নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসে ছাত্রশিবির সন্দেহে চার শিক্ষার্থীকে রাতভর মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করেছে পুলিশ। এরপর ঘটনাটির জানাজানি হয়।
এর আগে আহত অপর দুজনকে জোর করে গাড়িতে তুলে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর। গত বুধবার রাত থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে তাঁদের ধরে নিয়ে মারধর করার এ অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের মঞ্জুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
ওসি মঞ্জুর কাদের মঞ্জুর আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমাদের ফোর্স গিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।’
আহত চার শিক্ষার্থী হলেন জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল, সাকিব হোসেন, এম এ রায়হান ও মোবাশ্বির হোসেন শুভ্র। তাঁরা সবাই ৬২তম ব্যাচের (চতুর্থ বর্ষ, নতুন) ছাত্র।
এঁদের মধ্যে জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল ও সাকিব হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নির্যাতনকারীদের হুমকির কারণে প্রথমে তাঁদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার জানাজানি হলে আজ চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করান।
অপর দুই শিক্ষার্থী রায়হান বর্তমানে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে ও মোবাশ্বের নারায়ণগঞ্জে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসের তাঁদের রুম থেকে ডেকে নেন ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন সায়াল, ইব্রাহীম সাকিব, মাহিন আহমেদ ও জুলফিকার মোহাম্মদ শোয়েব। এ সময় তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা রিয়াজুল ইসলাম জয় ও অভিজিৎ দাশের রুমে।
সেখানে রাতভর স্টিলের রড, প্লাস্টিকের পাইপ ও ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে মারধরের পর সকালে রায়হান ও মোবাশ্বেরকে বাড়ির উদ্দেশে জোর করে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল ও সাকিব হোসেনকে রুমে আটকে রাখা হয়। আটক দুজনকে কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী যেন হাসপাতালে নিতে না পারেন, সে জন্য হামলাকারীরা রুমের সামনে পালাক্রমে পাহারা বসান। ঘটনার সময় চারজনের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।
এরই মধ্যে গাড়িতে তুলে দেওয়া নির্যাতিত এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক চমেক অধ্যক্ষকে ফোনে বিষয়টি জানান। তাৎক্ষণিকভাবে অধ্যক্ষ নগরীর চকবাজার থানা-পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত গড়ায় আটকে রাখা দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের বিষয়টি। পরে চকবাজার থানার পুলিশ ও কলেজ অধ্যক্ষ এসে দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।
ওয়াকিল ও সাকিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে সেখানেও হামলার আশঙ্কায় তাদের পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ দুজনকে আবার চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
এদিকে হামলা ঘটনায় জড়িত শোয়েবের মোবাইল ফোন কল দিলে রিসিভ করে আজকের পত্রিকার কথা শোনার পর কেটে দেন। এরপর আর ফোন ধরেননি।
আরেক অভিযুক্ত অভিজিৎ দাশ সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা সবাই শিবির নিয়ন্ত্রিত রেটিনার শিক্ষক। সরকারবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করে আসছিল। এভাবে তারা সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছিল।’
অভিজিৎ দাশ আরও বলেন ‘বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের ব্রেন ওয়াশ করারও চেষ্টা করছিল। তাদের কোনো ধরনের মারধর করা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা নিজেরাই এসব নাটক সাজিয়ে থাকতে পারে।’
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মারামারিটা আসলে কলেজে কমিটি না থাকার ফল। নিয়মিত কমিটি থাকলে এ ধরনের কাজে বহিষ্কার হওয়ার ভয় থাকে। এখন সেটা নেই।’ বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে একটি গোষ্ঠী এ ধরনের ঘটনা ঘটায় বলেও জানান এই ছাত্রনেতা।
চমেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রণয় কুমার দত্ত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ভর্তি হওয়া ওয়াকিল ও সাকিবের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে মাংসপেশিতে ব্যথা আছে। তাঁদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আহত দুই শিক্ষার্থীকে আমরা আইসিইউতে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছি। এই বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে শিক্ষকদের সঙ্গে আমরা আগামীকাল শনিবার বসব।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসে ছাত্রশিবির সন্দেহে চার শিক্ষার্থীকে রাতভর মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করেছে পুলিশ। এরপর ঘটনাটির জানাজানি হয়।
এর আগে আহত অপর দুজনকে জোর করে গাড়িতে তুলে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর। গত বুধবার রাত থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে তাঁদের ধরে নিয়ে মারধর করার এ অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের মঞ্জুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
ওসি মঞ্জুর কাদের মঞ্জুর আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমাদের ফোর্স গিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।’
আহত চার শিক্ষার্থী হলেন জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল, সাকিব হোসেন, এম এ রায়হান ও মোবাশ্বির হোসেন শুভ্র। তাঁরা সবাই ৬২তম ব্যাচের (চতুর্থ বর্ষ, নতুন) ছাত্র।
এঁদের মধ্যে জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল ও সাকিব হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নির্যাতনকারীদের হুমকির কারণে প্রথমে তাঁদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার জানাজানি হলে আজ চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করান।
অপর দুই শিক্ষার্থী রায়হান বর্তমানে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে ও মোবাশ্বের নারায়ণগঞ্জে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসের তাঁদের রুম থেকে ডেকে নেন ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন সায়াল, ইব্রাহীম সাকিব, মাহিন আহমেদ ও জুলফিকার মোহাম্মদ শোয়েব। এ সময় তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা রিয়াজুল ইসলাম জয় ও অভিজিৎ দাশের রুমে।
সেখানে রাতভর স্টিলের রড, প্লাস্টিকের পাইপ ও ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে মারধরের পর সকালে রায়হান ও মোবাশ্বেরকে বাড়ির উদ্দেশে জোর করে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল ও সাকিব হোসেনকে রুমে আটকে রাখা হয়। আটক দুজনকে কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী যেন হাসপাতালে নিতে না পারেন, সে জন্য হামলাকারীরা রুমের সামনে পালাক্রমে পাহারা বসান। ঘটনার সময় চারজনের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।
এরই মধ্যে গাড়িতে তুলে দেওয়া নির্যাতিত এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক চমেক অধ্যক্ষকে ফোনে বিষয়টি জানান। তাৎক্ষণিকভাবে অধ্যক্ষ নগরীর চকবাজার থানা-পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত গড়ায় আটকে রাখা দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের বিষয়টি। পরে চকবাজার থানার পুলিশ ও কলেজ অধ্যক্ষ এসে দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।
ওয়াকিল ও সাকিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে সেখানেও হামলার আশঙ্কায় তাদের পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ দুজনকে আবার চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
এদিকে হামলা ঘটনায় জড়িত শোয়েবের মোবাইল ফোন কল দিলে রিসিভ করে আজকের পত্রিকার কথা শোনার পর কেটে দেন। এরপর আর ফোন ধরেননি।
আরেক অভিযুক্ত অভিজিৎ দাশ সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা সবাই শিবির নিয়ন্ত্রিত রেটিনার শিক্ষক। সরকারবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করে আসছিল। এভাবে তারা সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছিল।’
অভিজিৎ দাশ আরও বলেন ‘বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের ব্রেন ওয়াশ করারও চেষ্টা করছিল। তাদের কোনো ধরনের মারধর করা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা নিজেরাই এসব নাটক সাজিয়ে থাকতে পারে।’
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মারামারিটা আসলে কলেজে কমিটি না থাকার ফল। নিয়মিত কমিটি থাকলে এ ধরনের কাজে বহিষ্কার হওয়ার ভয় থাকে। এখন সেটা নেই।’ বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে একটি গোষ্ঠী এ ধরনের ঘটনা ঘটায় বলেও জানান এই ছাত্রনেতা।
চমেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রণয় কুমার দত্ত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ভর্তি হওয়া ওয়াকিল ও সাকিবের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে মাংসপেশিতে ব্যথা আছে। তাঁদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আহত দুই শিক্ষার্থীকে আমরা আইসিইউতে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছি। এই বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে শিক্ষকদের সঙ্গে আমরা আগামীকাল শনিবার বসব।’
রাজশাহীতে ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ীহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৯ মিনিট আগেমাদারীপুরের শিবচরে বাজারে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার শিরুয়াইল বাজারে এ আগুন লাগে। তা নেভাতে গিয়ে এক ব্যবসায়ী দগ্ধ হয়েছেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
২১ মিনিট আগেনেত্রকোনার মোহনগঞ্জে এক যুবককে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে পৌর শহরের টেংগাপাড়া এলাকায় রেলস্টেশন পুকুরপাড়ে এ ঘটনা ঘটে। মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩৯ মিনিট আগেনগরের হালিশহর এইচ-ব্লক জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি প্রফেসর নুরুল আবছার গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদে মুসল্লিদের উদ্দেশে তাঁর এক বক্তব্যে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি রমজান মাস ঘিরে এলাকায় পুলিশের টহল ও নজরদারি চেয়ে নিকটবর্তী থানায় একটি আবেদন করেছিলেন
৮ ঘণ্টা আগে