চাকমা ভাষা বইয়ের উন্নয়ন কমিটি
হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
নিজের লেখা কবিতার পাশাপাশি স্ত্রীর নামেও কবিতা ছাপিয়েছেন। বিকৃত করেছেন গল্প। চিত্রকলার কোনো ডিগ্রি না থাকলেও ছেলেকে দিয়ে আঁকিয়েছেন ছবি। এভাবেই চাকমা ভাষার পাঠ্যবইকে ‘পারিবারিক বই’-এ পরিণত করেছেন চাকমা মাতৃভাষা বইয়ের উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক প্রসন্ন কুমার চাকমা। ২০২৫ সালের জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রাক্ ও প্রাথমিক স্তরের চাকমা মাতৃভাষার বইগুলো সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পাঠ্যবইয়ে প্রাক্-প্রাথমিকে একটি গল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দুলেই কুমারী’। চাকমা ভাষার প্রশিক্ষকেরা বলছেন, গল্পটি ‘ডুলো হুমুরি’ নামে প্রচলিত। সেটা ‘দুলেই কুমারী’ কীভাবে হলো, তা কেউ বুঝতে পারছেন না।
চাকমা মাতৃভাষা বইয়ের উন্নয়ন কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাকমা ভাষার বইগুলো মানসম্মত না হওয়ার অন্যতম কারণ কমিটির আহ্বায়ক প্রসন্ন কুমার চাকমা। তিনি কারও পরামর্শ গ্রহণ করেন না। তাঁর ছেলে লিটন চাকমার চিত্রকলার কোনো ডিগ্রি না থাকলেও তাঁর আঁকা ছবিতেই সয়লাব বইগুলো। তাঁর আঁকা ছবিতে মানুষের চেহারা ফুটে ওঠেনি। দ্বিতীয় শ্রেণির বইয়ের ২০ নম্বর পৃষ্ঠায় সিংহ, ৪২ নম্বর পৃষ্ঠায় বিড়ালের ছবি ছাপা হয়েছে বিকৃতভাবে। এই বইয়ে নিজের নামে কবিতা ছাপিয়েছেন প্রসন্ন কুমার। প্রথম শ্রেণির ১০ ও ১৫ নম্বর পৃষ্ঠায়ও নিজের নামে কবিতা ছেপেছেন তিনি। তৃতীয় শ্রেণির বইয়ের ৫৭ নম্বর পৃষ্ঠায় স্ত্রী কনক প্রভা চাকমার নামে ছাপিয়েছেন কবিতা।
রাঙামাটি জেলায় চাকমা ভাষা শিক্ষার প্রশিক্ষক অনন্ত রঞ্জন চাকমা বলেন, ‘চাকমা ভাষার বইগুলো প্রসন্ন কুমার চাকমার পারিবারিক বইয়ের মতো হয়েছে। মানুষের মতামত গ্রহণ তো দূরের কথা, স্বয়ং বই উন্নয়ন কমিটির সদস্যদের মতামত পর্যন্ত নেননি।’
মাতৃভাষা বইয়ের উন্নয়ন কমিটির সদস্য চিত্রশিল্পী উদয় শংকর চাকমা বলেন, ‘বইয়ের ছবিগুলো নিয়ে আমাকে জবাবদিহি করতে হয়। কিন্তু ছবিগুলো তো আমার নয়। বইয়ে অধিকাংশ ছবি লিটনের। কোন ছবি ছাপানো হবে সে সিদ্ধান্তও নেন প্রসন্ন কুমার। ছবি ভালো কিংবা খারাপ সব দায় তো আমাকে নিতে হয়। ছবি নিয়ে আমি কোনো কথাই বলতে পারি না। প্রসন্ন কুমার উল্টো ধমক দেন।’
কমিটির আরেক সদস্য দেব কুমার চাকমা বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় বইয়ের মান উন্নয়নের জন্য সুপারিশ করলেও পরে দেখা যায় সেটা গ্রহণ করা হচ্ছে না। বই প্রণয়নের জন্য আমাদের খুব কম সময় দেয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, ছেলে লিটন চাকমার চিত্রকলার কোনো ডিগ্রি না থাকলেও তাঁকে চিত্রশিল্পী হিসেবে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেন প্রসন্ন কুমার চাকমা। এ ব্যাপারে লিটন চাকমা বলেন, ‘চিত্রকলা নিয়ে আমার কোনো ডিগ্রি নেই। তবে ছবি আঁকি। অনেক পুরস্কারও পেয়েছি। চাকমা ভাষার বইগুলোতে আমার একাধিক ছবি আছে।’
কমিটির একাধিক সদস্য বলেছেন, বইয়ে কবিতা, ছবি ছাপার জন্য টাকা দেয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। এ ছাড়া বিভিন্ন ট্রেনিং এবং আলাদা ভাতাও দেওয়া হয়।
অভিযোগ বিষয়ে প্রসন্ন কুমার চাকমা বলেন, ‘সময় দেওয়া হয় না। তাৎক্ষণিক কবিতা চাওয়া হয়। কবিতা সংগ্রহের সময় পাই না। সে জন্য আমি তাৎক্ষণিক কবিতা রচনা করে জমা দিই। আমার স্ত্রীর নামে কবিতা আছে।’ ছেলে লিটনের ছবিও ছাপিয়েছেন বলে স্বীকার করেন তিনি।
বইগুলোতে পরিবার জড়িত হওয়ার কারণ হিসেবে প্রসন্ন কুমার বলেন, চাকমা ভাষায় পারদর্শী মানুষের অভাব। তারা কবিতা লেখে না, ছবি আঁকে না, সমস্যা এখানে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দক্ষ প্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের দিয়ে বইটি যেন সবার গ্রহণযোগ্য হয়, সেটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। মাতৃভাষার বইয়ে কোনো পরিবারকে হাইলাইট করার সুযোগ নেই। যদি হয়ে থাকে, তা তদন্ত করে সংশোধন করে স্ব স্ব জাতিগোষ্ঠীর গ্রহণযোগ্য হয় এমন বই করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাকমা সার্কেল চিফ রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, ‘বইগুলো আমি দেখেছি। মান খারাপ হয়েছে। এগুলো বাচ্চাদের শেখানো হলে ভুল শিখবে। এ ভুল শেখানো ঠিক হবে না। এ বিষয়ে আমরা জেলা পরিষদ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখব।’
নিজের লেখা কবিতার পাশাপাশি স্ত্রীর নামেও কবিতা ছাপিয়েছেন। বিকৃত করেছেন গল্প। চিত্রকলার কোনো ডিগ্রি না থাকলেও ছেলেকে দিয়ে আঁকিয়েছেন ছবি। এভাবেই চাকমা ভাষার পাঠ্যবইকে ‘পারিবারিক বই’-এ পরিণত করেছেন চাকমা মাতৃভাষা বইয়ের উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক প্রসন্ন কুমার চাকমা। ২০২৫ সালের জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রাক্ ও প্রাথমিক স্তরের চাকমা মাতৃভাষার বইগুলো সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পাঠ্যবইয়ে প্রাক্-প্রাথমিকে একটি গল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দুলেই কুমারী’। চাকমা ভাষার প্রশিক্ষকেরা বলছেন, গল্পটি ‘ডুলো হুমুরি’ নামে প্রচলিত। সেটা ‘দুলেই কুমারী’ কীভাবে হলো, তা কেউ বুঝতে পারছেন না।
চাকমা মাতৃভাষা বইয়ের উন্নয়ন কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাকমা ভাষার বইগুলো মানসম্মত না হওয়ার অন্যতম কারণ কমিটির আহ্বায়ক প্রসন্ন কুমার চাকমা। তিনি কারও পরামর্শ গ্রহণ করেন না। তাঁর ছেলে লিটন চাকমার চিত্রকলার কোনো ডিগ্রি না থাকলেও তাঁর আঁকা ছবিতেই সয়লাব বইগুলো। তাঁর আঁকা ছবিতে মানুষের চেহারা ফুটে ওঠেনি। দ্বিতীয় শ্রেণির বইয়ের ২০ নম্বর পৃষ্ঠায় সিংহ, ৪২ নম্বর পৃষ্ঠায় বিড়ালের ছবি ছাপা হয়েছে বিকৃতভাবে। এই বইয়ে নিজের নামে কবিতা ছাপিয়েছেন প্রসন্ন কুমার। প্রথম শ্রেণির ১০ ও ১৫ নম্বর পৃষ্ঠায়ও নিজের নামে কবিতা ছেপেছেন তিনি। তৃতীয় শ্রেণির বইয়ের ৫৭ নম্বর পৃষ্ঠায় স্ত্রী কনক প্রভা চাকমার নামে ছাপিয়েছেন কবিতা।
রাঙামাটি জেলায় চাকমা ভাষা শিক্ষার প্রশিক্ষক অনন্ত রঞ্জন চাকমা বলেন, ‘চাকমা ভাষার বইগুলো প্রসন্ন কুমার চাকমার পারিবারিক বইয়ের মতো হয়েছে। মানুষের মতামত গ্রহণ তো দূরের কথা, স্বয়ং বই উন্নয়ন কমিটির সদস্যদের মতামত পর্যন্ত নেননি।’
মাতৃভাষা বইয়ের উন্নয়ন কমিটির সদস্য চিত্রশিল্পী উদয় শংকর চাকমা বলেন, ‘বইয়ের ছবিগুলো নিয়ে আমাকে জবাবদিহি করতে হয়। কিন্তু ছবিগুলো তো আমার নয়। বইয়ে অধিকাংশ ছবি লিটনের। কোন ছবি ছাপানো হবে সে সিদ্ধান্তও নেন প্রসন্ন কুমার। ছবি ভালো কিংবা খারাপ সব দায় তো আমাকে নিতে হয়। ছবি নিয়ে আমি কোনো কথাই বলতে পারি না। প্রসন্ন কুমার উল্টো ধমক দেন।’
কমিটির আরেক সদস্য দেব কুমার চাকমা বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় বইয়ের মান উন্নয়নের জন্য সুপারিশ করলেও পরে দেখা যায় সেটা গ্রহণ করা হচ্ছে না। বই প্রণয়নের জন্য আমাদের খুব কম সময় দেয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, ছেলে লিটন চাকমার চিত্রকলার কোনো ডিগ্রি না থাকলেও তাঁকে চিত্রশিল্পী হিসেবে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেন প্রসন্ন কুমার চাকমা। এ ব্যাপারে লিটন চাকমা বলেন, ‘চিত্রকলা নিয়ে আমার কোনো ডিগ্রি নেই। তবে ছবি আঁকি। অনেক পুরস্কারও পেয়েছি। চাকমা ভাষার বইগুলোতে আমার একাধিক ছবি আছে।’
কমিটির একাধিক সদস্য বলেছেন, বইয়ে কবিতা, ছবি ছাপার জন্য টাকা দেয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। এ ছাড়া বিভিন্ন ট্রেনিং এবং আলাদা ভাতাও দেওয়া হয়।
অভিযোগ বিষয়ে প্রসন্ন কুমার চাকমা বলেন, ‘সময় দেওয়া হয় না। তাৎক্ষণিক কবিতা চাওয়া হয়। কবিতা সংগ্রহের সময় পাই না। সে জন্য আমি তাৎক্ষণিক কবিতা রচনা করে জমা দিই। আমার স্ত্রীর নামে কবিতা আছে।’ ছেলে লিটনের ছবিও ছাপিয়েছেন বলে স্বীকার করেন তিনি।
বইগুলোতে পরিবার জড়িত হওয়ার কারণ হিসেবে প্রসন্ন কুমার বলেন, চাকমা ভাষায় পারদর্শী মানুষের অভাব। তারা কবিতা লেখে না, ছবি আঁকে না, সমস্যা এখানে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দক্ষ প্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের দিয়ে বইটি যেন সবার গ্রহণযোগ্য হয়, সেটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। মাতৃভাষার বইয়ে কোনো পরিবারকে হাইলাইট করার সুযোগ নেই। যদি হয়ে থাকে, তা তদন্ত করে সংশোধন করে স্ব স্ব জাতিগোষ্ঠীর গ্রহণযোগ্য হয় এমন বই করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাকমা সার্কেল চিফ রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, ‘বইগুলো আমি দেখেছি। মান খারাপ হয়েছে। এগুলো বাচ্চাদের শেখানো হলে ভুল শিখবে। এ ভুল শেখানো ঠিক হবে না। এ বিষয়ে আমরা জেলা পরিষদ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখব।’
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে উপজেলার গ্রীষ্মকালীন সবজি, আউশ ধানের বীজতলা ও রোপা আউশ ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেউত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের প্রধান সড়ক রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক। এ মহাসড়কের রংপুরের পাগলাপীর থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশ এখন পথচারী ও যানবাহনের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। হাজারো গর্তে ভরা এই মহাসড়কে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। ভোগান্তির শেষ নেই যাত্রী ও চালকদের।
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকার কোরবানির অস্থায়ী ও স্থায়ী পশুর হাটগুলোতে ক্রেতার অপেক্ষায় ব্যাপারীরা। গরু-ছাগলে হাটগুলো ভরে উঠলেও ক্রেতা কম। তাঁদের মধ্যেও বেশির ভাগ আসছেন দাম যাচাই করতে। ধারণা করা হচ্ছে, আজ বুধবার অফিস শেষে ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হলে হাটে অনেক ক্রেতা আসবেন, মূল বেচাকেনা শুরু হবে।
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ বিস্ফোরণের তিন বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। এই তিন বছরে ডিপো এলাকায় আগের চিত্র ফিরলেও এখন পর্যন্ত থামেনি স্বজন হারানোর কান্না। ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে যেনতেন বিচারে যেমন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের মনে স্বস্তি ফেরেনি, তেমনি উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার...
৬ ঘণ্টা আগে