Ajker Patrika

চাঁদপুরে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে লবণ ইলিশ, যাচ্ছে বিদেশে 

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে লবণ ইলিশ, যাচ্ছে বিদেশে 

দেশের অন্যতম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মাছঘাটে ইলিশ ও অন্যান্য প্রজাতির মাছ বিক্রি করা হয়। একই সঙ্গে এখন কাটা লবণ (লোনা) ইলিশও বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি কেজি লবণ ইলিশ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা দরে। আর ছোট সাইজের লবণ ইলিশ প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে। তবে, স্থানীয় ক্রেতাদের পছন্দ তাজা রুপালি ইলিশ। আর জেলার বাইরের ক্রেতারা কিনছেন লবণ ইলিশ। 

সরেজমিনে মাছ ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, মাছঘাটে আসা অধিকাংশ পচা ইলিশ প্রতি মণ ১২-১৫ হাজার টাকায় কিনে নেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। পরে সেগুলো প্রক্রিয়া করে নোনা ইলিশে পরিণত করা হয়। এ কাজে যুক্ত হন শতাধিক নারী ও পুরুষ শ্রমিকেরা। কয়েক মাস মাছঘাটের স্থানীয় কিছু ঘরে স্তূপ করে ও ড্রামের মধ্যে নোনা ইলিশগুলো সংরক্ষণ করা হয়। এরপর বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে এসব লবণ ইলিশ বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয় দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে। 

মাছঘাটের লবণ ইলিশ বিক্রেতা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘লবণ ইলিশের স্থানীয় ক্রেতা খুবই কম। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ক্রেতারাই লবণ ইলিশ কিনছেন। বর্তমানে আমরা সাইজ অনুসারে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে লবণ ইলিশ বিক্রি করছি। আমাদের ওই সব ইলিশগুলো একটু নরম ছিল। তবে, পচা নয়।’ 

আরেক বিক্রেতা মাহবুব আলম বলেন, ‘আমাদের লবণ ইলিশগুলোর মান ভালো। দক্ষিণাঞ্চল থেকে এক সঙ্গে অনেক ইলিশ যখন ট্রলারে করে আসে তখন বেশ কয়েক দিন স্তূপ করে রাখা থাকে। এতে অতিরিক্ত চাপে ইলিশ পচে যায়। পরে সেগুলোই নোনা ইলিশ হিসেবে তৈরি করা হয়।’ 

এ বিষয়ে চাঁদপুর মৎস্য ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত জানান, এ বছর নিষেধাজ্ঞার পরবর্তী সময়ে প্রচুর ইলিশ এসেছে। এর মধ্যে কিছু ইলিশ পচা ছিল। কিছু ব্যবসায়ী সেগুলো সংরক্ষণ করেছেন। তাঁরা ওই সব ইলিশ লবণ দিয়ে স্থানীয়ভাবে বিক্রি করেছেন। অনেকে আবার কিনে বিদেশে পাঠান। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত