Ajker Patrika

কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের সমাগম

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২২, ১০: ০৯
কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের সমাগম

দুর্গাপূজা, ঈদে মিলাদুন্নবী ও প্রবারণা পূর্ণিমার ছুটি মিলিয়ে অনেকেই ঘুরতে এসেছেন বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে। এদিকে গত ১ অক্টোবর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এই ছুটি চলবে আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। সব মিলিয়ে কক্সবাজারে এখন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।

আজ বুধবার বিকেলে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত অন্তত ২ লাখ মানুষের সমাগম ঘটেছে বলে জানিয়েছেন বিচের কর্মীরা। শারদীয় দুর্গা উৎসবের শেষ দিন প্রতিমা বিসর্জনে লাখো পুণ্যার্থীর সঙ্গে বিপুল পর্যটকের সমাগমে সৈকতের কোথাও ফাঁকা ছিল না। 

পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলেন, সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভ্যাল উপলক্ষে থাকা-খাওয়ায় ছাড় দেওয়ার বিষয়টি প্রচার পেয়েছে। পর্যটন মেলা ও ছুটি মিলিয়ে এবার ১০ লাখেরও বেশি পর্যটকের সমাগম হতে পারে। 

ব্যবসায়ীরা জানান, সমুদ্রসৈকত ছাড়াও মেরিনড্রাইভ ধরে ইনানী, হিমছড়ি ও দরিয়ানগর সৈকতে ছুটছেন পর্যটকেরা। এ ছাড়া রামু বৌদ্ধবিহার, চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ও নিভৃতে নিসর্গ এবং শৈলদ্বীপ মহেশখালীতেও পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। 

পর্যটন ব্যবসায়ী তৌহিদুল ইসলাম তোহা বলেন, ‘সম্প্রতি বৈরী আবহাওয়ায় সমুদ্র উত্তাল থাকায় পর্যটক কম এসেছেন। এছাড়া পদ্মা সেতু চালুর পর অনেকেই কুয়াকাটা ও সুন্দরবনের দিকে ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি পর্যটকেরা আবারও কক্সবাজারমুখী হচ্ছেন।’

কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যসচিব ও পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক রায়হান উদ্দিন বলেন, ‘কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনের জন্য চিন্তাভাবনা চলছে।’ 

টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢলহোটেল-মোটেল মালিক সমিতি সংগঠনের সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারকা ও মাঝারি মানের হোটেলগুলোর বেশির ভাগ কক্ষ ভাড়া হয়ে গেছে। ছোটখাটো রিসোর্ট ও কটেজগুলোতে কক্ষ আছে। মোটামুটি টানা বন্ধে ভালো পর্যটক আসছেন।’ 

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছে। পাশাপাশি টহলও বাড়ানো হয়েছে। 

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা, সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো এবং সেবা নিশ্চিতে অংশীজনদের সমন্বয়ে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিচের কর্মীরা মাঠে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার শহর ও মেরিন ড্রাইভ সড়কে ৫০০-এর মতো হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজে ১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটক রাত যাপন করতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফাইনালে ভারতের ‘যম’কে খেলানো নিয়ে দোটানায় নিউজিল্যান্ড

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিলুপ্তের সিদ্ধান্ত হয়নি, নাহিদের মন্তব্যের জবাবে উমামা

আ.লীগ নেতার গ্রেপ্তার নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আওয়ামী লীগ নেতা ‘ব্যাটারি বাবু’ ভবনে ঢুকে হাওয়া!

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্‌রীরের মিছিল, পুলিশের টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত