Ajker Patrika

মতলবে আ.লীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে নিহত ১

চাঁদপুর ও মতলব উত্তর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ জুন ২০২৩, ২০: ৫০
মতলবে আ.লীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে নিহত ১

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে একজন নিহত এবং কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় এ সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। 

নিহত ব্যক্তির নাম মোবারক হোসেন বাবু (৪৮)। গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর ছেলে ইমরান ব্যাপারী (১৮) এবং এলাকার জহির কবিরাজ (৩৫)। তাঁদের উভয়কে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আহত বাকি পাঁচজনের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। 

নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সুদীপ্ত রায়। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে আছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।’ 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুই গ্রুপের একটি হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার এবং অপরটি হচ্ছে স্থানীয় মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানের। আজ শনিবার বেলা ৩টার দিকে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি শুরু হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনজন। পরে তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে মোবারক হোসেন বাবুকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আর গুরুতর আহত ইমরান ব্যাপারী ও জহির কবিরাজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। 

নিহত মোবারক হোসেন বাবুর বাড়ি বাহাদুরপুর গ্রামে। আহত ইমরান তাঁর ছেলে। আর জহির কবিরাজের বাড়ি একই গ্রামে। এ ছাড়া আরও অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। 

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সিগমা রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গুরুতর আহত মোবারক হোসেনকে একেবারেই শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর মৃত্যু হয়। বাকি আহত দুইজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়। 

মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থল বাহাদুরপুর আমার এলাকা থেকে ১০ কিলোমিটোর দূরে এবং মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে। ওখানে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের রাজ্জাক প্রধান ও কালু ব্যাপারীর মধ্যে অভ্যন্তরীণ সমস্যা ছিল। সেটিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা। কিন্তু মায়া চৌধুরী পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমাকে ফাঁসানোর জন্য।’ 

এদিকে নিহত মোবারক হোসেন বাবুকে হাসপাতালে দেখতে যান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘হামলাকারী কাজী মিজান আওয়ামী লীগের কেউ না। তারা রাজাকার পরিবার। এ ঘটানার সুষ্ঠু বিচার হবে।’ 

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সুদীপ্ত রায় বলেন, এ ঘটনায় মুসা নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত