Ajker Patrika

কলেজছাত্রকে পেটানোর অভিযোগে এসআইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২২, ০০: ০০
কলেজছাত্রকে পেটানোর অভিযোগে এসআইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক কলেজছাত্রকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) হালিশহর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুবিনুল ইসলাম বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা মুবিনুলসহ তাঁর বাবা, ভাই ও চাচাকে আসামি করা হয়েছে। 

আদালতের বিচারক মো. জাহেদুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলমকে নির্দেশ দিয়েছেন। আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মিফতাহ্ উদ্দিন আহমদ। আজ রোববার চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্যারচর মণ্ডলপাড়ার হাবিবুর রহমান। মামলার অপর আসামিরা হলেন—এসআই মুবিনুল ইসলামের ছোট ভাই মো. রনি (২০), বাবা নুরুল আমিন সওদাগর (৫৫) ও তাঁর চাচা আবদুল হক (৩৬)। 

মামলার এজাহারের সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মামলার প্রধান আসামি মো. রনির সঙ্গে বাদীর ছোট ভাই কক্সবাজার সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমানের খেলাধুলার বিষয়কে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হয়। ওই দিন রাত ৯টার দিকে হাবিবুর রহমান ও তাঁর ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান চিরিংগা পৌরশহরে যাচ্ছিলেন। এ সময় এসআই মুবিনুল ইসলামসহ তাঁর ছোট ভাই, বাবা ও চাচা মিলে লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ছিকলঘাট বাজারের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে। এ সময় মুবিনুল নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে হাতুড়ি দিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করলে চোয়ালের একটি দাঁত পড়ে যায়। আরও তিনটি দাঁত গুরুতর জখম হয়। গলায় শ্বাসরোধ করে অন্য আসামিরা তাঁকে হত্যার চেষ্টা করে। নগদ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। আসামিদের হাতে থাকা লোহা রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি জখম করা হয়। স্থানীয় লোকজন মোস্তাফিজুর রহমানকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে হালিশহর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুবিনুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। 

এদিকে এসআই মুবিনুল ইসলাম এদিন কোথায় ছিলেন, ছুটিতে ছিলেন কীনা জানতে চাইলে হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির উদ্দিন বলেন, ‘৪ আগস্ট এসআই মুবিনুল ইসলাম ছুটিতে ছিলেন না। বিস্তারিত আমার খবর নিয়ে জানতে হবে।’ 

এ বিষয়ে চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম বলেন, ‘আদালত থেকে এই রকম কোনো নির্দেশনা পায়নি। আদালতের নির্দেশ পেলে এ ব্যাপারে তদন্ত শেষে করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’ 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) মো. আবদুল ওয়ারীশ বলেন, ‘ছুটি না নিয়ে স্টেশন ত্যাগ করা বিভাগীয় অপরাধ। ঘটনার দিন তিনি কোথায় ছিলেন তা তদন্ত করে বের করা হবে। চকরিয়া গিয়ে ফৌজদারি অপরাধে মামলা হলে আইন অনুযায়ী বিচার করবে আদালত। দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভিকারুননিসার ছাত্রী মেয়েকে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবা, ডুবে প্রাণ গেল দুজনেরই

মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় খুন—কীভাবে এক নববধূ হয়ে উঠলেন হত্যাকারী

হাসিনার মতো মাফিয়াকে বিতাড়িত করেছি, এখন আমরাই বড় মাফিয়া: এনসিপি নেতা জুবাইরুল

লন্ডনে সাক্ষাতে ইউনূসকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তাব দিতে পারেন তারেক

ব্রায়ান জেফরি রেমন্ড: সিআইএ কর্মকর্তার মুখোশে যৌন শিকারী এক নিঃশব্দ দানব

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত