সুস্থ। এর মধ্যে দুদিন আগে আমার স্বামীর করোনা পজিটিভ আসে। চিকিৎসকের পরামর্শে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবারো ছেলে-মেয়ে ও আমার করোনা পরিক্ষা করাই। সেখানেই আমার ও মেয়ের নেগেটিভ আসলেও আমার ১৪ বছর বয়সী ছেলের করোনা পজিটিভ আসে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রাজিব দে বলেন—এই জ্বরটা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, করোনা, নন-করোনা সংক্রান্তসহ আরও কিছু কারণে হতে পারে।
এ চিকিৎসক আরো জানান, এবারের জ্বরে আগের মত উচ্চ তাপমাত্রা থাকছে না। তবে নাক জ্যাম, অল্প জ্বর, সর্দির সঙ্গে কাশি হচ্ছে। তবে এসব জ্বরে করোনার মৃদু উপসর্গ থাকায় করোনার শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ, করোনা পরীক্ষা যারা করেছে, তাদের বেশিরভাগেরই পজিটিভ আসছে। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে এবং মাস্ক পড়তে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা পরীক্ষায় ৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এতে পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সব্যসাচী নাথ জানান, বেশীরভাগ লোকের নমুনা পরীক্ষার পর করোনা পজিটিভ আসছে। তাই জ্বর হলেই প্রথমে ফিজিশিয়ানকে দেখাতে হবে। ফিজিশিয়ানই জ্বরের উপসর্গ দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন, করোনা পরীক্ষা করতে হবে কিনা। তবে জ্বর হলেই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বাসায় পরিবারের অন্য সদস্যদের সংস্পর্শ এড়িয়ে পৃথক কক্ষে অবস্থান করতে হবে।
দেখা যায়, জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের কাছে আসা বেশিরভাগ রোগীর মধ্যেই মারাত্মক দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। আবার দুর্বল শরীরে জ্বর নিয়েও অনেকে বাজারঘাটসহ জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ নিয়ে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে এ উপজেলাটি।
তবে অসুস্থদের বেশিরভাগই ডাক্তারের কাছে না গিয়ে বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে জ্বরের কথা বলে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। অনেকে আবার এরই মধ্যে বেশি সুস্থ হয়ে পড়ছেন। এর পরেও করোনা পরীক্ষা করাতে যাচ্ছেন না তাঁরা।
একাধিক রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সামাজিক বিড়ম্বনাসহ নমুনা পরীক্ষায় জটিলতা ও আস্থাহীনতার কারণে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হলেও করোনা পরীক্ষায় আগ্রহী নন তাঁরা।
অপর দিকে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের প্রায় সবারই ধারণা যে, করোনা হোক আর সাধারণ জ্বর হোক, তা সাধারণ চিকিৎসাতেই ভালো হয়ে যাবে। এ কারণে জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশিরভাগেরই করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ কম।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আজ কাজী আমজাদ সাইদ (২০) ও সবুজা বেগম (৪০) নামের দুজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আমজাদ ঘটনার সময় উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন। আর সবুজা বেগম স্কুলে আয়ার কাজ করতেন। গতকাল আয়ান খান (১২) ও রাফসি (১২) নামের দুই শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল।’
৯ মিনিট আগেসিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে পিয়াইন নদ থেকে মুকিত আহমদ (১৮) নাম এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার (২৭ জুলাই) সকালে জাফলংয়ের বল্লাঘাট এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার মো. তোফায়েল আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করে।
১৬ মিনিট আগেসান্তাহার রেলওয়ে থানার পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার বেলা দেড়টার দিকে লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি সান্তাহার জংশন স্টেশনে প্রবেশ করছিল। সেই মুহূর্তে মোটরসাইকেল আরোহী নাসিম মাহমুদ জয় রেলক্রসিং দিয়ে দ্রুত পার হতে গেলে ওই ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে
১৭ মিনিট আগেচাঁদপুরের মতলব উত্তরে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। দিনরাত এসব কিশোর ধারালো অস্ত্র নিয়ে দলবেঁধে বেপরোয়াভাবে রাস্তাঘাটে ঘোরাফেরা করে। মারামারি, মেয়েদের উত্ত্যক্ত, মাদকসেবন, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে তারা। এ পরিস্থিতিতে অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন এবং এলাকাবাসী আতঙ্কিত।
১৯ মিনিট আগে