Ajker Patrika

গান গেয়েই সংসার চলে আমির হোসেনের

হাতিয়া (নোয়াখালী) ইসমাইল হোসেন কিরন
গান গেয়েই সংসার চলে আমির হোসেনের

শিল্পী হিসেবে নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি। গানের সময় প্রয়োজন হয় না বাদ্যযন্ত্রের। নিজেই গান রচনা করে পরিবেশন করেন। পথে, ঘাটে, হাঁটে যে কারও অনুরোধে গান গেয়ে শোনান। গান শুনে মুগ্ধ হয়ে অনেকেই তাঁর গান ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেছেন হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামের হতদরিদ্র শিল্পী আমির হোসেন। 

আমির হোসেন বলেন, 'প্রতিদিনই অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়। পরিবারে মা নেই। বৃদ্ধ পিতা ও চার সন্তান আর স্ত্রীকে নিয়ে চলছে সংসার। নিজের মনের কষ্ট দূর করতেই মূলত গান গাওয়া।' 

এলাকা সূত্রে জানা যায়, দুই বার নদীগর্ভে বিলীন হয় আমির হোসেনের বাড়ি। ছয় বছর আগে এক একর জায়গা নিয়ে বসতি শুরু করেন হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের কেরিংচরে। অব্যাহত নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে পুনরায় বসতি স্থাপন করেন একই এলাকার জয়ের বাজারের কাছে। দুই বছর পর তাও মেঘনায় বিলীন হয়। 

বর্তমানে তিনি হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে বসবাস করছেন। নদী ভাঙনের ফলে সহায় সম্বল হারিয়ে অভাব অনটনে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। নিজের অবস্থার সঙ্গে আরও অনেকের দুরবস্থা দেখে রচনা করেন নদী ভাঙন নিয়ে গান। নদী ভাঙন নিয়ে তাঁর গান এখন হাতিয়ার অনেক মানুষের মুখে মুখে।

মূলত সাত সদস্যের পরিবারের প্রধান আমির হোসেন। তিনি পেশায় দিন মজুর। সারা দিন বিভিন্ন জনের খেতে কাজ করে যে টাকা পান তাতে মোটেও সংসার চালানো যায় না। এ জন্য বিকেলের পরে অবসর সময়টুকু বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে বাড়তি উপার্জন করেন। তাতেও চলে না তাঁর সংসার। পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেকটা অনাহারে অর্ধাহারে কাটে দিনকাল।

সম্প্রতি আমির হোসেনের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর বাড়িতে। সংবাদকর্মীদের দেখে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে দুটি চেয়ার এনে বসতে দেন। পাশেই দেখা যায় তাঁর জরাজীর্ণ কুড়ে ঘর। ঘরের অধিকাংশ জোড়া তালি দিয়ে তৈরি করা। ওপরে চালের একপাশে কিছু টিন থাকলেও আরেক পাশে ত্রিপাল দিয়ে বৃষ্টির পানি থেকে ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ঘরে একটি মাত্র চৌকি, তাতে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েসহ ছয়জনকে ঘুমাতে হয়। ঘরে অতিরিক্ত জায়গা না থাকায় বাবাকে ঘুমাতে হয় প্রতিবেশীদের ঘরে।

আমির হোসেনের মেয়ে আমেনা (১২) স্থানীয় আসাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাবার বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলে, 'বাবার উপার্জনে চলে সংসার। মাঝে মাঝে না খেয়ে যেতে হয় স্কুলে। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়লেও সরকারি উপবৃত্তি পায় না সে। কারণ তাঁর জন্ম নিবন্ধন কার্ড নেই।'

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউনিয়নের নির্বাচনে গান পরিবেশন করছেন শিল্পী আমির হোসেনআমির হোসেনের বৃদ্ধ বাবা গোলাম মাওলা বলেন, 'অভাবের সংসারে প্রতি বেলায় খাবার জোটে না। বসত ঘরের অনেক জায়গা দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে। অর্থের অভাবে মেরামত করতে পারছি না। সরকারিভাবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন সাহায্য সহযোগিতাও পাচ্ছি না।'

এ বিষয়ে জোড়খালী গ্রামের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য লিটন চৌধুরী বলেন, 'গ্রামের লোকজন আমির হোসেনকে চিনে ভান্ডারি হিসেবে। তাঁর গান অনেকের ভালো লাগে। তাই সামাজিক কোনো অনুষ্ঠান হলে যেতে হয় আমির হোসেনকে। নিজের সঙ্গে নিয়ে যান একটি খালি কলসি। সেখানে কলসির তালের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গান করেন।'

লিটন চৌধুরী আরও বলেন, 'অন্যের জায়গায় বসতি করে থাকতে হয় আমির হোসেনকে। নির্বাচনের পরে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম শুরু হলে তাঁকে একটি ঘর তৈরি করে দেওয়ার চেষ্টা করব।' 

এলাকা সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি শেষ হয়েছে হাতিয়ায় সাতটি ইউনিয়নের নির্বাচন। নির্বাচনে আমির হোসেনের চাহিদা ভালো ছিল। বিভিন্ন প্রার্থীর হয়ে গান পরিবেশন করেন তিনি। এতে ১৫ দিনে গান পরিবেশন করে তিনি প্রায় ২০ হাজার টাকা উপার্জন করেন। প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি না থাকলেও কণ্ঠ সুমধুর থাকায় এরই মধ্যে অনেকের মন কেড়েছেন এই শিল্পী। 

এ বিষয়ে হাতিয়া বঙ্গবন্ধু শিল্পী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বলেন, 'সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায় বাদ্যযন্ত্র ছাড়া বিভিন্ন বাজারের চায়ের দোকানে বসে গান পরিবেশন করছেন আমির হোসেন। আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া তাঁর অনেক গান দেখেছি। তিনি যেভাবে সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে গান রচনা ও পরিবেশন করেন তা অসাধারণ। আমি মনে করি ভালো তালিম পেলে গানে আরও ভালো করবে আমির হোসেন।'

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, 'গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিল্পী আমির হোসেনের প্রতিভার কথা আমি শুনেছি। তাঁর প্রতিভা কাজে লাগানোর জন্য আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করব।'     

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুলিশ সুপারের বাসভবনে আগুন

মেহেরপুর প্রতিনিধি
পুলিশ সুপারের বাসভবন। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশ সুপারের বাসভবন। ছবি: সংগৃহীত

মেহেরপুর পুলিশ সুপারের বাসভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বিকেল ৪টার দিকে শহরের কোর্ট মোড় এলাকায় অবস্থিত পুলিশ সুপারের বাসভবনের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হন সেখানে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের একটি দল দ্রুত সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, বাসভবনে অবস্থিত শীততাপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রটির বিস্ফোরণের ফলে এ ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাসভবনের ডাইনিং স্পেসটিতে রাখা ফ্রিজ, সোফা সেট, চেয়ার, টেবিলসহ অন্যান্য আসবাব পুড়ে গেছে।

বাসভবনে নিজে একা থাকেন জানিয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘খবর পাওয়ামাত্রই বাসভবনে এসে দেখি আগুন জ্বলছে। এখনো ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক সাকরিয়া হায়দার বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণ নিতে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আগামীকাল গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার ঘোষণা মালিক সমিতির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ৩১
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি । ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি । ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘রাজনৈতিক লকডাউনের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। আমরা এতে আতঙ্কিত না। জনস্বার্থে সবকিছুই স্বাভাবিক রাখা হবে।’

আগামীকাল বৃহস্পতিবার কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ডাকা ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে আজ বুধবার রাতে আজকের পত্রিকাকে তিনি এসব কথা বলেন।

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ বুধবার পর্যন্ত সারা দেশে ৭ থেকে ১০টি বাসে আগুন দেওয়ার খবর পেয়েছি। আমরা পুলিশকে অনুরোধ করেছি, তারা যেন গণপরিবহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। একটি বাসে সাধারণত চালক ও হেলপার থাকে। রাতে তারা গাড়ি থামিয়ে বিশ্রাম নেয়। সেই সময় কেউ যদি গিয়ে আগুন লাগায়, তা খুবই দুঃখজনক ও অন্যায়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গণপরিবহনকে ব্যবহার করা উচিত নয়।’

সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনায় পরিবহনমালিক-শ্রমিকেরা আতঙ্কিত না। আমরা সাবধানে চলাফেরার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। বাস টার্মিনালে ও সড়কের পাশে—যেখানে পরিবহন পার্কিং করে রাখা হয়েছে–সেখানে পাহারা রাখার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশকে বিশেষ ব্যবস্থা রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’

এদিকে আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচির জেরে আজ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচলে কিছুটা প্রভাব পড়ে। অন্যান্য দিনের চেয়ে এ দিন ঢাকার সড়কগুলোয় ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি গণপরিবহন কিছুটা কম দেখা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্যবসায়ী নেতা হাতেমকে হেনস্তা, ছাত্রদল নেতার দুঃখপ্রকাশ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
মোহাম্মদ হাতেম। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ হাতেম। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জে উদ্যোক্তাদের একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম হেনস্তার শিকার হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজ মিলায়তনে এ ঘটনা ঘটে। মুহূর্তে এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এদিকে আজ বুধবার রাতে সরকারি তোলারাম কলেজ শাখা ছাত্রদল সভাপতি মনির হোসেন জিয়া ওই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমি সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি। কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জের শিল্পকলা একাডেমিতে একটি অনুষ্ঠানে এনসিপির এক নেতা হাতেম সাহেবকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর হিসেবে আখ্যায়িত করে।

‘যেটা বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে ভাইরাল হয়। গত মঙ্গলবার (গতকাল) সরকারি তোলারাম কলেজের একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে তিনি (মোহাম্মদ হাতেম) আসেন। অনুষ্ঠান চলাকালে কিছু সাধারণ ছাত্র/ছাত্রী অভিযোগ করে যে, সে একজন ফ্যাসিস্টের দোসর। আমাদের কলেজের অনুষ্ঠানে তিনি কি করে আসতে পারেন? অনেকেই আমাকে বারবার কলেজ থেকে তাকে বের করে দিতে বলে। একপর্যায়ে আমি আবেগপ্রবণ হয়ে তাকে কলেজ থেকে চলে যেতে বলি।

‘তার মত একজন সম্মানিত ব্যক্তির সঙ্গে এমন আচরণ কোনোভাবেই কাম্য না। আমি এ রকম আচরণ এর জন্য মোহাম্মদ হাতেম সাহেবসহ বিকেএমইএ’র সকল ব্যবসায়ীদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ব্যবসায়ী কারণে সব সরকারের সঙ্গেই তাদের সম্পর্ক রাখতে হয়, কিন্তু এই বিষয়টি আমি সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছি। ভবিষ্যতে আমার দ্বারা এ রকমটা আর ঘটবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে শারমিন আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূর ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ।

আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার চর দুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের আলোনিয়া গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের সৌদি আরবপ্রবাসী মো. মামুন হোসেনের স্ত্রী।

নিহত ব্যক্তির স্বামীর পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইউসুফ মিয়া জানান, ঘটনার দিন বিকেলে স্বামীর বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মরদেহ ঝুলে আছে দেখে বাড়ির লোকজন চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এসে পুলিশে খবর দেয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ ও স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহআলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত