Ajker Patrika

মেয়র হতে পারায় প্রয়াত উপদেষ্টা হাসান আরিফের প্রতি কৃতজ্ঞ ডা. শাহাদাত

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
প্রয়াত উপদেষ্টা হাসান আরিফের স্মরণসভায় বক্তৃতা করেন চট্টগ্রামের মেয়র ডা. শাহাদাত। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রয়াত উপদেষ্টা হাসান আরিফের স্মরণসভায় বক্তৃতা করেন চট্টগ্রামের মেয়র ডা. শাহাদাত। ছবি: আজকের পত্রিকা

নির্বাচনের সাড়ে তিন বছর পর আদালতের রায়ের মাধ্যমে মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রয়াত উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ডা. শাহাদাত হোসেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘আমার মেয়র হওয়ার পেছনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রয়াত উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের ভূমিকা অনস্বীকার্য।’

আজ শনিবার দুপুরে বাঁশখালী গার্লস কলেজ মাঠে কলেজের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মেয়র।

মেয়র শাহাদাত বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ অত্যন্ত কর্মঠ ও মেধাবী মানুষ ছিলেন। তাঁর স্মরণশক্তি ছিল অত্যন্ত প্রখর। আমি যাতে মেয়রের চেয়ারে বসতে না পারি এ জন্য অনেকেই ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু এ এফ হাসান আরিফ স্যারের সহযোগিতায় সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে গেছে। তিনি নিজেই আমার ফাইল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে গিয়েছেন। মেয়র হওয়ার পরও দাপ্তরিক কাজে যখনই তাঁর দ্বারস্থ হয়েছি, তখনই তাঁর সহযোগিতা পেয়েছি। চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিয়ে তাঁর অনেক পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তিনি তা করে যেতে পারেননি। পবিত্র জুমাবার তিনি মহান আল্লাহ তা’য়ালার ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেছেন। সবাই তাঁর জন্য দোয়া করবেন।’

খান বাহাদুর ফাউন্ডেশনের সদস্যসচিব, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ–আমেরিকা চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়হানুল ইসলাম চৌধুরী, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদুল আলম, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মেজবাউল হক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জসীম উদ্দীন, বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা শাখাওয়াত জামাল দুলাল, হাসান আরিফের সন্তান অ্যাডভোকেট মুয়াজ আরিফ, ব্যক্তিগত সহকারী আবিদ চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান চৌধুরী প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আশির দশক থেকে হাসান আরিফ সাহেবের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তিনি দক্ষিণ চট্টগ্রামের সন্তান হলেও বাঁশখালীর প্রতি তাঁর আলাদা টান ছিল। তিনি দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্নভাবে বাঁশখালীর উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা অপূরণীয়। তিনি খান বাহাদুর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে আমাকে সব সময় সহযোগিতা করেছেন।’

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের ১১টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম চট্টগ্রাম। নির্বাচনের সাড়ে তিন বছর পর আদালতের দেওয়া রায়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে গত ৩ নভেম্বর শপথ নেন বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন। দেশে এই মুহূর্তে একমাত্র মেয়র তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত