নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বেসরকারি হোটেল কর্তৃপক্ষ স্কুল বোর্ডিং স্থাপনের নামে ১৫০ একর বন্দোবস্তি ভূমি বেদখল করার অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।
আজ রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সামনে ভুক্তভোগী জনসাধারণের ব্যানারে এ মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শতাধিক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও ভুক্তভোগীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে সুইথোয়াই চিং মারমা বলেন, ‘এলাকাবাসীর বন্দোবস্তকৃত ভূমি কক্সবাজারের হোটেল সীগাল ১৫০ একর জায়গা বেদখলের চেষ্টা করছে। ওই জায়গায় ৩৫০ মারমা পরিবার বসবাস করে। সেখানে হোটেল কর্তৃপক্ষ স্কুল বোর্ডিং স্থাপন করলে বসবাসকারীরা উচ্ছেদ হয়ে যাবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।’ এই নির্মাণ প্রক্রিয়া বন্ধ করা না হলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন তিনি।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে চাক সম্প্রদায়ের নেতা মংচিং চাক বলেন, এর আগেও নাইক্ষ্যংছড়িতে বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ভূমি বেদখল করা হয়েছে। ফলে ২০০৬ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে আটটি চাক সম্প্রদায়ের পাড়া ও আটটি মারমা সম্প্রদায়ের পাড়া উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলো এখনো উদ্বাস্তু হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এবারও চারটি উপজাতীয় পাড়া উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছে তারা। ভূমি বেদখলের বিরুদ্ধে সকল ন্যায্য আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ওই চার পাড়ার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতারা বলেন, গত ২ এপ্রিল নাইক্ষ্যংছড়ি ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. অহিদ উল্লাহ স্বাক্ষরিত নোটিশে তাঁরা জানতে পারেন সীগাল বোর্ডিং স্কুল স্থাপন করা হবে সোনাইছড়ি ইউনিয়নে। অথচ বংশপরম্পরায় ওই স্থানে ৩৫০ মারমা পরিবার বসবাস করছে। মারমা পরিবারের ভোগ দখলীয় ও বন্দোবস্তকৃত জমি থেকে ১৫০ একর জায়গা বেদখলে পাঁয়তারা করছে বহিরাগত চক্র। এই ভূমি বেদখল মেনে নেওয়া হবে না বলেও জানান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এই চার নেতা।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, এলাকার আদিবাসী লোকজনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে বাইরের কাউকে ভূমি বন্দোবস্ত দেওয়া হবে না। তিনি নাইক্ষ্যংছড়িতে দায়িত্ব নিয়ে আসার পর বাইরের কাউকে ভূমি বন্দোবস্ত দেননি বলে জানান। কিন্তু স্থানীয় লোকজনকেও ভূমি বেদখলের বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানান ইউএনও।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন মংচাচিং চাক, মংবাচিং তঞ্চঙ্গ্যা, শিক্ষক মংচিং নাই মারমা প্রমুখ।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা ইউএনও এর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, হোটেল সীগালকে স্কুল নির্মাণের নামে জায়গা দেওয়া হলে ৩৫০টি মারমা পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভূমি থেকে উচ্ছেদ হবে। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বেসরকারি হোটেল কর্তৃপক্ষ স্কুল বোর্ডিং স্থাপনের নামে ১৫০ একর বন্দোবস্তি ভূমি বেদখল করার অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।
আজ রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সামনে ভুক্তভোগী জনসাধারণের ব্যানারে এ মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শতাধিক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও ভুক্তভোগীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে সুইথোয়াই চিং মারমা বলেন, ‘এলাকাবাসীর বন্দোবস্তকৃত ভূমি কক্সবাজারের হোটেল সীগাল ১৫০ একর জায়গা বেদখলের চেষ্টা করছে। ওই জায়গায় ৩৫০ মারমা পরিবার বসবাস করে। সেখানে হোটেল কর্তৃপক্ষ স্কুল বোর্ডিং স্থাপন করলে বসবাসকারীরা উচ্ছেদ হয়ে যাবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।’ এই নির্মাণ প্রক্রিয়া বন্ধ করা না হলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন তিনি।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে চাক সম্প্রদায়ের নেতা মংচিং চাক বলেন, এর আগেও নাইক্ষ্যংছড়িতে বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ভূমি বেদখল করা হয়েছে। ফলে ২০০৬ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে আটটি চাক সম্প্রদায়ের পাড়া ও আটটি মারমা সম্প্রদায়ের পাড়া উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলো এখনো উদ্বাস্তু হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এবারও চারটি উপজাতীয় পাড়া উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছে তারা। ভূমি বেদখলের বিরুদ্ধে সকল ন্যায্য আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ওই চার পাড়ার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতারা বলেন, গত ২ এপ্রিল নাইক্ষ্যংছড়ি ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. অহিদ উল্লাহ স্বাক্ষরিত নোটিশে তাঁরা জানতে পারেন সীগাল বোর্ডিং স্কুল স্থাপন করা হবে সোনাইছড়ি ইউনিয়নে। অথচ বংশপরম্পরায় ওই স্থানে ৩৫০ মারমা পরিবার বসবাস করছে। মারমা পরিবারের ভোগ দখলীয় ও বন্দোবস্তকৃত জমি থেকে ১৫০ একর জায়গা বেদখলে পাঁয়তারা করছে বহিরাগত চক্র। এই ভূমি বেদখল মেনে নেওয়া হবে না বলেও জানান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এই চার নেতা।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, এলাকার আদিবাসী লোকজনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে বাইরের কাউকে ভূমি বন্দোবস্ত দেওয়া হবে না। তিনি নাইক্ষ্যংছড়িতে দায়িত্ব নিয়ে আসার পর বাইরের কাউকে ভূমি বন্দোবস্ত দেননি বলে জানান। কিন্তু স্থানীয় লোকজনকেও ভূমি বেদখলের বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানান ইউএনও।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন মংচাচিং চাক, মংবাচিং তঞ্চঙ্গ্যা, শিক্ষক মংচিং নাই মারমা প্রমুখ।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা ইউএনও এর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, হোটেল সীগালকে স্কুল নির্মাণের নামে জায়গা দেওয়া হলে ৩৫০টি মারমা পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভূমি থেকে উচ্ছেদ হবে। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
আগুনে দগ্ধ রোগীদের শারীরিক আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে প্রবল মানসিক ধাক্কাও সইতে হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে মানসিক আঘাতের মাত্রাটা বেশি। রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত শিশুদের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হঠাৎ বিমান ধসে আগুন ধরে যাওয়া, চোখের সামনে সহপাঠীদের...
৪ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে মাত্র দুটি বৈদ্যুতিক বাল্ব, দুটি সিলিং ফ্যান ও একটি ফ্রিজ চালিয়ে ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আবদুল মান্নানের বাড়িতে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকা। এ ‘ভুতুড়ে বিল’ পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী। ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝেও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
৪ ঘণ্টা আগেমেঘনার ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ভোলার মনপুরা উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটনকেন্দ্র দখিনা হাওয়া সৈকতের বেশ কিছু অংশ। ফলে দূরদূরান্ত থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা সেখানে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের ৩৮ কিলোমিটার এলাকায় বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করছেন। গত ৭ মাসে মহাসড়কের এই অংশে অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের প্রাণহানি ও শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগে