Ajker Patrika

মানিকছড়িতে কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে সাদা বালু 

মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ৩৭
মানিকছড়িতে কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে সাদা বালু 

সমতলে আবাসন ও অবকাঠামো নির্মাণে পাহাড়ি বালুর কদর একটু বেশি। আর এটি যদি হয় সাদা বালু, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ির কৃষিজমিতে সাদা বালুখনির সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন বালু সিন্ডিকেটের একটি দল। 

জানা যায়, মানিকছড়ি উপজেলায় ছড়া এলাকার কৃষিজমিতে সাদা বালুর খনির সন্ধান পেয়েছে এলাকার বালু সিন্ডিকেটের একটি দল। উপজেলা বা ইউনিয়ন সদর থেকে একটু দূরে রয়েছে ওই স্থানটি। সেখান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তবে কৃষিজমি থেকে সাদা বালু উত্তোলন সম্পর্কে প্রশাসন এখনো অবহিত নয়। 

স্থানীয় লোকজন জানান, ছয় মাসের অধিক সময় ধরে এলাকার অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা সাদা বালুর খোঁজে ছড়া ও খাল চষে বেড়াচ্ছিল। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা গুনতে হয় বালু সিন্ডিকেটদের। তারপরও মাঝেমধ্যে অবৈধ পন্থায় হালদা খালের উজানে ছড়া ও খালে তাণ্ডবলীলা চালানো হয়।

এ ছাড়া তিনটহরী ইউনিয়নের বড়ডলু ডিপিপাড়া, গোদাতলী, লোগাংপাড়া (ত্রিপুরা), নামার তিনটহরীর নিভৃত এলাকার তিন ফসলি ধানের জমিতে পুকুর খননে প্রথমে দেখা মেলে সাদা বালুর। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকার বালু সিন্ডিকেটের সদস্য ডলুর আবদুল মন্নান, গোদাতলীর সাদ্দাম হোসেন, ডিপিপাড়ার মো. ইউনুছ মিয়া, মো. হেলাল মিয়া, মো. নুরুল হক মিয়াসহ এলাকার অন্তত ২০টি স্পটের ড্রেজার মেশিন দিয়ে জমির তলদেশে থাকা সাদা বালু উত্তোলন করার প্রতিযোগিতা শুরু করা হয়। উত্তোলিত বালুতে কাদামিশ্রিত রাস্তায় সেগুলো ড্রাম ট্রাকে এনে ডিপিপাড়া ও লোগাংপাড়ায় (ত্রিপুরা) জমা করা হয়। পরে প্রতি ট্রাকে ৪৫০ থেকে ৫০০ ঘনফুট বালু (প্রতি ঘনফুট ১৪-১৫ টাকায়) কিনে নেন ট্রাকচালকেরা। 

এ বিষয়ে বালু উত্তোলনকারী কয়েকজনের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা বিষয়টি এড়িয়ে যান।   

ডিপিপাড়া কৃষিজমির মালিক মো. নুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, জমির উজানাংশে লেক করতে গিয়ে সাদা বালু পাওয়া যায়। বালু ব্যবসায়ীরা নিজ খরচে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে নিয়ে আসেন। পরে প্রতি ঘনফুটে ৩-৪ টাকা করে জমির মালিককে দেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তামান্না মাহমুদ বলেন, ‘কৃষিজমিতে বালু উত্তোলন বিষয়টি প্রশাসন অবহিত নয়। ওই জনপদে ছড়া বা খাল নেই এবং কৃষিজমি থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে এ পর্যন্ত পর্যন্ত কেউ প্রশাসনকে জানায়নি। এ বিষয়টি মাত্র জানলাম। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

ইউএনও আরও বলেন, অবৈধভাবে বালু তোলা বা পাহাড় কাটার বিষয়ে প্রশাসন সব সময় সতর্ক রয়েছে।  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত