নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
গত সরকারের আমলে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানার দায়িত্ব পালনকারী (ওসি) পুলিশ পরিদর্শক মো. নেজাম উদ্দিনকে হেনস্তা করেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা। খবর পেয়ে পাঁচলাইশ থানা-পুলিশ আহত অবস্থায় তাঁকে হেফাজতে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আজ সোমবার নগরীর পাঁচলাইশ প্রেসিডেন্সি স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনার দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রকাশ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে (ওসি) হেনস্তা এবং এর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
পুলিশ জানায়, পরিদর্শক নেজাম উদ্দিন স্কুল থেকে তাঁর ছেলেকে আনতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। অপর দিকে, হামলাকারীদের অভিযোগ, গত সরকারের আমলে ওসি থাকাকালে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনটির নেতা-কর্মীরা তাঁর হাতে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরীর চকবাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব শহীদুল ইসলাম শহীদের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা ওসি নেজামকে দেখতে পেয়ে আটক করে। এ সময় ওসিকে মারধর ও লাঞ্ছনার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ করেন শহীদুল ইসলাম শহীদসহ আরও কয়েকজন। মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
৫৪ সেকেন্ডের প্রথম ভিডিওতে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শহীদ ওসি নেজাম উদ্দিনের ছেঁড়া শার্টের কলার ধরে টানাটানি করতে দেখা যায়। ওসি নেজাম সবার সামনে তাঁকে লাঞ্ছিত না করতে বারবার অনুরোধ করেছিলেন।
এ সময় শহীদকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় গালি দিয়ে বলতে শোনা যায়, ‘তোর কারণে আমি বাচ্চা দেখতে পারিনি, আমি আমার বাচ্চার মুখ দেখতে পারি নাই’ বলে ওসি নেজামকে গলা চেপে ধরে মারধর করেন। এর আগে ওসি নেজাম স্কুলটিতে তাঁর ছেলে আছে জানিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আকুতি-মিনতি করেন।
৩ মিনিটের আরেকটি ভিডিওতে এক ব্যক্তি ওসি নেজামকে ধরা হয়েছে বলে নেতা-কর্মী সবাইকে নগরীর পাঁচলাইশ থানার সামনে চলে আসতে বলেন। ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘এই হচ্ছে ওসি নেজাম, শাহাদাত ভাইকে যে লাঞ্ছিত করেছিল, আমাদের কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি, আমাদের ১৫ বছর কষ্ট দিয়েছে।’
এ সময় ওসি নেজামের কাছে এসে প্রেসিডেন্সি স্কুলের একজন নিরাপত্তাকর্মী তাঁর ছেলেকে নেওয়ার বিষয় নিয়ে কথা বলেন, তাঁকে ওসি নেজাম বলেন, ‘বাচ্চা তোমাদের কাছে রেখে দাও। বাচ্চার মা এখনো আসেনি।’
খবর পেয়ে পাঁচলাইশ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শক নেজাম উদ্দিনকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। পরে থানার সামনে স্বেচ্ছাসেবক দলের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজ্জাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্যারকে আমাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’
প্রকাশ্যে পুলিশ কর্মকর্তাকে হেনস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, ‘দেশে সরকার আছে, আইন আছে। এভাবে ব্যক্তিগতভাবে আইন হাতে নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখব। তদন্তে যাঁরা জড়িত থাকবে, তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, পরিদর্শক নেজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি, সদরঘাট, বাকলিয়া ও সর্বশেষ তিনি ২০২৩ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন চলাকালীন ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার ওসির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রামে পিবিআই ও নগর গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি কুমিল্লার সিআইডিতে কর্মরত আছেন।
গত সরকারের আমলে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানার দায়িত্ব পালনকারী (ওসি) পুলিশ পরিদর্শক মো. নেজাম উদ্দিনকে হেনস্তা করেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা। খবর পেয়ে পাঁচলাইশ থানা-পুলিশ আহত অবস্থায় তাঁকে হেফাজতে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আজ সোমবার নগরীর পাঁচলাইশ প্রেসিডেন্সি স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনার দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রকাশ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে (ওসি) হেনস্তা এবং এর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
পুলিশ জানায়, পরিদর্শক নেজাম উদ্দিন স্কুল থেকে তাঁর ছেলেকে আনতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। অপর দিকে, হামলাকারীদের অভিযোগ, গত সরকারের আমলে ওসি থাকাকালে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনটির নেতা-কর্মীরা তাঁর হাতে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরীর চকবাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব শহীদুল ইসলাম শহীদের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা ওসি নেজামকে দেখতে পেয়ে আটক করে। এ সময় ওসিকে মারধর ও লাঞ্ছনার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ করেন শহীদুল ইসলাম শহীদসহ আরও কয়েকজন। মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
৫৪ সেকেন্ডের প্রথম ভিডিওতে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শহীদ ওসি নেজাম উদ্দিনের ছেঁড়া শার্টের কলার ধরে টানাটানি করতে দেখা যায়। ওসি নেজাম সবার সামনে তাঁকে লাঞ্ছিত না করতে বারবার অনুরোধ করেছিলেন।
এ সময় শহীদকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় গালি দিয়ে বলতে শোনা যায়, ‘তোর কারণে আমি বাচ্চা দেখতে পারিনি, আমি আমার বাচ্চার মুখ দেখতে পারি নাই’ বলে ওসি নেজামকে গলা চেপে ধরে মারধর করেন। এর আগে ওসি নেজাম স্কুলটিতে তাঁর ছেলে আছে জানিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আকুতি-মিনতি করেন।
৩ মিনিটের আরেকটি ভিডিওতে এক ব্যক্তি ওসি নেজামকে ধরা হয়েছে বলে নেতা-কর্মী সবাইকে নগরীর পাঁচলাইশ থানার সামনে চলে আসতে বলেন। ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘এই হচ্ছে ওসি নেজাম, শাহাদাত ভাইকে যে লাঞ্ছিত করেছিল, আমাদের কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি, আমাদের ১৫ বছর কষ্ট দিয়েছে।’
এ সময় ওসি নেজামের কাছে এসে প্রেসিডেন্সি স্কুলের একজন নিরাপত্তাকর্মী তাঁর ছেলেকে নেওয়ার বিষয় নিয়ে কথা বলেন, তাঁকে ওসি নেজাম বলেন, ‘বাচ্চা তোমাদের কাছে রেখে দাও। বাচ্চার মা এখনো আসেনি।’
খবর পেয়ে পাঁচলাইশ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শক নেজাম উদ্দিনকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। পরে থানার সামনে স্বেচ্ছাসেবক দলের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজ্জাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্যারকে আমাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’
প্রকাশ্যে পুলিশ কর্মকর্তাকে হেনস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, ‘দেশে সরকার আছে, আইন আছে। এভাবে ব্যক্তিগতভাবে আইন হাতে নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখব। তদন্তে যাঁরা জড়িত থাকবে, তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, পরিদর্শক নেজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি, সদরঘাট, বাকলিয়া ও সর্বশেষ তিনি ২০২৩ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন চলাকালীন ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার ওসির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রামে পিবিআই ও নগর গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি কুমিল্লার সিআইডিতে কর্মরত আছেন।
রাজধানীর খিলক্ষেতের একটি পলিথিন কারখানায় সারা দিন পলিথিন তৈরির পর রাতের আঁধারে বস্তায় ভরে গাজীপুরের টঙ্গী বাজার এলাকায় নিয়ে বিক্রি করা হতো। একবার সিলগালার পরও গোপনে পলিথিন তৈরি করা হতো। ফের সেনাবাহিনী ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেআগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা থেকে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার রাত ১২টায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণার সময় এ কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন।
১ ঘণ্টা আগেএখন থেকে ১৪ মে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো দিবস হিসেবে পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. রইছ উদ্দিন। একই সময় উপদেষ্টার দিকে বোতল ছুড়ে মারা শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারে বিরত থাকতেও বলেছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই সমাবেশে...
২ ঘণ্টা আগে