Ajker Patrika

চট্টগ্রামের নালায় নিখোঁজ ব্যক্তির ছেলে করবে না করপোরেশনে চাকরি

পটিয়া (চট্টগ্রাম)  প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২১, ১১: ৪১
চট্টগ্রামের নালায় নিখোঁজ ব্যক্তির ছেলে করবে না করপোরেশনে চাকরি

চট্টগ্রাম মহানগরীর মুরাদপুরে নালায় পড়ে নিখোঁজ সালেহ আহমেদের একমাত্র ছেলে সাদেকুল্লাহ মাহিনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে চাকরি দিয়ে কথা রেখেছিলেন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। কিন্তু চলতি মাসে দুই দিন চাকরি করার পর সে আর ফিরে যায়নি তার কর্মস্থল ওয়াসা মোড়ের সিটি করপোরেশনের সিএনজি ফিলিং স্টেশনে।  

জানা যায়, সাদেকুল্লাহ মাহিন এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তাকে সিটি করপোরেশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদে অস্থায়ী নিয়োগ দেন গত মাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। 

এ বিষয়ে মাহিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল সিএনজি পাম্পে স্লিপ লেখার কাজ করার। কিন্তু চলতি মাসে আমি দুই দিন কাজ করেছি। আর এ দুই দিনেই আমাকে দিয়ে স্লিপ লেখা আর গাড়িতে গ্যাস ঢোকানোর দুটি কাজ একসাথে করিয়েছেন। আমার পক্ষে এ ধরনের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই আমি আর অফিসে যাইনি। যদিও আমার চলতি মাসে এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষা।’  

সাদেকুল্লাহ মাহিন আরও বলেন, ‘এ পদে চাকরি না করার জন্য খুব দ্রুত লিখিতভাবে সিটি করপোরেশনের মেয়র বরাবরে দরখাস্ত পাঠাব। আমি আশা করেছিলাম করপোরেশনের কোনো অফিসে অফিস সহকারীর পদে চাকরি পাওয়ার।’ 

মাহিন বলেন, ‘আমাকে সিএনজি পাম্পে স্লিপ লেখার যে পদ দেওয়া হয়েছে, সেই পদে না রেখে আমাকে দিয়ে গ্যাস ভরার কাজ করিয়ে কর্তৃপক্ষ অমানবিক আচরণ করেছে। আমাকে কোনো নিয়োগপত্র দেয়নি। আমার পদ-পদবি বা আমার কাজ কী, তা-ও বলা হয়নি স্পষ্ট করে।  বাবাকে হারিয়ে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমাদের দুঃসময়ে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি মনে করেছিলাম মা আর বোনকে নিয়ে মোটামুটি ভালো চলতে পারব। আমি এ ব্যাপারে প্রকৌশলী সুদীপ বসাককে অনুরোধ করেছিলাম আমাকে স্লিপ লেখার কাজে নিয়োজিত রাখতে। তিনি আমাকে বলেন, এ পদে থাকলে দুটি কাজই করতে হবে। তার কিছু করার নেই।’ 

চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক জানান, সাদেকুল্লাহ মাহিন চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি অবগত নন। তবে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী তাকে সেই পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে। তাকে স্লিপ লেখার কাজের পাশাপাশি কারো অনুপস্থিতিতে গাড়িতে গ্যাস ভরার দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে যদি সে চাকরি না করে আনঅফিসিয়ালি কাউকে না জানিয়ে অফিসে না আসে, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে এখনো পর্যন্ত আমরা তার চাকরি ছাড়ার কোনো কাগজপত্র পাইনি। আমরা জানি সামনে তার এইচএসসি পরীক্ষা।’ 

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বৃষ্টির পানির স্রোতে নগরীর মুরাদপুরে পা পিছলে নালায় পড়ে নিখোঁজ হন ব্যবসায়ী ছালেহ আহমদ। তাঁর বাড়ি পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের মনসা গ্রামে। নিখোঁজ হওয়ার পর ছালেহ আহমেদের বাসায় গিয়ে পরিবারকে সান্ত্বনা দেন সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম। এ সময় তিনি ছালেহ আহমেদের পরিবার থেকে একজনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। আর সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে ছালেহ আহমেদের একমাত্র ছেলে সাদেকুল্লাহ মাহিনকে ১২ অক্টোবর চসিক পরিচালিত সিএনজি ফিলিং স্টেশনে চাকরির নিয়োগপত্র হাতে তুলে দিয়েছিলেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

২ ম্যাচ খেলেই মোস্তাফিজ কীভাবে ৬ কোটি রুপি পাবেন

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

বিড়াল নির্যাতনের ঘটনায় গ্রামীণফোন ও অ্যারিস্টোফার্মা কেন আলোচনায়

বাগ্‌বিতণ্ডার মধ্যে সাম্যকে ইট ও ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়: ডিএমপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত