কুসিকে ডাস্টবিনের সংকট
দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) এলাকায় প্রতিদিন বাড়ছে জনসংখ্যা ও নগরায়ণের চাপ। বাড়ছে বর্জ্যের পরিমাণও। অথচ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এখনো ডাস্টবিনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক বাসিন্দা ও দোকানি ময়লা ফেলছে সড়কের পাশে, ড্রেনে বা খোলা জায়গায়। এতে পরিবেশদূষণের পাশাপাশি উৎকট দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ নগরবাসী। হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।
২০১১ সালে ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষের বসবাস। প্রতিদিন ২০০-২৫০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। সূত্রমতে, নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ৫ শতাধিক ডাস্টবিন প্রয়োজন। বর্তমানে নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০০টি স্থায়ী ও অস্থায়ী ডাস্টবিন রয়েছে। এ ছাড়া নগরীর সব ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায় খোলা আকাশের নিচে। ফলে ময়লার তীব্র গন্ধে ওই এলাকার আশপাশের মানুষ ভুগছে নানা রোগবালাইয়ে।
নগরীর যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চলাফেরা করলে হরহামেশা চোখে পড়ে ময়লার স্তূপ। কোথাও খাবারের পচা অবশিষ্টাংশ, কোথাও প্লাস্টিক বর্জ্য, আবার কোথাও স্যানিটারি প্যাড থেকে শুরু করে বাসাবাড়ির গৃহস্থালি বর্জ্য। বাসিন্দারা বলছেন, কাছাকাছি কোনো ডাস্টবিন না থাকায় বাধ্য হয়ে তাঁরা রাস্তায় ময়লা ফেলছেন। নগরীর সংরাইশ, সুজানগর, চকবাজার, তেলিকোনা, কাটাবিল, হযরতপাড়া, নূরপুর, রেইসকোর্স, টমছমব্রিজ, চৌধুরীপাড়া, ঝাউতলা, কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ, শাসনগাছা, চকবাজার, চর্থা, পদুয়ারবাজার বিশ্বরোডসহ প্রায় প্রতিটি এলাকায় সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়; বিশেষ করে দোকানপাট বন্ধ হওয়ার পর রাতে অনেক ব্যবসায়ী সড়কের পাশে ময়লা ফেলেন।
নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং সুজানগর কবরস্থান উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোহাগ বলেন, ‘আমাদের এলাকায় কোনো ডাস্টবিন নেই। মানুষ বাধ্য হয়ে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। এমনকি কবরস্থানের সীমানাপ্রাচীরের ভেতরেও ময়লার স্তূপ জমেছে। বিষয়টি
সিটি করপোরেশনকে জানিয়েও কাজ হচ্ছে না।’
চর্থা এলাকার বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম বলেন, ইপিজেড সড়কের দেয়াল ঘেঁষে একসময় ফুলের বাগান ছিল, এখন সেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। সেই ময়লা এসে পড়ছে সড়কে। ময়লা রাখার জায়গা না থাকায় সবাই যেখানে-সেখানে ফেলে। এতে পরিবেশ যেমন নোংরা হয়, তেমনি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী নুসাইবা তাবাসসুম বলেন, সকালে ক্লাসে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধে নাক চেপে চলতে হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘নতুন ওয়ার্ড সংযুক্ত হওয়ায় চাহিদার তুলনায় ডাস্টবিনের সংখ্যা কম। আমরা ডাস্টবিন স্থাপনের জন্য জায়গা পাচ্ছি না। স্থান নির্ধারণ করার জটিলতা রয়েছে। বর্তমানে ১০০টি ডাস্টবিন রয়েছে। নতুন করে আরও ১২০টি ডাস্টবিনের জন্য টেন্ডার করা হয়েছে।’
এদিকে, ডাস্টবিনের সংকট ও অব্যবস্থাপনার ফলে শহরের নালা-নর্দমায় জমে থাকা ময়লা বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নগরীর বেশির ভাগ ড্রেন এখন পলিথিন, প্লাস্টিক ও গৃহস্থালি বর্জ্যে প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে।
এ বিষয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জন রেজা মো. সারোয়ার আকবর বলেন, ময়লা সঠিকভাবে নিষ্পত্তি না হলে তা থেকে নানা ধরনের রোগ ছড়াতে পারে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ডাস্টবিন বসানোর পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতনতাও জরুরি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই ডাস্টবিন চায়, কিন্তু বাড়ির পাশে কেউ জায়গা দিচ্ছে না। জায়গার অভাবে আমরা স্থায়ী ডাস্টবিন করতে পারছি না। ফলে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে প্লাস্টিকের ২০০ ডাস্টবিন দিয়েছি; আরও ৫০০টি দেওয়া হবে। এ ছাড়া জগন্নাথপুরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের প্রকল্পটি মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) এলাকায় প্রতিদিন বাড়ছে জনসংখ্যা ও নগরায়ণের চাপ। বাড়ছে বর্জ্যের পরিমাণও। অথচ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এখনো ডাস্টবিনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক বাসিন্দা ও দোকানি ময়লা ফেলছে সড়কের পাশে, ড্রেনে বা খোলা জায়গায়। এতে পরিবেশদূষণের পাশাপাশি উৎকট দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ নগরবাসী। হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।
২০১১ সালে ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষের বসবাস। প্রতিদিন ২০০-২৫০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। সূত্রমতে, নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ৫ শতাধিক ডাস্টবিন প্রয়োজন। বর্তমানে নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০০টি স্থায়ী ও অস্থায়ী ডাস্টবিন রয়েছে। এ ছাড়া নগরীর সব ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায় খোলা আকাশের নিচে। ফলে ময়লার তীব্র গন্ধে ওই এলাকার আশপাশের মানুষ ভুগছে নানা রোগবালাইয়ে।
নগরীর যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চলাফেরা করলে হরহামেশা চোখে পড়ে ময়লার স্তূপ। কোথাও খাবারের পচা অবশিষ্টাংশ, কোথাও প্লাস্টিক বর্জ্য, আবার কোথাও স্যানিটারি প্যাড থেকে শুরু করে বাসাবাড়ির গৃহস্থালি বর্জ্য। বাসিন্দারা বলছেন, কাছাকাছি কোনো ডাস্টবিন না থাকায় বাধ্য হয়ে তাঁরা রাস্তায় ময়লা ফেলছেন। নগরীর সংরাইশ, সুজানগর, চকবাজার, তেলিকোনা, কাটাবিল, হযরতপাড়া, নূরপুর, রেইসকোর্স, টমছমব্রিজ, চৌধুরীপাড়া, ঝাউতলা, কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ, শাসনগাছা, চকবাজার, চর্থা, পদুয়ারবাজার বিশ্বরোডসহ প্রায় প্রতিটি এলাকায় সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়; বিশেষ করে দোকানপাট বন্ধ হওয়ার পর রাতে অনেক ব্যবসায়ী সড়কের পাশে ময়লা ফেলেন।
নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং সুজানগর কবরস্থান উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোহাগ বলেন, ‘আমাদের এলাকায় কোনো ডাস্টবিন নেই। মানুষ বাধ্য হয়ে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। এমনকি কবরস্থানের সীমানাপ্রাচীরের ভেতরেও ময়লার স্তূপ জমেছে। বিষয়টি
সিটি করপোরেশনকে জানিয়েও কাজ হচ্ছে না।’
চর্থা এলাকার বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম বলেন, ইপিজেড সড়কের দেয়াল ঘেঁষে একসময় ফুলের বাগান ছিল, এখন সেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। সেই ময়লা এসে পড়ছে সড়কে। ময়লা রাখার জায়গা না থাকায় সবাই যেখানে-সেখানে ফেলে। এতে পরিবেশ যেমন নোংরা হয়, তেমনি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী নুসাইবা তাবাসসুম বলেন, সকালে ক্লাসে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধে নাক চেপে চলতে হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘নতুন ওয়ার্ড সংযুক্ত হওয়ায় চাহিদার তুলনায় ডাস্টবিনের সংখ্যা কম। আমরা ডাস্টবিন স্থাপনের জন্য জায়গা পাচ্ছি না। স্থান নির্ধারণ করার জটিলতা রয়েছে। বর্তমানে ১০০টি ডাস্টবিন রয়েছে। নতুন করে আরও ১২০টি ডাস্টবিনের জন্য টেন্ডার করা হয়েছে।’
এদিকে, ডাস্টবিনের সংকট ও অব্যবস্থাপনার ফলে শহরের নালা-নর্দমায় জমে থাকা ময়লা বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নগরীর বেশির ভাগ ড্রেন এখন পলিথিন, প্লাস্টিক ও গৃহস্থালি বর্জ্যে প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে।
এ বিষয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জন রেজা মো. সারোয়ার আকবর বলেন, ময়লা সঠিকভাবে নিষ্পত্তি না হলে তা থেকে নানা ধরনের রোগ ছড়াতে পারে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ডাস্টবিন বসানোর পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতনতাও জরুরি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই ডাস্টবিন চায়, কিন্তু বাড়ির পাশে কেউ জায়গা দিচ্ছে না। জায়গার অভাবে আমরা স্থায়ী ডাস্টবিন করতে পারছি না। ফলে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে প্লাস্টিকের ২০০ ডাস্টবিন দিয়েছি; আরও ৫০০টি দেওয়া হবে। এ ছাড়া জগন্নাথপুরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের প্রকল্পটি মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে।’
জানা গেছে, এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রতিদিনের মতো অফিসে কাজ করতে গিয়ে একটি রুমের ভেতর শব্দ শুনতে পান। বিষয়টি অন্যদের জানালে তাঁরা এসে আগুন দেখতে পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
৪ মিনিট আগেবান্দরবান জেলার চিম্বুক এলাকার রাংলাই চেয়ারম্যানপাড়ায় বিদ্যুতায়িত হয়ে একই পরিবারের দুইজনসহ তিন ম্রো নারীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে বান্দরবান চিম্বুক সড়কের ১৩ মাইল এলাকার রাংলাই হেডম্যান পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন-রেংথেন ম্রো এর মেয়ে তুমলে ম্রো (১৭) পারাও ম্রো...
১ ঘণ্টা আগেবামোনগ্রাম মাঠে সরেজমিন দেখা যায়, মাটি থেকে ১৫-২০ সেন্টিমিটার উঁচু লম্বা বেড তৈরি করে মালচিং পেপার (পলিথিনের মতো) দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। প্রতি চার হাত অন্তর বেড বসানো, চারপাশে নিখুঁত জালের বেড়া এবং ওপরে সুতা টেনে মাচা তৈরির কাজ চলছে। কৃষকেরা জানালেন, কয়েক দিনের মধ্যে গাছে জালি (মুকুল) আসবে, এরপর ধীর
১ ঘণ্টা আগেরাঙামাটির নানিয়ারচরে খাদ্যগুদামে নিম্নমানের আতপ চাল সরবরাহ ও গুদামে চাল কম রাখা-সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। অভিযানে অনিয়মের একাধিক প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
২ ঘণ্টা আগে