Ajker Patrika

রাউজানে মহাশ্মশান ভাঙচুরের অভিযোগ ২ ভাইয়ের বিরুদ্ধে

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২৪, ২০: ৫০
রাউজানে মহাশ্মশান ভাঙচুরের অভিযোগ ২ ভাইয়ের বিরুদ্ধে

চট্টগ্রামের রাউজানে সর্ত্তা গহিরা পল্লী মঙ্গল সমিতির মহাশ্মশান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রাউজান থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সমিতির নেতারা। রাতের বেলা উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়নের বড়পুল এলাকায় স্থানীয় নূপুর দত্ত ও তাঁর ভাই বাদল দত্ত ভাঙচুর করে জায়গা দখলের চেষ্টা করেছে বলে দাবি তাঁদের। 

আজ শুক্রবার বিকেলে অভিযোগ পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ডিউটি কর্মকর্তা মনিতোষ চাকমা। এর আগে সকালে শ্মশানসংলগ্ন সড়কের পাশে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শ্মশান ভাঙচুরে জড়িত নূপুর দত্ত ও তাঁর ভাই বাদল দত্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। 

স্থানীয় বাসিন্দা সদীপ দে বলেন, ‘আমাদের প্রাচীন মহাশ্মশানটি দীর্ঘদিন ধরে নূপুর দত্ত ও বাদল দত্তের দখলে নিয়েছিল। গত কয়েক মাস আগে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সর্ত্তা গহিরা পল্লী মঙ্গল সমিতির মহাশ্মশানে দাহ করার জন্য পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে। সেটি রাতে অন্ধকারে ভেঙে দিয়েছে নূপুর দত্ত ও তার ভাই বাদল দত্ত। আমরা তাদের শাস্তি দাবি করছি।’ 

সর্ত্তা গহিরা পল্লী মঙ্গল সমিতির সভাপতি ডা. উত্তম পালিত বলেন, ‘আমাদের এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু নূপুর দত্ত ও তার ভাই বাদল দত্ত মিলে আমাদের শ্মশান ভাঙচুর করেছে। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আজ আমরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি। ওই দুই ভাই আমাদের নবনির্মিত মহাশ্মশান ভাঙচুর করেছে। তাদের অর্থায়নে পুনরায় নির্মাণ করে দিতে হবে। তা না হলে তাদের এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’ 

অভিযুক্ত নূপুর দত্তের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ও তাঁর ভাইকে পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয় একটি আশ্রমে আছেন বলে সংবাদ পেয়ে সেখানে গেলেও তাঁদের পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে একাধিকার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। 

সূত্র জানিয়েছে, শ্মশান ভাঙচুরের পর থেকে তাঁরা দুই ভাই পলাতক রয়েছেন। রাউজান থানার ডিউটি কর্মকর্তা মনিতোষ চাকমা বলেন, ‘মহাশ্মশান ভাঙচুরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, থানার কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত