Ajker Patrika

১০ বছরেও চালু হয়নি খাগড়াছড়ির তিনটি ছাত্রাবাস, নষ্ট হচ্ছে ছাত্রাবাসের ছাদ 

প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৫৭
১০ বছরেও চালু হয়নি খাগড়াছড়ির তিনটি ছাত্রাবাস, নষ্ট হচ্ছে ছাত্রাবাসের ছাদ 

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে ১০ বছরেও চালু হয়নি তিনটি ছাত্রাবাস। ২০১১ সালে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুবিধার্থে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি দ্বিতীয় পর্যায়ের (পিডিইপি-২) আওতায় ৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় তিনটি ছাত্রাবাসটি নির্মাণ করে সরকার। দীর্ঘ দিনেও ছাত্রাবাসগুলো চালু না হওয়ায় আবাসিক সুবিধা না পেয়ে অনেক শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়েছে। ছাত্রাবাসগুলো ব্যবহারের আগেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। নষ্ট হচ্ছে ছাত্রাবাসগুলোর অবকাঠামো।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি ও পানছড়ি উপজেলায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ছাত্রাবাস নির্মাণ করে সরকার। ছাত্রাবাসটিতে প্রতি তলায় চারটি করে মোট ১২টি কক্ষ রয়েছে। ভবনটির ডানপাশে ছাত্র ও বাম পাশে ছাত্রীদের আবাসিক হোস্টেল হিসেবে ব্যবহার করার কথা ছিল। গত আট বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় ভবনের রং বিবর্ণ হয়ে গেছে। ছাত্রাবাসের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি নষ্ট হয়ে গেছে। ভেঙে গেছে ভবনে রাখা চেয়ার টেবিল। অনেক রুম ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নষ্ট হচ্ছে যাচ্ছে ছাত্রাবাসের ছাদে লাগানো লাখ টাকার সোলার প্যানেল। ছাত্রাবাসের শৌচাগার পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। 
 
রাজবাড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জানান, পাহাড়ি এলাকার অনেক শিক্ষার্থীর দুর্গম এলাকার। এসব শিক্ষার্থীরা নিজ বাড়ি থেকে দূরত্বের কারণে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে পারে না। অনেকের মাঝপথেই পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। আবার অনেকে উপজেলা এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে থাকে। ছাত্রাবাসগুলো চালু হলে দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি অনেকটা লাঘব হতো। ছাত্রাবাসটি চালু না হওয়া দুঃখজনক। এতে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দ্রুত ছাত্রাবাসটি চালু হলে অনেক শিক্ষার্থী আবাসিক সুবিধা পাবে। এতে তাঁদের প্রাথমিক শিক্ষার পথ সুগম হবে। 

খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন বলেন, স্থাপনা নির্মাণের পরও তা চালু না হওয়া শিক্ষার্থীরা আবাসিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বিশেষ করে দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। ছাত্রাবাসগুলোর চালুর জন্য মন্ত্রণালয়কে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় আবাসিক ভবন ও সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে ছাত্রাবাসগুলো খোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে। 
 
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু জানান, জনবল নিয়োগ দিতে না পারায় ছাত্রাবাসগুলো চালু করা যাচ্ছে না। এই নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে চিঠি দেওয়া হলেও এ বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। ৩টি আবাসিক ছাত্রাবাস দ্রুত চালু করা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত