Ajker Patrika

কক্সবাজারে কটেজে তরুণীকে ধর্ষণ: আরও একজন গ্রেপ্তার

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২: ২৮
কক্সবাজারে কটেজে তরুণীকে ধর্ষণ: আরও একজন গ্রেপ্তার

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে আসা এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের রাবারবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার মো. মনিরুল ইসলাম ওরফে হারবদল (৩৫) শহরের ঘোনারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি এ মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি। এর আগে গত মঙ্গলবার মামলার প্রধান আসামি সোলায়মান শামীমকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এর আগে বুধবার ভুক্তভোগী বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবু সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আসামিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

গত রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকা থেকে ভুক্তভোগী ওই তরুণী (১৯) তিন বান্ধবীসহ পরিচিত এক ব্যক্তিকে নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে আসেন। তাঁরা কলাতলী এলাকার হোটেল মেরিন প্লাজায় ওঠেন। 

পরদিন সোমবার রাত ১১টায় হোটেল কক্ষ থেকে বের হয়ে ভুক্তভোগী এক বান্ধবীকে নিয়ে সুগন্ধা পয়েন্ট সড়কে কাঁকড়া খেতে যান। এরপর হোটেল কক্ষে ফেরার পথে তিন-চারজনের একদল দুর্বৃত্ত তাঁদের জোর করে অটোরিকশায় তুলে রাজন কটেজে নিয়ে যায়। সেখানে দুর্বৃত্তরা তাঁদের আলাদা কক্ষে জিম্মি করে। পরে ওই তরুণীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। 

ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার দুর্বৃত্তরা ভুক্তভোগী ও তাঁর বান্ধবীকে শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে নিয়ে ঢাকাগামী একটি বাসে তুলে দেয়। বাসটি রামু বাইপাস সড়ক এলাকায় পৌঁছালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ভুক্তভোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে বাস থেকে নেমে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। 

পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগী তরুণীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত