মারুফ কিবরিয়া ও তানিম আহমেদ, কুমিল্লা থেকে
‘নৌকা নৌকা’… ‘জয় বাংলা’… ‘বাহার ভাই বাহার ভাই’। নানা নাটকীয়তায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল ঘোষণায় রিটার্নিং কর্মকর্তা আরফানুল হক রিফাত জয়ী বলে জানান। ফল ঘোষণার পরপরই সড়কে নেমে পড়েন আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা। জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে চারদিকে শুরু হয় মিছিল। আর মিছিলের এই ধ্বনিতে বাজছিল ওই স্লোগানগুলো। কুমিল্লা শহরের ভোটে জয়ী রিফাত হলেও সমর্থকদের মুখে ‘বাহার ভাই, বাহার ভাই’। থাকবেই না কেন? কুমিল্লায় স্থানীয় সংসদ সদস্য যা চান তা-ই হয়। এমন কথা তো বেশ প্রতিষ্ঠিত। আর গতকাল বুধবারের নির্বাচনে সেটা আরেকবার প্রমাণিত হয়েছে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দিনভর সুষ্ঠু ও সুন্দর ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ফলাফল ঘোষণার শেষ মুহূর্তই স্মরণ করে রাখবেন কুমিল্লাবাসী। এই দৃশ্য রূপকথার গল্পকেও হার মানিয়েছে। ৬২৯ ভোটে এগিয়ে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর হঠাৎ ৩৪৩ ভোটে হেরে যাওয়াটা সত্যিই অকল্পনীয় বলেই মনে করছেন তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁরা বলছেন, এখানে ক্ষমতাসীনদের কারসাজিতেই এমন ফল তৈরি হয়েছে। নয়তো নির্বাচন কমিশন মাত্র চার কেন্দ্রের ফল ঘোষণা না করেই ১০৫ কেন্দ্রের একসঙ্গে ঘোষণা করেছে কেন? অনেকের দাবি, ইসি বরাবরের মতো সরকার দলীয়দের চাপে পড়ে তাদের জেতাতে বাধ্য হয়েছে।
সাক্কু হেরে যাওয়ার পর কান্দিরপাড়ে রাতেই শুরু হয় এমন আলোচনা। অন্যদিকে নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীর সমর্থকেরা এমপি বাহারের নাম ধরেই স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন। গোমতী পাড়ে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনকে ঘিরে শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন বাহার। ভোটের মাঠে প্রভাবিত করার অভিযোগ, প্রচারে অংশ নেওয়াসহ নানা কারণে ইসি তাকে সাবধান থেকে কুমিল্লা ছাড়ার নির্দেশও দিয়েছিল। কিন্তু এতে সাড়া না দিয়ে বরং কুমিল্লাতেই অবস্থান করেছেন প্রভাবশালী এই এমপি। এতে অবশ্য ইসিকে নিয়েও সমালোচনা কম হয়নি দেশজুড়ে। অনেকে তো বলেই ফেলেছেন, এক এমপিকে সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে সরাতে পারেনি ইসি। আর জাতীয় নির্বাচন কীভাবে করবে?
তবে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রিফাতের জয় দেখেই ছাড়লেন এমপি বাহার। আর সেই সঙ্গে সাক্কু যুগের ইতি ঘটল কুমিল্লা নগরীতে।
যেমন ছিল ভোটের ফলের চিত্র
গতকাল বিকেল চারটার পরপরই ফল গণনায় বসে যান নির্বাচনী কর্মকর্তারা। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে একের পর এক ফলাফল আসতে থাকে। রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী ঘোষণা দেন কোন মেয়রপ্রার্থী কত ভোটে এগিয়ে। মুহূর্তে মুহূর্তে বাড়তে থাকে উত্তেজনা। কখনো সাক্কু এগিয়ে কখনো রিফাত। শাহেদুন্নবী চৌধুরী যখন শেষ ঘোষণা দিচ্ছিলেন তখন রাত সাড়ে আটটা। এ সময় ৭২টি কেন্দ্রে নৌকার রিফাত সাক্কুর চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু এরপর আর কোনো একীভূত ফল ঘোষণা করেনি রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর মধ্যে গোটা দশেক কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করে ক্ষণিক বিরতি নেন শাহেদুন্নবী চৌধুরী। ফিরে এসে হিসেব মতে ১০১টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন তিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে একীভূত করে সেই ১০১ কেন্দ্রের ফল না জানালেও এসব কেন্দ্রে ৬২৯ ভোটে এগিয়ে থাকেন সাক্কু। এরপর রিফাত সমর্থকের শিল্পকলা একাডেমি হলে ঢুকে নৌকার মিছিল শুরু করেন। সেই সঙ্গে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সেখানে। রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বারবার মাইকে সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ করলেও কেউ তা থামাননি। একপর্যায়ে রিফাত সমর্থক ও সাক্কু সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে যান। পরবর্তীতে পুলিশ বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে তা থামায়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে শাহেদুন্নবী বাকি থাকা চার কেন্দ্র আলাদা করে ঘোষণা না দিয়েই ১০৫ কেন্দ্রে ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে নৌকা মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
কুসিক নির্বাচন-সম্পর্কিত খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন
ফলের পর আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধিতে বলা আছে ফলাফল ঘোষণার পর কোনো প্রার্থী কিংবা তার সমর্থকেরা কোনো বিজয় উল্লাস করতে পারবেন না। কিন্তু সেই বিধি ভঙ্গ করে রাতেই বিজয় উল্লাসে নেমে পড়তে দেখা যায় কুমিল্লা নগরীতে। রিফাতের জয়ে নৌকার মিছিল নিয়ে কান্দিরপাড়ের চারমুখী রাস্তার সব দিক থেকেই মিছিল নিয়ে বের হন কর্মী সমর্থকেরা।
কুসিক নির্বাচন ২০২২ সম্পর্কিত পড়ুন:
‘নৌকা নৌকা’… ‘জয় বাংলা’… ‘বাহার ভাই বাহার ভাই’। নানা নাটকীয়তায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল ঘোষণায় রিটার্নিং কর্মকর্তা আরফানুল হক রিফাত জয়ী বলে জানান। ফল ঘোষণার পরপরই সড়কে নেমে পড়েন আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা। জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে চারদিকে শুরু হয় মিছিল। আর মিছিলের এই ধ্বনিতে বাজছিল ওই স্লোগানগুলো। কুমিল্লা শহরের ভোটে জয়ী রিফাত হলেও সমর্থকদের মুখে ‘বাহার ভাই, বাহার ভাই’। থাকবেই না কেন? কুমিল্লায় স্থানীয় সংসদ সদস্য যা চান তা-ই হয়। এমন কথা তো বেশ প্রতিষ্ঠিত। আর গতকাল বুধবারের নির্বাচনে সেটা আরেকবার প্রমাণিত হয়েছে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দিনভর সুষ্ঠু ও সুন্দর ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ফলাফল ঘোষণার শেষ মুহূর্তই স্মরণ করে রাখবেন কুমিল্লাবাসী। এই দৃশ্য রূপকথার গল্পকেও হার মানিয়েছে। ৬২৯ ভোটে এগিয়ে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর হঠাৎ ৩৪৩ ভোটে হেরে যাওয়াটা সত্যিই অকল্পনীয় বলেই মনে করছেন তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁরা বলছেন, এখানে ক্ষমতাসীনদের কারসাজিতেই এমন ফল তৈরি হয়েছে। নয়তো নির্বাচন কমিশন মাত্র চার কেন্দ্রের ফল ঘোষণা না করেই ১০৫ কেন্দ্রের একসঙ্গে ঘোষণা করেছে কেন? অনেকের দাবি, ইসি বরাবরের মতো সরকার দলীয়দের চাপে পড়ে তাদের জেতাতে বাধ্য হয়েছে।
সাক্কু হেরে যাওয়ার পর কান্দিরপাড়ে রাতেই শুরু হয় এমন আলোচনা। অন্যদিকে নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীর সমর্থকেরা এমপি বাহারের নাম ধরেই স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন। গোমতী পাড়ে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনকে ঘিরে শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন বাহার। ভোটের মাঠে প্রভাবিত করার অভিযোগ, প্রচারে অংশ নেওয়াসহ নানা কারণে ইসি তাকে সাবধান থেকে কুমিল্লা ছাড়ার নির্দেশও দিয়েছিল। কিন্তু এতে সাড়া না দিয়ে বরং কুমিল্লাতেই অবস্থান করেছেন প্রভাবশালী এই এমপি। এতে অবশ্য ইসিকে নিয়েও সমালোচনা কম হয়নি দেশজুড়ে। অনেকে তো বলেই ফেলেছেন, এক এমপিকে সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে সরাতে পারেনি ইসি। আর জাতীয় নির্বাচন কীভাবে করবে?
তবে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রিফাতের জয় দেখেই ছাড়লেন এমপি বাহার। আর সেই সঙ্গে সাক্কু যুগের ইতি ঘটল কুমিল্লা নগরীতে।
যেমন ছিল ভোটের ফলের চিত্র
গতকাল বিকেল চারটার পরপরই ফল গণনায় বসে যান নির্বাচনী কর্মকর্তারা। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে একের পর এক ফলাফল আসতে থাকে। রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী ঘোষণা দেন কোন মেয়রপ্রার্থী কত ভোটে এগিয়ে। মুহূর্তে মুহূর্তে বাড়তে থাকে উত্তেজনা। কখনো সাক্কু এগিয়ে কখনো রিফাত। শাহেদুন্নবী চৌধুরী যখন শেষ ঘোষণা দিচ্ছিলেন তখন রাত সাড়ে আটটা। এ সময় ৭২টি কেন্দ্রে নৌকার রিফাত সাক্কুর চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু এরপর আর কোনো একীভূত ফল ঘোষণা করেনি রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর মধ্যে গোটা দশেক কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করে ক্ষণিক বিরতি নেন শাহেদুন্নবী চৌধুরী। ফিরে এসে হিসেব মতে ১০১টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন তিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে একীভূত করে সেই ১০১ কেন্দ্রের ফল না জানালেও এসব কেন্দ্রে ৬২৯ ভোটে এগিয়ে থাকেন সাক্কু। এরপর রিফাত সমর্থকের শিল্পকলা একাডেমি হলে ঢুকে নৌকার মিছিল শুরু করেন। সেই সঙ্গে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সেখানে। রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বারবার মাইকে সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ করলেও কেউ তা থামাননি। একপর্যায়ে রিফাত সমর্থক ও সাক্কু সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে যান। পরবর্তীতে পুলিশ বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে তা থামায়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে শাহেদুন্নবী বাকি থাকা চার কেন্দ্র আলাদা করে ঘোষণা না দিয়েই ১০৫ কেন্দ্রে ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে নৌকা মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
কুসিক নির্বাচন-সম্পর্কিত খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন
ফলের পর আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধিতে বলা আছে ফলাফল ঘোষণার পর কোনো প্রার্থী কিংবা তার সমর্থকেরা কোনো বিজয় উল্লাস করতে পারবেন না। কিন্তু সেই বিধি ভঙ্গ করে রাতেই বিজয় উল্লাসে নেমে পড়তে দেখা যায় কুমিল্লা নগরীতে। রিফাতের জয়ে নৌকার মিছিল নিয়ে কান্দিরপাড়ের চারমুখী রাস্তার সব দিক থেকেই মিছিল নিয়ে বের হন কর্মী সমর্থকেরা।
কুসিক নির্বাচন ২০২২ সম্পর্কিত পড়ুন:
রাজধানীতে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তার জন্য অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে ৪২৬ জন ‘সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রশিক্ষণ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়ায় তাঁদের অনেকে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জানেন না।
২ ঘণ্টা আগেনতুন করে অচলাবস্থা দেখা দিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে আজ সোমবার বেলা ৩টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ৩৬টি খাল ঘিরে বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা বরাদ্দে শুরু করা এ প্রকল্পের আকার এখন ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা।
২ ঘণ্টা আগেসরকার পতনের পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়রকে অপসারণ ও কাউন্সিলদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর জরুরি সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তবে তাঁদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পর এই বাড়তি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। নাগরিক সনদ, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, রাস্তা মেরামত, পরিচ্ছন্নতা, মশক নিয়ন্ত্রণসহ
২ ঘণ্টা আগে