Ajker Patrika

কালুরঘাট সেতুতে ভারী ট্রেন চালাতে চায় রেলওয়ে, ৭ কোটি টাকায় সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বুয়েট

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৬ জুন ২০২২, ২১: ৫৪
কালুরঘাট সেতুতে ভারী ট্রেন চালাতে চায় রেলওয়ে, ৭ কোটি টাকায় সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বুয়েট

কালুরঘাট সেতুতে ট্রেন চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করতে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরামর্শক দলের সঙ্গে দুটি বৈঠক সেরেছে রেলওয়ে। বৈঠকে ৭ কোটি টাকায় পরামর্শ দিতে রাজি হয়েছে বুয়েট। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ছয় মাসের মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই করবে তারা। 

পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুয়েটের পর্যবেক্ষক দল কালুরঘাট সেতুটি পরিদর্শন করে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চেয়েছিল। এরপর দুই দফায় দলের সদস্যদের সঙ্গে বসেছি। তারা ৭ কোটি টাকায় পরামর্শ দিতে রাজি হয়েছে।’ 

কর্ণফুলী নদীতে নতুন রেলসেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত কালুরঘাট সেতু দিয়েই ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন চালাতে চায় রেলওয়ে। এ জন্য রেলওয়ের আমন্ত্রণে গত বছরের ৯ অক্টোবর ৯০ বছরের পুরোনো সেতুটি পরিদর্শন করে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের পর্যবেক্ষক দল। পর্যবেক্ষণে তারা কালুরঘাট সেতুর জানালিহাট অংশে আবৃত প্রাচীর এবং সুরক্ষা দেয়ালে ফাটল খুঁজে পায়। এ ছাড়া আরও বড় ধরনের ছয়টি ত্রুটি চিহ্নিত করে। 

ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) আহসান জাবিরের কাছে পরিদর্শনের প্রতিবেদন জমা দেয় বুয়েটের পরামর্শক দল। সেখানে সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

কালুরঘাট সেতুটি নির্মিত হয় ১৯৩১ সালে। উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামকে সংযুক্তকারী এ সেতুকে ২০০১ সালেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলেও এর ওপর দিয়ে চলাচল করছে ট্রেন এবং সব ধরনের হালকা ও ভারী যানবাহন। বর্তমানে এ সেতু দিয়ে ১১ দশমিক ৯৬ টন এক্সেল লোডের ছোট লোকোমোটিভ বা কম ওজনের কোচ চলাচল করে। যেহেতু নতুন রেলপথ এখনো নির্মাণ হয়নি, তাই সেতুটির গার্ডার ও অন্যান্য অবকাঠামো পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ সাপেক্ষে প্রতিটি এক্সেল লোডে ১৫ টন ওজনের ইঞ্জিন ব্যবহার করতে চায় রেলওয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত