নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
সারা দেশের মতো গত পাঁচ দিন ধরে চট্টগ্রাম জুড়ে বইছে তীব্র তাপদাহ। অতি গরমে অতিষ্ঠ সব বয়সী মানুষ। এ থেকে রেহাই নেই শিশুদেরও। রমজান হওয়ায় এই সময়ে বাইরে থেকে এনে খাওয়ার প্রবণতা বেশি। এতে বিপত্তি বাড়ছে শিশুদের। আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়ায়। কেউ কেউ আবার বিভিন্ন চর্মরোগেও সংক্রমিত হচ্ছে। চট্টগ্রামে হাসপাতালগুলোতেও বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা।
শিশু ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে সমস্ত শিশু অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকছে, গরমের কারণে তারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। অনেকে আবার বিভিন্ন চর্মরোগ, সর্দিজ্বরেও আক্রান্ত হচ্ছে। যদিও অল্প দিনের চিকিৎসায় সহজে রোগ নিরাময় সম্ভব। কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা না করালে শিশুর বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
শিশুর কান্না আর চিৎকারে ভারী চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল। সারা বছর রোগীর চাপ থাকলেও অতি গরমের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে নানা সমস্যা জেঁকে বসেছে ছোট্ট শিশুদের ঘাড়ে। বর্তমানে ৩০০ শিশু এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ডায়রিয়া আক্রান্ত।
নিউমোনিয়া নিয়ে পাঁচ দিন ধরে চট্টগ্রাম মা শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি দুই বছর বয়সী রাকিব হাসনাত। তার অসুস্থতার শুরু ঠান্ডা কাশি থেকে। প্রথমে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি পরিবার। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে।
রাকিব হাসনাতের মা আয়েশা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠান্ডা কাশি থেকে গত দুদিন আগে অসুখ বেড়ে যায়। তারপর আর দেরি না করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখন অনেকটা সুস্থ।’
এ ছাড়া হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া গরমে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাবও। এক বছর বয়সী আরিয়ান চার দিন ধরে ভুগছে পাতলা পায়খানায়। কোনো কিছু খেতে না পারায় শারীরিক দুর্বলতা বেড়ে গেছে।
আরিয়ানের মা খাদিজা আক্তার বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে গরমে অতিষ্ঠ জীবন। এ ছাড়া পাঁচ দিন আগে বাইরে খাওয়া হয়েছে, সেখান থেকেই শিশুর ডায়রিয়ার সংক্রমণ। চিকিৎসকেরা ভালোভাবেই দেখছেন। আজ থেকে আরিয়ানের শরীর ভালোর দিকে মনে হচ্ছে।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘গত কয়েক দিন অত্যধিক গরমের কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। পাশাপাশি জ্বর-সর্দি ও চর্মরোগে সংক্রমিত হচ্ছে শিশুরা। মূলত বাইরের খাবার থেকে শিশুরা ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে। যে সমস্ত শিশুদের পুষ্টির ঘাটতি আছে, অস্বাস্থ্যকর গুমোট পরিবেশে বসবাস করে, তাদের সমস্যা বেশি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এই গরমে শিশুদের রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখতে বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়াতে হবে। বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি খাওয়াতে হবে। কোনোভাবেই বাইরের খাবার খাওয়ানো যাবে না। ডায়রিয়া হলে খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।’
চট্টগ্রাম মা শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মিশু তালুকদার বলেন, ‘অতিরিক্ত গরমের কারণে হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। গরমে পানিশূন্যতা বাড়ছে শিশুদের মধ্যে। শিশুরা প্রচণ্ড জ্বর, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, প্রচণ্ড গলা ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তবে এইবার প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।’
সারা দেশের মতো গত পাঁচ দিন ধরে চট্টগ্রাম জুড়ে বইছে তীব্র তাপদাহ। অতি গরমে অতিষ্ঠ সব বয়সী মানুষ। এ থেকে রেহাই নেই শিশুদেরও। রমজান হওয়ায় এই সময়ে বাইরে থেকে এনে খাওয়ার প্রবণতা বেশি। এতে বিপত্তি বাড়ছে শিশুদের। আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়ায়। কেউ কেউ আবার বিভিন্ন চর্মরোগেও সংক্রমিত হচ্ছে। চট্টগ্রামে হাসপাতালগুলোতেও বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা।
শিশু ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে সমস্ত শিশু অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকছে, গরমের কারণে তারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। অনেকে আবার বিভিন্ন চর্মরোগ, সর্দিজ্বরেও আক্রান্ত হচ্ছে। যদিও অল্প দিনের চিকিৎসায় সহজে রোগ নিরাময় সম্ভব। কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা না করালে শিশুর বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
শিশুর কান্না আর চিৎকারে ভারী চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল। সারা বছর রোগীর চাপ থাকলেও অতি গরমের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে নানা সমস্যা জেঁকে বসেছে ছোট্ট শিশুদের ঘাড়ে। বর্তমানে ৩০০ শিশু এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ডায়রিয়া আক্রান্ত।
নিউমোনিয়া নিয়ে পাঁচ দিন ধরে চট্টগ্রাম মা শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি দুই বছর বয়সী রাকিব হাসনাত। তার অসুস্থতার শুরু ঠান্ডা কাশি থেকে। প্রথমে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি পরিবার। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে।
রাকিব হাসনাতের মা আয়েশা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠান্ডা কাশি থেকে গত দুদিন আগে অসুখ বেড়ে যায়। তারপর আর দেরি না করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখন অনেকটা সুস্থ।’
এ ছাড়া হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া গরমে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাবও। এক বছর বয়সী আরিয়ান চার দিন ধরে ভুগছে পাতলা পায়খানায়। কোনো কিছু খেতে না পারায় শারীরিক দুর্বলতা বেড়ে গেছে।
আরিয়ানের মা খাদিজা আক্তার বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে গরমে অতিষ্ঠ জীবন। এ ছাড়া পাঁচ দিন আগে বাইরে খাওয়া হয়েছে, সেখান থেকেই শিশুর ডায়রিয়ার সংক্রমণ। চিকিৎসকেরা ভালোভাবেই দেখছেন। আজ থেকে আরিয়ানের শরীর ভালোর দিকে মনে হচ্ছে।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘গত কয়েক দিন অত্যধিক গরমের কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। পাশাপাশি জ্বর-সর্দি ও চর্মরোগে সংক্রমিত হচ্ছে শিশুরা। মূলত বাইরের খাবার থেকে শিশুরা ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে। যে সমস্ত শিশুদের পুষ্টির ঘাটতি আছে, অস্বাস্থ্যকর গুমোট পরিবেশে বসবাস করে, তাদের সমস্যা বেশি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এই গরমে শিশুদের রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখতে বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়াতে হবে। বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি খাওয়াতে হবে। কোনোভাবেই বাইরের খাবার খাওয়ানো যাবে না। ডায়রিয়া হলে খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।’
চট্টগ্রাম মা শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মিশু তালুকদার বলেন, ‘অতিরিক্ত গরমের কারণে হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। গরমে পানিশূন্যতা বাড়ছে শিশুদের মধ্যে। শিশুরা প্রচণ্ড জ্বর, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, প্রচণ্ড গলা ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তবে এইবার প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।’
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
১৮ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
২০ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৩৫ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে