Ajker Patrika

সাগরপথে অনুপ্রবেশকালে টেকনাফে ৩৭ রোহিঙ্গা উদ্ধার

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩: ০৬
সাগরপথে অনুপ্রবেশকালে টেকনাফে ৩৭ রোহিঙ্গা উদ্ধার

মিয়ানমার থেকে ট্রলারে সাগরপথে অনুপ্রবেশকালে নারী ও শিশুসহ ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার সৈকত দিয়ে এসব রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছিল।  

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

স্থানীয়দের বরাতে গিয়াস উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে মিয়ানমার থেকে আসা একদল রোহিঙ্গা টেকনাফের জাহাজপুরা সৈকত পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের দেখতে পেয়ে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করেছে।
রোহিঙ্গারা পুলিশকে জানিয়েছে, মিয়ানমার থেকে দালালের মাধ্যমে টাকা দিয়ে তারা সাগরপথে অনুপ্রবেশ করেছে।

ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এরপর নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উদ্ধার রোহিঙ্গারা বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে রয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে গত সোমবার দুপুরে টেকনাফের নাফ নদী থেকে পাঁচ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছেন মিয়ানমারের রাখাইনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা। উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ মোহনা থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। 

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতের জেরে সম্প্রতি আবারও প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার আশ্রয়শিবির এবং ভাড়া বাসায় আশ্রয় নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগে বেশ কিছু রোহিঙ্গা ঢুকে পড়ে। অভিযোগ উঠেছে, দালালদের মাধ্যমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে সাগরপথে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করছে। 

এর মধ্যে সীমান্ত ও রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনায় জড়িত সংস্থাগুলো ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নতুন করে অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে। ট্রলারযোগে অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গাদের কয়েকটি ট্রলারডুবির ঘটনাও ঘটেছে।

বাংলাদেশ সীমান্তে আরাকান আর্মি ইতিমধ্যে রাখাইনের ৮০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এখন রোহিঙ্গা অধ্যুষিত মংডু টাউনশিপ ও আশপাশের এলাকায় যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি। 

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা ও সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, মংডু শহরের সেনা ও বিজিপির দুটি ব্যারাক (ব্যাটালিয়ন) দখলে নিতে প্রায় এক মাস ধরে হামলা চালাচ্ছে আরাকান আর্মি। দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র গোলাগুলির পাশাপাশি মর্টার শেল নিক্ষেপ ও গ্রেনেড-বোমা ছোড়া হচ্ছে। এর মধ্যে আরাকান আর্মি মংডু টাউনশিপের পাশের পাঁচটি গ্রাম সুধাপাড়া, মংনিপাড়া, সিকদারপাড়া, উকিলপাড়া, নুরুল্লাপাড়া দখল করে ৫০–৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে উচ্ছেদ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত