Ajker Patrika

মিয়ানমার থেকে গুলি এসে পড়ল টেকনাফ স্থলবন্দরে, কার্যক্রম বন্ধ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০: ০২
Thumbnail image

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে। এ সময় দুটি গুলি সরাসরি বন্দরে আঘাত করে।

এর মধ্যে একটি গুলি বন্দরে একটি ভবনের কাচের জানালায় লাগে। অপরটি বন্দরের অভ্যন্তরে থাকা একটি ট্রাকের সামনের গ্লাসে লাগে। আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেড ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হঠাৎ করে নাফ নদের ওপারে মিয়ানমারে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এর মধ্যে দুটি গুলি এসে লাগে বন্দরে। একটি গুলি লেগে তাঁর কক্ষের জানালার গ্লাস ভেঙে যায়। অপরটি একটি ট্রাকের সামনের গ্লাসে বিদ্ধ হয়।

তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে কারা গুলিবর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ওপারের গোলাগুলির ঘটনায় বন্দরের ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থলবন্দরে আসা আচার, আদা, শুঁটকি, সুপারিসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের খালাস বন্ধ রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্দরে পণ্য ওঠানামার দায়িত্বে থাকা শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মিয়ানমার থেকে আসা একটি জাহাজের মালামাল খালাসও বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া ১১টি ট্রাকে মালামাল ওঠানোর কাজও বন্ধ রয়েছে।

সীমান্তের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রাখাইনের দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) ও আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে বন্দরের অদূরে লালদিয়া নামক এলাকায় গোলাগুলি ও সংঘর্ষ চলছে। এই দ্বীপটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পড়েছে। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে আরএসওর যোদ্ধারা অবস্থা করছে। তাদেরকে হটিয়ে আরকান আর্মি দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে মিয়ানমারের রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও দেশটির সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এতে দুপক্ষের মধ্যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। হামলায় বেশ কিছু রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়।

সংঘর্ষ চলাকালে প্রাণ বাঁচাতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৭৬৫ জন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। তাঁদের মধ্যে ৩ দফায় মিয়ানমারে ৭৫২ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া মংডু শহর ও আশপাশের এলাকা থেকে ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি এর মধ্যে রাখাইনের অধিকাংশ এলাকা দখলে নিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত