প্রতিনিধি, মহালছড়ি (খাগড়াছড়ি)
উঁচু নিচু দীর্ঘ পাহাড়ি পথ পায়ে হেঁটে ক্লান্ত পথিকের বিশ্রামস্থলের নাম ধর্মঘর। ৮০ 'র দশকে মারমা সম্প্রদায়ের প্রতিটি গ্রামের রাস্তার পাশে এমন ধর্মঘর দেখা যেত। মারমা ভাষায় একে বলা হতো 'রহ্পুঙ'। তবে কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারাতে বসেছে এই ঐতিহ্য।
পুরো মহালছড়ি উপজেলা ঘুরে সিঙ্গিনালা কাপ্তাই পাড়া গ্রামে মাত্র একটি ধর্মঘর পাওয়া গেল। ওই ধর্মঘরে বসে ষাটোর্ধ্ব সাথোয়াই মারমা’র সঙ্গে আলাপ হলো। তিনি বললেন, পাহাড়ে যখন যাতায়াতের জন্য যখন রাস্তা-ঘাট, যানবাহন ছিল না তখন লোকজন পায়ে হেঁটে উঁচু নিচু পাহাড় পেরিয়ে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাতায়াত করত। পথিক ক্লান্ত হয়ে পড়লে এ ধর্মঘরে বিশ্রাম নিয়ে স্বস্তি পেতেন। সুশীতল বাতাসে অনেকে ঘুমিয়েও পড়তেন। দুই গ্রামের মাঝপথে, দীর্ঘ রাস্তায় ২ থেকে ৩ মাইল অন্তর এ ধর্মঘর পাওয়া যেত।
এ ধর্মঘরগুলো তৈরি করতে স্বেচ্ছাশ্রমে এগিয়ে আসতেন এলাকাবাসী। ধর্মঘর বেশির ভাগ রাস্তার পাশে বড় বট গাছের ছায়ায় বানানো হতো। মাচাং তৈরি হতো কাঠের তক্তা অথবা বাঁশ দিয়ে। ওপরে থাকত টিন বা শনের চালা। ধর্মঘরে পথিকদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রীও রাখা হতো। এসব সামগ্রীর মধ্যে পানিভর্তি মাটির কলস, পানি খাওয়ার জন্য একটা নারিকেলের মালা, ধূমপায়ীদের জন্য বাঁশের তৈরি দু’তিনটি দাবা (হুক্কা) ও তামাক। সব মিলে ধর্মঘরটি পথচারীদের জন্য হয়ে ওঠে একটি আরামদায়ক স্থান। পথচারী ছাড়া এলাকার লোকজনও গ্রীষ্মকালে ধর্মঘরে বসে আড্ডা জমাত।
এখন আর এসব নেই। মানুষ এখন আর পায়ে হেঁটে দূরে কোথাও যায় না। তবে, কেউ কেউ ধর্মঘরকে যাত্রী ছাউনির সঙ্গে তুলনা করেছেন। কিন্তু যাত্রী ছাউনি আর ধর্মঘরের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। একজন পথিকের জন্য ধর্মঘরে যে সুবিধাগুলো রয়েছে যাত্রী ছাউনিতে তা নেই। মূলত, পথিকের ক্লান্তি দুর এবং তৃষ্ণা নিবারণ করে অধিক পুণ্য লাভের উদ্দেশ্যে মারমারা সাধারণত এ ধর্মঘর তৈরি করতেন।
মাধ্যমিক স্কুলের সাবেক শিক্ষক মংচাইঞোরী মারমা (৮২) বলেন, প্রায় দু’হাজার বছর আগে সম্রাট অশোক বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন। এর পর থেকে তিনি প্রতিটি গ্রামে বা রাস্তার পাশে পুণ্য লাভের উদ্দেশ্যে পথিকের জন্য একপ্রকার দান হিসেবে সরাইখানা তৈরি করেছিলেন। সে সরাইখানাতে পথিকদের জন্য থাকা-খাওয়ার এবং বিশ্রামের যাবতীয় বন্দোবস্ত করা হতো। ধারণা করা হচ্ছে, এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই মারমা সম্প্রদায় ধর্মঘর তৈরি করতেন। ৯০ দশকের পর থেকেই ধর্মঘর কমে গেছে। কালের বিবর্তনে এবং আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষ এখন আর পায়ে হেঁটে দূরে কোথাও যায় না; আগের মতো ধর্মঘরও চোখে পড়ে না।
উঁচু নিচু দীর্ঘ পাহাড়ি পথ পায়ে হেঁটে ক্লান্ত পথিকের বিশ্রামস্থলের নাম ধর্মঘর। ৮০ 'র দশকে মারমা সম্প্রদায়ের প্রতিটি গ্রামের রাস্তার পাশে এমন ধর্মঘর দেখা যেত। মারমা ভাষায় একে বলা হতো 'রহ্পুঙ'। তবে কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারাতে বসেছে এই ঐতিহ্য।
পুরো মহালছড়ি উপজেলা ঘুরে সিঙ্গিনালা কাপ্তাই পাড়া গ্রামে মাত্র একটি ধর্মঘর পাওয়া গেল। ওই ধর্মঘরে বসে ষাটোর্ধ্ব সাথোয়াই মারমা’র সঙ্গে আলাপ হলো। তিনি বললেন, পাহাড়ে যখন যাতায়াতের জন্য যখন রাস্তা-ঘাট, যানবাহন ছিল না তখন লোকজন পায়ে হেঁটে উঁচু নিচু পাহাড় পেরিয়ে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাতায়াত করত। পথিক ক্লান্ত হয়ে পড়লে এ ধর্মঘরে বিশ্রাম নিয়ে স্বস্তি পেতেন। সুশীতল বাতাসে অনেকে ঘুমিয়েও পড়তেন। দুই গ্রামের মাঝপথে, দীর্ঘ রাস্তায় ২ থেকে ৩ মাইল অন্তর এ ধর্মঘর পাওয়া যেত।
এ ধর্মঘরগুলো তৈরি করতে স্বেচ্ছাশ্রমে এগিয়ে আসতেন এলাকাবাসী। ধর্মঘর বেশির ভাগ রাস্তার পাশে বড় বট গাছের ছায়ায় বানানো হতো। মাচাং তৈরি হতো কাঠের তক্তা অথবা বাঁশ দিয়ে। ওপরে থাকত টিন বা শনের চালা। ধর্মঘরে পথিকদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রীও রাখা হতো। এসব সামগ্রীর মধ্যে পানিভর্তি মাটির কলস, পানি খাওয়ার জন্য একটা নারিকেলের মালা, ধূমপায়ীদের জন্য বাঁশের তৈরি দু’তিনটি দাবা (হুক্কা) ও তামাক। সব মিলে ধর্মঘরটি পথচারীদের জন্য হয়ে ওঠে একটি আরামদায়ক স্থান। পথচারী ছাড়া এলাকার লোকজনও গ্রীষ্মকালে ধর্মঘরে বসে আড্ডা জমাত।
এখন আর এসব নেই। মানুষ এখন আর পায়ে হেঁটে দূরে কোথাও যায় না। তবে, কেউ কেউ ধর্মঘরকে যাত্রী ছাউনির সঙ্গে তুলনা করেছেন। কিন্তু যাত্রী ছাউনি আর ধর্মঘরের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। একজন পথিকের জন্য ধর্মঘরে যে সুবিধাগুলো রয়েছে যাত্রী ছাউনিতে তা নেই। মূলত, পথিকের ক্লান্তি দুর এবং তৃষ্ণা নিবারণ করে অধিক পুণ্য লাভের উদ্দেশ্যে মারমারা সাধারণত এ ধর্মঘর তৈরি করতেন।
মাধ্যমিক স্কুলের সাবেক শিক্ষক মংচাইঞোরী মারমা (৮২) বলেন, প্রায় দু’হাজার বছর আগে সম্রাট অশোক বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন। এর পর থেকে তিনি প্রতিটি গ্রামে বা রাস্তার পাশে পুণ্য লাভের উদ্দেশ্যে পথিকের জন্য একপ্রকার দান হিসেবে সরাইখানা তৈরি করেছিলেন। সে সরাইখানাতে পথিকদের জন্য থাকা-খাওয়ার এবং বিশ্রামের যাবতীয় বন্দোবস্ত করা হতো। ধারণা করা হচ্ছে, এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই মারমা সম্প্রদায় ধর্মঘর তৈরি করতেন। ৯০ দশকের পর থেকেই ধর্মঘর কমে গেছে। কালের বিবর্তনে এবং আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষ এখন আর পায়ে হেঁটে দূরে কোথাও যায় না; আগের মতো ধর্মঘরও চোখে পড়ে না।
ঠাকুরগাঁওয়ে গবাদিপশুর ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন ডিজিজে (এলএসডি) আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৭২টি গরু। গত প্রায় দুই মাসে এ গরুগুলোর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে জেলার পাঁচটি উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩৮০টি গরু।
১৩ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের মধুপুরের চলতি মৌসুমে কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রচন্ড গরমে কাঁঠাল পেকে যাওয়ায় বাজারে এ ফলের আধিক্য বেড়েছে। তবে রোদ-বৃষ্টির সাথে সাথে কাঁঠালের দাম ওঠা-নামা করায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়িরা। তবে কাঁঠালের দাম নাগালের মধ্যে থাকায় ভোক্তারা খুশি।
১৭ মিনিট আগেগাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে তিস্তা সেতু। নদীর নামের সঙ্গে মিলয়েই এ নামকরণ করা হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা সেতুটি উদ্বোধনের। সেতুটি দিয়ে যান চলাচল শুরু করলেই গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের যাতায়াত আরও সহজ হবে। এলাকার উৎপাদিত পণ্য সারা দেশে...
৩০ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে ইতি আক্তার (২৫) নামের এক নারী খুন হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই নারীর স্বামী বিল্লাল হোসেনকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাতে নারায়য়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ১ নম্বর ওয়ার্ডের মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে