Ajker Patrika

ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, আহত চবির ১২ শিক্ষার্থী

চবি সংবাদদাতা
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ২২: ২৫
Thumbnail image

বন্যার্তদের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ত্রাণবাহী ট্রাক নোয়াখালী যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়েছে। এতে ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় গুরুতর আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ফাহিম আহমাদ পলাশ ও একই শিক্ষাবর্ষের সাদমান হায়দারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

আহত শিক্ষার্থীদের সহপাঠী পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. আশিক সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যার্তদের জন্য দুই দিন ধরে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ট্রাকে করে নোয়াখালী সেনবাগের উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে রওনা দেয় বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

পথে মীরসরাই পার হওয়ার পর জোরারগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে চালকের অসাবধানতার কারণে সামনে থাকা একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে সামনের আসনে থাকা দুজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন এবং ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গাড়িতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগৃহীত তৃতীয় দিনের ত্রাণ ছিল। 

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আশিক সরকার বলেন, ‘আমাদের বিভাগের একটি দল ট্রাকে করে ত্রাণ নিয়ে নোয়াখালী সেনবাগের উদ্দেশে রাত ৩টা নাগাদ রওনা হয়। পথে মীরসরাই পার হওয়ার পর জোরারগঞ্জে ত্রাণবাহী ট্রাকটি সামনের একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে সামনের সিটে থাকা ২ জন গুরুতর আহত হন, আর বাকিরাও আঘাত পেয়েছেন শরীরের বিভিন্ন জায়গায়। সবাইকে চমেকে ফ্রি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’ 

তিনি আরও বলেন, পলাশের এক পায়ের জয়েন্ট ছুটে গেছে ও দুই পা ভেঙে গেছে, সাদমানেরও পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। আর কায়কোবাদ নামে আরেকজন মাথায় আঘাত পেয়েছেন। 

একই বিভাগের আব্দুল্লাহ আবিদ তানভীর বলেন, ‘৫৩ ব্যাচের কায়কোবাদের মাথায় আঘাত লেগেছিল। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে এখন। বাসায় নিয়ে গেছে ওর পরিবার। আমাদের ৪৯ ব্যাচের পলাশের হিপ জয়েন্ট সরে গেছে, তাঁর অপারেশন হয়েছে কিন্তু ভাঙা পায়ের অপারেশন ২-৩ দিন পর করতে হবে। অবস্থা এখনো আশঙ্কামুক্ত হয়নি। বাকিটা অপারেশনের পর জানা যাবে। আর ৪৯ ব্যাচের সাদমানের অপারেশন হয়েছে এবং সুস্থ আছে।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি চন্দন কুমার পোদ্দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে আহতদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। আমি কালকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত