Ajker Patrika

রাতভর ‘রড দিয়ে পিটিয়ে’ চমেকের ২ ছাত্রকে আইসিইউতে পাঠাল ছাত্রলীগ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১: ৫২
রাতভর ‘রড দিয়ে পিটিয়ে’ চমেকের ২ ছাত্রকে আইসিইউতে পাঠাল ছাত্রলীগ 

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসে ছাত্রশিবির সন্দেহে চার শিক্ষার্থীকে রাতভর মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করেছে পুলিশ। এরপর ঘটনাটির জানাজানি হয়। 


এর আগে আহত অপর দুজনকে জোর করে গাড়িতে তুলে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর। গত বুধবার রাত থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে তাঁদের ধরে নিয়ে মারধর করার এ অভিযোগ পাওয়া যায়। 

এ বিষয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের মঞ্জুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ 

ওসি মঞ্জুর কাদের মঞ্জুর আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমাদের ফোর্স গিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।’ 

আহত চার শিক্ষার্থী হলেন জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল, সাকিব হোসেন, এম এ রায়হান ও মোবাশ্বির হোসেন শুভ্র। তাঁরা সবাই ৬২তম ব্যাচের (চতুর্থ বর্ষ, নতুন) ছাত্র। 

এঁদের মধ্যে জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল ও সাকিব হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নির্যাতনকারীদের হুমকির কারণে প্রথমে তাঁদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার জানাজানি হলে আজ চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করান। 

অপর দুই শিক্ষার্থী রায়হান বর্তমানে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে ও মোবাশ্বের নারায়ণগঞ্জে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। 

ভুক্তভোগীরা জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসের তাঁদের রুম থেকে ডেকে নেন ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন সায়াল, ইব্রাহীম সাকিব, মাহিন আহমেদ ও জুলফিকার মোহাম্মদ শোয়েব। এ সময় তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা রিয়াজুল ইসলাম জয় ও অভিজিৎ দাশের রুমে। 

সেখানে রাতভর স্টিলের রড, প্লাস্টিকের পাইপ ও ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে মারধরের পর সকালে রায়হান ও মোবাশ্বেরকে বাড়ির উদ্দেশে জোর করে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল ও সাকিব হোসেনকে রুমে আটকে রাখা হয়। আটক দুজনকে কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী যেন হাসপাতালে নিতে না পারেন, সে জন্য হামলাকারীরা রুমের সামনে পালাক্রমে পাহারা বসান। ঘটনার সময় চারজনের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। 

আহত শিক্ষার্থী সাকিব হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকাএরই মধ্যে গাড়িতে তুলে দেওয়া নির্যাতিত এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক চমেক অধ্যক্ষকে ফোনে বিষয়টি জানান। তাৎক্ষণিকভাবে অধ্যক্ষ নগরীর চকবাজার থানা-পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত গড়ায় আটকে রাখা দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের বিষয়টি। পরে চকবাজার থানার পুলিশ ও কলেজ অধ্যক্ষ এসে দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। 

ওয়াকিল ও সাকিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে সেখানেও হামলার আশঙ্কায় তাদের পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ দুজনকে আবার চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। 

এদিকে হামলা ঘটনায় জড়িত শোয়েবের মোবাইল ফোন কল দিলে রিসিভ করে আজকের পত্রিকার কথা শোনার পর কেটে দেন। এরপর আর ফোন ধরেননি।

আরেক অভিযুক্ত অভিজিৎ দাশ সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা সবাই শিবির নিয়ন্ত্রিত রেটিনার শিক্ষক। সরকারবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করে আসছিল। এভাবে তারা সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছিল।’ 

অভিজিৎ দাশ আরও বলেন ‘বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের ব্রেন ওয়াশ করারও চেষ্টা করছিল। তাদের কোনো ধরনের মারধর করা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা নিজেরাই এসব নাটক সাজিয়ে থাকতে পারে।’ 

এই বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মারামারিটা আসলে কলেজে কমিটি না থাকার ফল। নিয়মিত কমিটি থাকলে এ ধরনের কাজে বহিষ্কার হওয়ার ভয় থাকে। এখন সেটা নেই।’ বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে একটি গোষ্ঠী এ ধরনের ঘটনা ঘটায় বলেও জানান এই ছাত্রনেতা।

চমেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রণয় কুমার দত্ত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ভর্তি হওয়া ওয়াকিল ও সাকিবের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে মাংসপেশিতে ব্যথা আছে। তাঁদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি।’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আহত দুই শিক্ষার্থীকে আমরা আইসিইউতে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছি। এই বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে শিক্ষকদের সঙ্গে আমরা আগামীকাল শনিবার বসব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহী বোর্ডে ৮২ হাজার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। তাঁরা প্রায় ৮২ হাজার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেন।

রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।

মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ‘১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করার সুযোগ ছিল। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী ৮২ হাজারের বেশি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছে। ছুটির কারণে সবকিছু দেখা হয়নি। আমরা আজ এটা দেখছি।’

চলতি বছর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ বছর বোর্ডের আওতাধীন ৩৫টি কলেজ থেকে একজন পরীক্ষার্থীও পাস করতে পারেননি। এবার শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসির ফলাফল আগের বছরগুলোর তুলনায় বেশ খারাপ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রিন্টারের ভেতর পাচার হচ্ছিল হেরোইন, রাজশাহীতে গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
জব্দ করা হেরোইন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ করা হেরোইন। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রিন্টারের ভেতর অভিনব কায়দায় লুকিয়ে হেরোইন পাচারের সময় রাজশাহীতে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের শিরোইল রেলওয়ে মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

রোববার (২৬ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দিয়ারমানিকচক মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মো. আসারুল ওরফে রনি (২১) এবং সিরাজগঞ্জের রেল কলোনির বাসিন্দা জাহানারা বেগম (৫০)।

এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬৪০ গ্রাম হেরোইন, একটি নষ্ট প্রিন্টার এবং দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

র‍্যাব-৫, সিপিএসসি রাজশাহীর একটি দল এই অভিযান চালায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসারুল ও জাহানারা দীর্ঘদিন ধরে হেরোইন পাচার করছিলেন। তাঁরা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে হেরোইন সংগ্রহ করে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করতেন।

র‍্যাব জানায়, শনিবার জাহানারা বেগম ট্রেনযোগে সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহী আসেন হেরোইন নেওয়ার জন্য। আসারুলের কাছে থাকা প্রিন্টার নেওয়ার সময় দুজনকে আটক করা হয়। পরে নষ্ট প্রিন্টারটির বক্স তল্লাশি করে টোনারের মধ্যে লুকানো অবস্থায় ৬৪০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ০৭
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের মুহূর্তে ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’

এদিকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানিয়েছে, এই ঘটনার কারণে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কখন চালু হবে তা নিশ্চিত করা হয়নি।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর উভয় পথেই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা কাজ করছি। এর বেশি এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না।’

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। এর ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এই ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ল।

মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের বিয়ারিং প্যাড থাকে। এগুলোর প্রতিটির ওজন ১৪০ বা ১৫০ কেজি। এসব বিয়ারিং প্যাড ছাড়া ট্রেন চালালে উড়ালপথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল সূত্র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুর্গাপুর সীমান্ত থেকে মালিকবিহীন ২৬৯ বোতল ফেনসিডিল জব্দ

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
জব্দ করা ফেনসিডিল। ছবি: সংগৃহীত
জব্দ করা ফেনসিডিল। ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা সীমান্ত থেকে ২৬৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। জব্দ করা এসব মাদক নেত্রকোনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হবে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম কারুজ্জামান।

এর আগে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ফান্দা নামক এলাকা থেকে এসব মাদক জব্দ করেন বিজিবির সদস্যরা।

বিজ্ঞপ্তিতে ৩১ বিজিবির অধিনায়ক জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বারমারী বিওপির (বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট) ছয় সদস্যের একটি বিশেষ টহল দল মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ওই বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ১১৬২ নম্বর হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফান্দা নামক এলাকা থেকে টহল দলটি মালিকবিহীন ২৬৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করতে সক্ষম হয় বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত