Ajker Patrika

লক্ষ্মীপুরে গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১: ২৩
Thumbnail image

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব মারা গেছেন। ঘটনার চার দিন পর গতকাল মঙ্গলবার ভোররাতে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এদিকে এর প্রতিবাদে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক সজীবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

নিহত এম সজীব পাঁচপাড়ার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে ও কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন। 

এদিকে শুক্রবার রাতে থানা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সাধারণ সম্পাদক তাজল ইসলাম তাজুসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার সকালে সজীবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এখন পর্যন্ত থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী বাবু ও ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। 

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন শরীফ বলেন, এম সজীব ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। তাঁকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা না পর্যন্ত ছাত্রলীগ ঘরে ফিরে যাবে না। আন্দোলন চলবে। 

চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. এমদাদুল হক বলেন, মঙ্গলবার ভোররাতে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ছাত্রলীগ নেতা সজীব। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। 

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া যদির পুকুরপাড় এলাকায় এম সজীব, ছাত্রলীগের কর্মী সাইফুল পাটওয়ারী, সাইফুল ইসলাম জয় এবং রাফি বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা করে কোপানো ও এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়। এতে চারজনই গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতালে এবং পরে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরপর এম সজীবকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। 

উল্লেখ্য, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ ও থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর অনুসারী কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী আবদুর রহমান অনিককে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। অনিকের গ্রেপ্তারের পেছনে মাসুদের অনুসারী এম সজীবের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত