Ajker Patrika

কুবির নজরুল হলের শিক্ষার্থীর নামে মাদক সেবন করে উগ্র আচরণের অভিযোগ

কুবি প্রতিনিধি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হল। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হল। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কাজী নজরুল ইসলাম হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীর নামে ‘মাদক সেবন করে উচ্ছৃঙ্খল ও উগ্র আচরণের’ অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

আজ বুধবার রাত ১টার দিকে মাদক সেবন করে হলের নিচতলায় ও ১০৬ নম্বর রুমে জোরে লাথি দেওয়া এবং অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র হাতে নিয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

দায়িত্বরত আনসার ও হলের নিচতলায় অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মতে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রাত ১টার দিকে হলে এলোমেলো ও অস্বাভাবিক আচরণ করতে করতে প্রবেশ করেন। শুরুতেই হল প্রভোস্টের রুমে জোরে ধাক্কা দেন। এরপর ১০৬ নম্বর রুমে লাথি দেন। এরপর অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে এদিক-সেদিক স্প্রে করলে হলের সিনিয়ররা তাঁকে রুমে নিয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী দায়িত্বরত এক আনসার সদস্য বলেন, ‘গতকাল রাত ১টা ৬ মিনিটের দিকে সে এলোমেলো অবস্থায় হেলেদুলে গেট দিয়ে ঢোকে। আমি দেখে এগিয়ে গেলে সে হাত দিয়ে ইশারা করে থামিয়ে দেয়। এরপর প্রভোস্ট স্যারের রুমে জোরে ধাক্কা দেয় এবং পরের রুমেও একইভাবে লাথি দিয়ে কে আছে জিজ্ঞেস করে। পরে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে স্প্রে করতে থাকলে ওপর থেকে কয়েকজন এসে তাকে ওপরে নিয়ে যায়।’

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী কর্মচারী বলেন, ‘আমি একটা শব্দ শুনতে পাই। দৌড়ে এসে দেখি তার হাতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। এরপর বড় ভাইরা ধরে তাকে ওপরে নিয়ে যায়।’

১০৬ নম্বর রুমে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘উনি দরজায় জোরে লাথি অথবা ধাক্কা দেন। আমরা সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। তৎক্ষণাৎ সবাই উঠে যাই এবং দরজা খুলে দেখি উনি কেমন আচরণ করতেছেন। এরপর অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে এদিক-সেদিক স্প্রে করতে থাকলে ভয় পেয়ে যাই আমরা। আমরা চাই ভবিষ্যতে এমন কিছু না হোক।’

তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মাদক সেবনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কিছুদিন ধরেই মানসিকভাবে একটু বিপর্যস্ত ছিলাম। আমার সঙ্গে কয়েকজন ফ্রেন্ডের দক্ষিণ মোড়ে দেখা হলে ওদের সঙ্গে অটোতে করে হলে ফিরি এবং ওদের সঙ্গে একটা বিষয় নিয়ে রাগারাগি করি। আমি ফায়ার ইস্টিংগার ওদের দিকেই স্প্রে করি। ওদেরকেই গালিগালাজ করি। আমি কোনো রুমে লাথিও দিইনি।’

হল প্রভোস্ট মো. হারুন বলেন, ‘কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে আমি মৌখিকভাবে শিক্ষার্থী এবং দায়িত্বরত গার্ডের কাছ থেকে শুনেছি। আপাতদৃষ্টিতে আমি যতটুকু ভ্যারিফাই করেছি ঘটনা সত্য, সে অসংলগ্ন অবস্থায় ছিল। আমরা বসে আলোচনা করে এর যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত