Ajker Patrika

লাকসামে বাজারে অগ্নিকাণ্ড, আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি

প্রতিনিধি
লাকসামে বাজারে অগ্নিকাণ্ড, আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি

কুমিল্লা: কুমিল্লার লাকসাম পৌর শহরের দৌলতগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৮ মে) দিবাগত রাত ২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে নোয়াখালী রেলগেট সংলগ্ন লাকসাম মিনি সুপার মার্কেট ও খাতুন মার্কেটের পশ্চিম গলির ৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি দোকানমালিকদের।

ফায়ার সার্ভিসের চারটি টিমের এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

লাকসাম ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোঃ শাহাদাত হোসেন জানান, রাত ১টা ৫৭ মিনিটে আগুনের খবর পাই। আমাদের তিনটি ও কুমিল্লা ইপিজেডের একটিসহ মোট ৪ টিমের ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে অগ্নিকাণ্ডের সময় তীব্র পানির সঙ্কট ছিল। আমরা সাথে করে ১৮শ লিটার পানি নিয়ে গিয়েছিলাম। মাত্র সাড়ে সাত মিনিটে এ পানি শেষ হয়ে যায়। তবে আগুন তখনো জ্বলছিল। পরে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে বাজার থেকে অনেকটা দূর থেকে পানি আনতে হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারের পাশে বিশালাকার জগন্নাথ দিঘি থাকলেও এর চারপাশে ওয়াক ওয়ে নির্মাণের জন্য পানি সেচন করা হয়েছে। এতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দূর থেকে পানি আনতে সময় বেশি লেগেছে। ফলে আগুনের তীব্রতা বেড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই পাইকারি দোকান।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকানমালিকদের সঙ্গে আজকের পত্রিকার কথা হয়েছে। কথা বলে জানা গেছে—লাকসাম মিনি সুপার মার্কেটের শফিকুর রহমানের শফি ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্সের ৩০ লাখ টাকা, রিপন হোসেনের মদিনা ইলেকট্রিকের ৫ লাখ টাকা, আক্তার হোসেনের বনফুল শো'রুমের ৩০ লাখ টাকা, লোকজিত আচার্য্যের অগ্রণী মেশিনারি এন্ড সেনেটারীর ২০ লাখ টাকা, খাতুন মার্কেটের পশ্চিম গলির ইমরান হোসেন মিলনের এসআর ইলেকট্রিকের ৪০ লাখ টাকা, রুবেল হোসেনের বিসমিল্লাহ কম্পিউটারের ১০ লাখ টাকা ও বিধান চন্দ্র ঘোষের নিউ মা মেডিকেল হলের ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও মার্কেট স্থাপনা ও আসবাবপত্রে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। সব মিলে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকার।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম সাইফুল আলম জানান, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত