Ajker Patrika

চসিকে মশার ওষুধ ক্রয়ে নয়–ছয়ের প্রমাণ পেল দুদক 

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চসিকে মশার ওষুধ ক্রয়ে নয়–ছয়ের প্রমাণ পেল দুদক 

চসিক কোনো প্রকার দরপত্র আহ্বান না করে জরুরি ভিত্তিতে ৭৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকার মশার ওষুধ ক্রয়ে নয়–ছয়ের প্রমাণ মিলেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেনের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম এর সত্যতা পায়।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ দরপত্র আহ্বান ছাড়া ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১৬ বার মশার মারার ওষুধ ক্রয় করে। ফলে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ৭৭ লাখ ৩৭ হাজার ৩০০ টাকা ব্যয় হয়।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মশার ওষুধ ক্রয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ১৬ বারে মোট ৭৭ লাখ ৩৭ হাজার ৩০০ টাকার ওষুধ ক্রয় করা হয়। সিটি করপোরেশন উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি (ওটিএম) সম্পন্ন না করে পিপিআর-২০০৮ এর বিধি ৭৪ (১) ও বিধি ৭৭ লঙ্ঘন করে।

মো. এমরান হোসেন আরও বলেন, মূলত কম টাকার মধ্যে প্রতি বারে ৫ লাখ টাকার কম মূল্যের দরপত্র আহ্বান করে বেআইনিভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে লাভবান করা হয়েছে। মেসার্স বেঙ্গল মার্ক ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী অরভিন সাকিব ইভানকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১৬ বার কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। অভিযানে অনিয়মের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে বলে জানান দুদকের এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত