Ajker Patrika

লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড 

লক্ষ্মীপুর ও রায়পুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২২, ১৯: ২৭
Thumbnail image

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে স্ত্রী মমতাজ বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী বশির মিস্ত্রিকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত বশির রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চরগাজী ইউনিয়নের দণি টুমচর (আদর্শ গ্রাম) গ্রামের মৃত জয়নাল আবদিনের ছেলে। 

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, স্ত্রী হত্যার ঘটনায় আদালত বশিরকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। রায়ের সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে নোয়াখালী জেলার চরজব্বার ইউনিয়নের চরপানা উল্যা গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে মমতাজকে বিয়ে করেন বশির। এটি বশিরের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। প্রথম সংসারে তাঁর দুই ছেলে ও চার মেয়ে ছিল। বশির-মমতাজের সংসারেও দুই ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে মমতাজকে বশির মারধর করতেন। ঘটনাগুলো মীমাংসার জন্য স্থানীয়ভাবে একাধিকার সালিসি বৈঠকও করা হয়। এরপরও মমতাজকে মারধর বন্ধ করা হয়নি। 

এদিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মমতাজকে বশির ঘর থেকে ডেকে বাড়ির অদূরে সয়াবিন খেতে নিয়ে যায়। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করেন। পরে বশির সেখান থেকে স্থানীয় টাংকি বাজারে যায়। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে খোঁজার নাটক করেন। নিজেই সয়াবিন খেতে মরদেহ খুঁজে প্রচার করেন কে বা কারা মমতাজকে হত্যা করেছে। কিন্তু ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয়রা তাঁকে আটক করে। পরে পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নেয়। পরের দিন মমতাজের ভাই মো. জসিম বাদী হয়ে বশির ও অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। 

বিগত ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি রামগতি থানা-পুলিশ আদালতে বশিরের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও আট সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত