আবদুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)
চলছে চৈত্রের দাবদাহ। বাজারে কদর বেড়েছে রসাল ফল আনারসের। বিশেষ করে কদর বেড়েছে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পাহাড়ে উৎপাদিত আনারসের। কিন্তু আগেভাগে বাজারজাত করা এবং বেশি মুনাফার আশায় আনারসে মাত্রাতিরিক্ত ইথোফেন হরমোন প্রয়োগ করছেন চাষিরা। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে কৃষিবিদদের দাবি, পরিপক্ব ফল একসঙ্গে পাকাতে নিয়ম মেনে হরমোন ইথোফেন ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে খাগড়াছড়ির আনারস সমতলের হাট দখলে নিয়েছে। রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনীসহ বিভিন্ন শহরে খাগড়াছড়ির পাহাড়ের আনারসের কদর বাড়ছে। খাগড়াছড়ির নিকছড়ি, রামগড়, গুইমারা উপজেলার অন্তত ৬০০ একর টিলায় এবার আনারসের চাষ হয়েছে। এখন প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ট্রাক আনারস সমতলে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় এবং চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মানিকছড়ির পোড়াটিলা, ধুরংখাল, চইক্যাবিল, ফকিরনালা, গবামারা, ডেপুয়াপাড়া, কালাপানি ও মলঙ্গীপাড়ার প্রায় ২০০ একর টিলায় এবার আনারসের চাষ করেছেন অর্ধশত প্রান্তিক কৃষক। রামগড় উপজেলার পাতাছড়া, এগারো মাইল, থলিবাড়ি, নাকাপা, পাগলাপাড়া, গুইমারার হাফছড়ি ইউনিয়নের হাফছড়ি, ষাট গড়, চল্লিশ গড়, মনখোলাপাড়া, টিলাপাড়া, তৈর্কমা, রেম্রাপাড়া, পতাছড়া, পাইলাভাঙ্গা, তবলাপাড়াসহ তিন উপজেলায় প্রায় ৬০০ একর টিলায় আনারস চাষ হয়েছে। প্রতি একর জমিতে ৩৩ হাজার চারা লাগানো যায়।
হাফছড়ির চাষি শহীদ মীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলতি মৌসুমে তিন উপজেলার সীমান্তবর্তী জনপদে প্রায় ২০০ প্রান্তিক কৃষক অন্তত ২ কোটি আনারসের চারা লাগিয়েছেন। এখন পর্যন্ত বাজার ভালো। প্রতিটি গাছে ফলন আসা পর্যন্ত খরচ দাঁড়ায় ১০-১১ টাকা। খেত থেকে প্রতিটি আনারস পাইকারি বিক্রি হয় ১৩ থেকে ১৪ টাকায়। আর সমতলের বাজারে প্রতিটি আনারস ১৯ থেকে ২০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হয়।
গচ্ছাবিলের চাষি মাজহারুল ইসলাম জানান, এক একর জমিতে চারা রোপণ থেকে শুরু করে সব মিলিয়ে খরচ দাঁড়ায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। ফলন ভালো হলে আনারস বিক্রি করে একরপ্রতি সাড়ে ৫ লাখ টাকা পাওয়া যায়।
গত বুধবার সকালে মানিকছড়ির হাজীপাড়ায় একটি আনারসখেতে সরেজমিনে দেখা গেছে, ফল বড় করতে তিন শ্রমিক খেতে হরমোন ছিটাচ্ছেন।
কথা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা জানান, দ্রুত ফল বড় করতে এবং পরিপক্ব ফল একসঙ্গে পাকাতে তিনবার হরমোন দিতে হয়।
মানিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাহাড়ের মাটি খুবই উর্বর। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা গাছে হরমোন ইথোফেনের নিয়মমাফিক ব্যবহারে বারো মাস আনারস ফলানো সম্ভব। অনাবৃষ্টিতে ফলের আকার কিছুটা ছোট হলেও মিষ্টি বা রসালো হওয়ায় বাজারে চাহিদা বেশি। হরমোন ব্যবহারে মানবদেহে ক্ষতির বিষয়ে এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাইনি। তারপরও মাত্রাতিরিক্ত হরমোন ব্যবহারে চাষিদের নিরুৎসাহিত করি।’
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জিয়া উদ্দিন বলেন, কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে ভেজালমুক্ত আনারস বাজারজাতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
চলছে চৈত্রের দাবদাহ। বাজারে কদর বেড়েছে রসাল ফল আনারসের। বিশেষ করে কদর বেড়েছে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পাহাড়ে উৎপাদিত আনারসের। কিন্তু আগেভাগে বাজারজাত করা এবং বেশি মুনাফার আশায় আনারসে মাত্রাতিরিক্ত ইথোফেন হরমোন প্রয়োগ করছেন চাষিরা। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে কৃষিবিদদের দাবি, পরিপক্ব ফল একসঙ্গে পাকাতে নিয়ম মেনে হরমোন ইথোফেন ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে খাগড়াছড়ির আনারস সমতলের হাট দখলে নিয়েছে। রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনীসহ বিভিন্ন শহরে খাগড়াছড়ির পাহাড়ের আনারসের কদর বাড়ছে। খাগড়াছড়ির নিকছড়ি, রামগড়, গুইমারা উপজেলার অন্তত ৬০০ একর টিলায় এবার আনারসের চাষ হয়েছে। এখন প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ট্রাক আনারস সমতলে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় এবং চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মানিকছড়ির পোড়াটিলা, ধুরংখাল, চইক্যাবিল, ফকিরনালা, গবামারা, ডেপুয়াপাড়া, কালাপানি ও মলঙ্গীপাড়ার প্রায় ২০০ একর টিলায় এবার আনারসের চাষ করেছেন অর্ধশত প্রান্তিক কৃষক। রামগড় উপজেলার পাতাছড়া, এগারো মাইল, থলিবাড়ি, নাকাপা, পাগলাপাড়া, গুইমারার হাফছড়ি ইউনিয়নের হাফছড়ি, ষাট গড়, চল্লিশ গড়, মনখোলাপাড়া, টিলাপাড়া, তৈর্কমা, রেম্রাপাড়া, পতাছড়া, পাইলাভাঙ্গা, তবলাপাড়াসহ তিন উপজেলায় প্রায় ৬০০ একর টিলায় আনারস চাষ হয়েছে। প্রতি একর জমিতে ৩৩ হাজার চারা লাগানো যায়।
হাফছড়ির চাষি শহীদ মীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলতি মৌসুমে তিন উপজেলার সীমান্তবর্তী জনপদে প্রায় ২০০ প্রান্তিক কৃষক অন্তত ২ কোটি আনারসের চারা লাগিয়েছেন। এখন পর্যন্ত বাজার ভালো। প্রতিটি গাছে ফলন আসা পর্যন্ত খরচ দাঁড়ায় ১০-১১ টাকা। খেত থেকে প্রতিটি আনারস পাইকারি বিক্রি হয় ১৩ থেকে ১৪ টাকায়। আর সমতলের বাজারে প্রতিটি আনারস ১৯ থেকে ২০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হয়।
গচ্ছাবিলের চাষি মাজহারুল ইসলাম জানান, এক একর জমিতে চারা রোপণ থেকে শুরু করে সব মিলিয়ে খরচ দাঁড়ায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। ফলন ভালো হলে আনারস বিক্রি করে একরপ্রতি সাড়ে ৫ লাখ টাকা পাওয়া যায়।
গত বুধবার সকালে মানিকছড়ির হাজীপাড়ায় একটি আনারসখেতে সরেজমিনে দেখা গেছে, ফল বড় করতে তিন শ্রমিক খেতে হরমোন ছিটাচ্ছেন।
কথা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা জানান, দ্রুত ফল বড় করতে এবং পরিপক্ব ফল একসঙ্গে পাকাতে তিনবার হরমোন দিতে হয়।
মানিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাহাড়ের মাটি খুবই উর্বর। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা গাছে হরমোন ইথোফেনের নিয়মমাফিক ব্যবহারে বারো মাস আনারস ফলানো সম্ভব। অনাবৃষ্টিতে ফলের আকার কিছুটা ছোট হলেও মিষ্টি বা রসালো হওয়ায় বাজারে চাহিদা বেশি। হরমোন ব্যবহারে মানবদেহে ক্ষতির বিষয়ে এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাইনি। তারপরও মাত্রাতিরিক্ত হরমোন ব্যবহারে চাষিদের নিরুৎসাহিত করি।’
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জিয়া উদ্দিন বলেন, কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে ভেজালমুক্ত আনারস বাজারজাতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে উপজেলার গ্রীষ্মকালীন সবজি, আউশ ধানের বীজতলা ও রোপা আউশ ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের প্রধান সড়ক রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক। এ মহাসড়কের রংপুরের পাগলাপীর থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশ এখন পথচারী ও যানবাহনের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। হাজারো গর্তে ভরা এই মহাসড়কে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। ভোগান্তির শেষ নেই যাত্রী ও চালকদের।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকার কোরবানির অস্থায়ী ও স্থায়ী পশুর হাটগুলোতে ক্রেতার অপেক্ষায় ব্যাপারীরা। গরু-ছাগলে হাটগুলো ভরে উঠলেও ক্রেতা কম। তাঁদের মধ্যেও বেশির ভাগ আসছেন দাম যাচাই করতে। ধারণা করা হচ্ছে, আজ বুধবার অফিস শেষে ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হলে হাটে অনেক ক্রেতা আসবেন, মূল বেচাকেনা শুরু হবে।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ বিস্ফোরণের তিন বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। এই তিন বছরে ডিপো এলাকায় আগের চিত্র ফিরলেও এখন পর্যন্ত থামেনি স্বজন হারানোর কান্না। ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে যেনতেন বিচারে যেমন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের মনে স্বস্তি ফেরেনি, তেমনি উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার...
২ ঘণ্টা আগে