খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির পৌরবাসীর স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিত করতে পৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক থাকলেও তিনি কোনো সেবা দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখেন, কিন্তু পৌরসভায় রোগী দেখেন না। এদিকে পৌর এলাকার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর এই অভিযোগে ওই চিকিৎসককে অন্যত্র বদলির জন্য মেয়রের কাছে সুপারিশও করেছেন।
অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের নাম আব্দুস সামাদ ফকির। তিনি খাগড়াছড়ি পৌরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্বরত।
খাগড়াছড়ি পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ১৩ বর্গকিলোমিটারের খাগড়াছড়ি পৌর এলাকার জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় এক লাখ। পৌরবাসীর বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবার মান নিশ্চিত করার জন্য ২০১৯ সালে পৌরসভার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে একজন এমবিবিএস চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ অনুযায়ী পৌরসভার মেয়রের নির্দেশ মোতাবেক পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডে চিকিৎসাসেবা দেওয়াসহ পৌরসভার ইপিআই কর্মসূচি, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা কর্মসূচি বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণে সহায়তা করবেন।
এ ছাড়া তিনি পৌর এলাকার পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা সংরক্ষণ এবং হোটেল, রেস্তোরাঁ, হাটবাজারে খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য সরাসরি দায়িত্ব পালন করবেন। এসবের কিছুই না করে বেসরকারি ক্লিনিকে রোগী দেখেন তিনি। পৌরসভার কোনো বাসিন্দা সেবা পায় না বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উনি (আব্দুস সামাদ) তিন বছর ধরে পৌরসভার মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ এ পর্যন্ত কোনো পৌরবাসীই তাঁর কাছে সেবা পায়নি। আমার ওয়ার্ডের কোনো বাসিন্দা চিকিৎসা পায়নি। আমি পৌরসভার মেয়রকে অনুরোধ করেছি, যাতে তাঁকে অন্যত্র বদলি করা হয়।’
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মধুপুর এলাকার বাসিন্দা সৌরভ তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পৌরসভায় যে চিকিৎসক তাঁর কাছ থেকে কোনো সময়ই চিকিৎসাসেবা পাই না। উনি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা দেন। পৌরসভায় রোগী দেখেন না।’
পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অতীশ চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পৌরসভার মেডিকেল অফিসার কখনোই ওয়ার্ডে এসে চিকিৎসা দেননি। পৌরসভা থেকে মোটা অঙ্কের বেতন দিয়ে চিকিৎসক রাখা হয়েছে, কিন্তু তিনি কখনোই রোগী দেখেন না।’
পৌরসভার মুসলিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পৌরসভায় যদি আমরা স্বাস্থ্যসেবা পেতাম, তাহলে বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে হতো না। পৌরসভায় আমরা কখনোই চিকিৎসাসেবা পাই না।’
নিয়মিত সেবা না দেওয়ায় পৌরসভার চিকিৎসক আব্দুস সামাদ ফকিরকে অন্যত্র বদলি করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাউন্সিলররা চিকিৎসক আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখেন। পৌরসভায় রোগী দেখেন না। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে অনুরোধ জানাব।’
এদিকে নিয়মিত বেতন-ভাতা নিলেও রোগীদের চিকিৎসা দিতে বাধ্য নন বলে জানান অভিযুক্ত চিকিৎসক আব্দুস সামাদ ফকির। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখানে রোগী দেখতে বাধ্য নই। তার পরও সপ্তাহে দুই দিন রোগী দেখি।’
খাগড়াছড়ির পৌরবাসীর স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিত করতে পৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক থাকলেও তিনি কোনো সেবা দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখেন, কিন্তু পৌরসভায় রোগী দেখেন না। এদিকে পৌর এলাকার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর এই অভিযোগে ওই চিকিৎসককে অন্যত্র বদলির জন্য মেয়রের কাছে সুপারিশও করেছেন।
অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের নাম আব্দুস সামাদ ফকির। তিনি খাগড়াছড়ি পৌরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্বরত।
খাগড়াছড়ি পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ১৩ বর্গকিলোমিটারের খাগড়াছড়ি পৌর এলাকার জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় এক লাখ। পৌরবাসীর বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবার মান নিশ্চিত করার জন্য ২০১৯ সালে পৌরসভার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে একজন এমবিবিএস চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ অনুযায়ী পৌরসভার মেয়রের নির্দেশ মোতাবেক পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডে চিকিৎসাসেবা দেওয়াসহ পৌরসভার ইপিআই কর্মসূচি, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা কর্মসূচি বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণে সহায়তা করবেন।
এ ছাড়া তিনি পৌর এলাকার পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা সংরক্ষণ এবং হোটেল, রেস্তোরাঁ, হাটবাজারে খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য সরাসরি দায়িত্ব পালন করবেন। এসবের কিছুই না করে বেসরকারি ক্লিনিকে রোগী দেখেন তিনি। পৌরসভার কোনো বাসিন্দা সেবা পায় না বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উনি (আব্দুস সামাদ) তিন বছর ধরে পৌরসভার মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ এ পর্যন্ত কোনো পৌরবাসীই তাঁর কাছে সেবা পায়নি। আমার ওয়ার্ডের কোনো বাসিন্দা চিকিৎসা পায়নি। আমি পৌরসভার মেয়রকে অনুরোধ করেছি, যাতে তাঁকে অন্যত্র বদলি করা হয়।’
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মধুপুর এলাকার বাসিন্দা সৌরভ তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পৌরসভায় যে চিকিৎসক তাঁর কাছ থেকে কোনো সময়ই চিকিৎসাসেবা পাই না। উনি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা দেন। পৌরসভায় রোগী দেখেন না।’
পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অতীশ চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পৌরসভার মেডিকেল অফিসার কখনোই ওয়ার্ডে এসে চিকিৎসা দেননি। পৌরসভা থেকে মোটা অঙ্কের বেতন দিয়ে চিকিৎসক রাখা হয়েছে, কিন্তু তিনি কখনোই রোগী দেখেন না।’
পৌরসভার মুসলিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পৌরসভায় যদি আমরা স্বাস্থ্যসেবা পেতাম, তাহলে বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে হতো না। পৌরসভায় আমরা কখনোই চিকিৎসাসেবা পাই না।’
নিয়মিত সেবা না দেওয়ায় পৌরসভার চিকিৎসক আব্দুস সামাদ ফকিরকে অন্যত্র বদলি করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাউন্সিলররা চিকিৎসক আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখেন। পৌরসভায় রোগী দেখেন না। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে অনুরোধ জানাব।’
এদিকে নিয়মিত বেতন-ভাতা নিলেও রোগীদের চিকিৎসা দিতে বাধ্য নন বলে জানান অভিযুক্ত চিকিৎসক আব্দুস সামাদ ফকির। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখানে রোগী দেখতে বাধ্য নই। তার পরও সপ্তাহে দুই দিন রোগী দেখি।’
‘মায়ের রক্তচাপ বেড়ে হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। উপায় না পেয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকাতে নিয়ে যাই। কারণ মায়ের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। তিন দিন সেখানে চিকিৎসা শেষে আবার মাদারীপুরে আসি। কিন্তু এই চিকিৎসা এখানেই...
২ ঘণ্টা আগেকেউ একা এসেছেন, কেউ পরিবার নিয়ে। কারও হাতে হালিমের বাটি, আবার কারও হাতে ছোলা ভুনা, পিঁয়াজু, বেগুনির প্যাকেট। সবাই ইফতারি কিনতে ভিড় জমিয়েছেন রাজধানীর বেইলি রোডে। পুরান ঢাকার চকবাজারের পর রকমারি ইফতার বাজার হিসেবে রাজধানীবাসীর অন্যতম পছন্দের জায়গা বেইলি রোড। প্রতিবছরের মতো এবার রমজানেও সুস্বাদু...
২ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে একটি কথিত মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা তোরণ ভাঙচুরসহ ওরস পণ্ড করে দেয়। গত সোমবার রাতে মাসকা বাজারসংলগ্ন ‘হজরত শাহ নেওয়াজ ফকির ওরফে ল্যাংটা পাগলার মাজারে’ স্থানীয় তৌহিদি জনতা লাঠি মিছিল নিয়ে হামলা করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত...
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর দক্ষিণখানে ওভারটাইমের টাকা কম দেওয়ায় ‘নিপা ফ্যাশন ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড’ নামের একটি গার্মেন্টস ভাঙচুর করেছেন শ্রমিকেরা। এ সময় গার্মেন্টসটির ভেতরে থাকা ৫-৬টি প্রাইভেটকার ও দুটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে