Ajker Patrika

সুপারিশপ্রাপ্ত সহকারী জজের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ

আদালত প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
সুপারিশপ্রাপ্ত সহকারী জজের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ

কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফেরার পথে পাশের সিটের এক নারীর শ্লীলতাহানির মামলায় সহকারী জজ পদে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত (পরে নিয়োগ স্থগিত) শাহ পরানের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শারমিন জাহান ভুক্তভোগী বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন এ ট্রাইব্যুনালের পিপি এম এ নাসের। এ সময় কাঠগড়ায় আসামি উপস্থিত ছিলেন।

পিপি এম এ নাসের বলেন, মামলার বাদী একজন নারী আইনজীবী। তিনি ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী। সাক্ষ্যতে জবানবন্দি দেওয়ার পর অভিযুক্তের আইনজীবী বাদীকে জেরা করেন। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আগামী ২৮ আগস্ট।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজার থেকে বাসে করে ঢাকায় ফেরার পথে পাশের সিটের যাত্রী লোহাগাড়া এলাকায় চলন্ত বাসে বাদীর শ্লীলতাহানি ও যৌন হয়রানি করেন। একাধিকবার বাদীর বিশেষ অঙ্গ স্পর্শ করার প্রতিবাদ করেন বাদী। এতেও ক্ষান্ত না হওয়ায় ভুক্তভোগী বাসের অন্যান্য যাত্রীদের জানান। এ সময় অভিযুক্ত নিজেকে আইনজীবী (তখনো সহকারী জজ নিয়োগপ্রাপ্ত হননি) বলে পরিচয় দেন। তিনি ভুক্তভোগীকে উল্টো হুমকি দেন। বাদী সে সময় ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ এসে বাস থেকে অভিযুক্তকে আটক করেন। অন্যান্য সহযাত্রীদের ও অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় অভিযুক্তের নামে মামলা করা হয়। এর পাঁচ দিন পর জামিনে মুক্তি পান অভিযুক্ত। পরে তদন্ত কর্মকর্তা ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি শাহ পরানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। 

এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি একই আদালতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। শাহ পরানের পক্ষে অভিযোগ শুনানির দিন তাঁর অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির দরখাস্ত নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। 

প্রসঙ্গত, ১৩ তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা ২০১৯ এ উত্তীর্ণ মো. শাহ্ পরানকে সহকারী জজ পদে নিয়োগের জন্য আইন ও বিচার বিভাগে সুপারিশ প্রেরণ করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন। পরে মো. শাহ্ পরানের সহকারী জজ পদে নিয়োগের আগে পরিচয় যাচাইয়ের জন্য আইন ও বিচার বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়। যাচাইয়ে মো. শাহ্ পরান সম্পর্কে কোনো বিরূপ তথ্য পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়। পরে এক প্রজ্ঞাপনে মো. শাহ্ পরানকে নেত্রকোনায় সহকারী জজ (শিক্ষানবিশ) পদে পদায়ন করা হয়। মামলা থাকায় ও অভিযোগপত্রভুক্ত হওয়ার পরও তাঁর নিয়োগের বিষয়টি গণমাধ্যমে আলোচনায় আসে। এরপর ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর কর্তৃপক্ষ তাঁর নিয়োগ স্থগিত করে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত