Ajker Patrika

হাসপাতালে করোনা রোগী কমেছে ৮০ শতাংশ

জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১: ১২
হাসপাতালে করোনা রোগী কমেছে ৮০ শতাংশ

চট্টগ্রামে এক মাসের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগী কমেছে প্রায় ৮০ শতাংশ। সঙ্গে কমে গেছে মৃত্যুও।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি জানান, চট্টগ্রামে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন এলে তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এ জন্য কঠোর স্বাস্থ্যবিধির পাশাপাশি টিকা দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত শয্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি ছিল। তবে এখন পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন। জেনারেল হাসপাতালে ২০০ শয্যার বিপরীতে সোমবার সকাল পর্যন্ত রোগী ভর্তি ৪৫ জন। অর্থাৎ আগের মাসের তুলনায় রোগী কমেছে প্রায় ৮০ শতাংশ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৩০০ শয্যার বিপরীতে এখন রোগী ভর্তি ১০০–র নিচে। অথচ গত মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত শয্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি ছিল। আগস্টের ১০ তারিখ থেকে হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি কমতে থাকে।

বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে সবচেয়ে বড় আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৭২ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি মাত্র ৪৬ জন। গত মাসে শয্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি ছিল। অর্থাৎ আগের চেয়ে প্রায় ৮০ শতাংশ কম রোগী ভর্তি। হাসপাতালটির পরিচালক ডা. নুরুল হক বলেন, আগস্টের ১৫ তারিখ থেকে রোগী ভর্তি কমতে শুরু করে। এখন রোগী ভর্তি ২০ শতাংশ।

জুন-জুলাইয়ে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় পার্ক ভিউ হাসপাতালে শয্যা বাড়িয়ে ৭০টি করা হয়। এখন হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি মাত্র ১৬ জন। এর মধ্যে ৮ জন আছেন আইসিইউতে। 
ম্যাক্স হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য ৬৩টি শয্যা ছিল। এখন ভর্তি আছেন মাত্র ১৩ জন। আগের তুলনায় রোগী ভর্তি ২০ শতাংশের কম। রোগী ভর্তি কমে যাওয়ায় শয্যার সংখ্যা কমিয়ে ৩৫ করা হয়। হাসপাতালটির জেনারেল ম্যানেজার রঞ্জন প্রসাদ দাশ বলেন, ডেলটা ধরনের প্রভাবে জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসের শুরুতে রোগী ভর্তি শয্যার চেয়ে বেশি ছিল। এমন সময় গেছে, শয্যা না থাকায় জায়গাও দিতে পারিনি। এখন ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে রোগী ভর্তি ৯৫ শতাংশ কমে এসেছে। এখন মাত্র ৫ শতাংশের কিছু বেশি শয্যায় রোগী ভর্তি। হাসপাতালটিতে ৬৫ বেডের বিপরীতে রোগী আছেন মাত্র পাঁচজন। হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার মো. সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তাঁরা তৃতীয় ঢেউয়ের প্রস্তুতি হিসেবে করোনার ল্যাব প্রস্তুত করেছেন বলে জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু এসব হাসপাতাল নয়, নগরের প্রায় সব বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি আগের চেয়ে ৮০ শতাংশ কমেছে।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সবাইকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে হবে। সব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত