প্রতিনিধি, কক্সবাজার
কক্সবাজার শহরের ফিশারী ঘাট দেশের অন্যতম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে বাঁকখালী নদী মোহনার এই ঘাটে ঢুকছে একের পর এক ইলিশভর্তি ট্রলার। ঘাটে ভিড়তেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। সবার চোখে-মুখে তৃপ্তির হাসি।
এক সপ্তাহ আগের নিষ্প্রাণ ঘাটটি এখন লোকে লোকারণ্য। মাছের সঙ্গে মানুষও ঠাসা। মাঝি-মাল্লা, ট্রলার মালিক, মৎস্য ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা বর্তমানে মহা ব্যস্ত। কেউ ট্রলার থেকে ইলিশ নামাচ্ছে। কেউ লাই (টুকরি) ভরে দাঁড়িপাল্লায় তুলে দিচ্ছে।
এক সপ্তাহের জন্য গত ৪ আগস্ট ট্রলার এফবি আরাবী-১ সাগরে গিয়েছিল। কিন্তু চার দিনের মাথায় ইলিশভর্তি করে গতকাল সোমবার সকালে ঘাটে ফিরে। এ ট্রলারের জেলে আবুল কালাম জানান, সাগরে জাল ফেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ। বেশির ভাগ ট্রলারই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ভর্তি হয়ে যাবে। সেগুলোও তীরের দিকে রওনা দিয়েছে।
এফবি আবদুল মান্নানের মাঝি জামাল উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ধরা পড়া ইলিশের আকার বড়। এক থেকে আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ ধরা পড়ছে।
ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত তিন দিন ধরে ইলিশ নিয়ে ট্রলার ঘাটে ফিরছে। গত রোববার ১০০ ইলিশ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে। গতকাল ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে।
পাইকারি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, বেশির ভাগ ইলিশ ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, বগুড়া, সিলেট, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
জসিম উদ্দিন আরও বলেন, সাগরে বড় ইলিশ ধরা পড়ার কারণে এখন অবতরণ কেন্দ্রে তা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। যেমন এক কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, এক কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দেড় কেজি থেকে আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ফিশারীঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আবদুল্লাহ আল আজাদ বলেন, সবে মাত্র ট্রলার আসা শুরু হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে আরও ট্রলার ঢুকলে দাম হয়তো কমে যেতে পারে। তবে এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ইলিশের আকার বড় হওয়ায় দামও ভালো থাকবে বলে মনে করেন তিনি।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০১৯ সাল থেকে বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক মাছ ও ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধিতে সরকার ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন মাছ ধরা ও বিপণনে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ ছাড়া ২০১১ সাল থেকে অক্টোবর মাসেও সাগরে মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে হয় জেলেদের।
জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির তথ্য মতে, জেলার কুতুবদিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও টেকনাফের উপকূলে প্রায় সাত হাজার ছোট-বড় মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় লক্ষাধিক মাঝি-মাল্লা রয়েছেন। এর মধ্যে বড় নৌকায় ৩০ থেকে ৪০ জন এবং ছোট নৌকায় ৫ থেকে ১৭ জন জেলে থাকেন।
জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আরও ১২ দিন বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে যেতে পারেনি জেলেরা। আড়াই মাস পর সাগরে গিয়ে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আশানুরূপ ধরা পড়ছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে থাকা ট্রলার মালিক ও জেলেদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিক ইকরাম চৌধুরী টিপু বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে দুই-তিন বছর আগেও ইলিশ এত বড় হওয়ার সুযোগ পায়নি। এটি আমাদের জন্য সুখবর।’
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এহ্সানুল হক বলেন, ‘এ কেন্দ্রে পাইকারি হারে ১০০টি করে ইলিশ বিক্রি হয়।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান বলেন, এ বছর জেলায় ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর আহরণ হয়েছিল ১৫ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন।
বাংলাদেশ সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কক্সবাজার কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক মাছ ও ইলিশ প্রজননের মৌসুমে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইলিশ বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এতে জেলে, ট্রলার মালিক ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা সুফল পেতে শুরু করেছেন।’
কক্সবাজার শহরের ফিশারী ঘাট দেশের অন্যতম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে বাঁকখালী নদী মোহনার এই ঘাটে ঢুকছে একের পর এক ইলিশভর্তি ট্রলার। ঘাটে ভিড়তেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। সবার চোখে-মুখে তৃপ্তির হাসি।
এক সপ্তাহ আগের নিষ্প্রাণ ঘাটটি এখন লোকে লোকারণ্য। মাছের সঙ্গে মানুষও ঠাসা। মাঝি-মাল্লা, ট্রলার মালিক, মৎস্য ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা বর্তমানে মহা ব্যস্ত। কেউ ট্রলার থেকে ইলিশ নামাচ্ছে। কেউ লাই (টুকরি) ভরে দাঁড়িপাল্লায় তুলে দিচ্ছে।
এক সপ্তাহের জন্য গত ৪ আগস্ট ট্রলার এফবি আরাবী-১ সাগরে গিয়েছিল। কিন্তু চার দিনের মাথায় ইলিশভর্তি করে গতকাল সোমবার সকালে ঘাটে ফিরে। এ ট্রলারের জেলে আবুল কালাম জানান, সাগরে জাল ফেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ। বেশির ভাগ ট্রলারই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ভর্তি হয়ে যাবে। সেগুলোও তীরের দিকে রওনা দিয়েছে।
এফবি আবদুল মান্নানের মাঝি জামাল উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ধরা পড়া ইলিশের আকার বড়। এক থেকে আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ ধরা পড়ছে।
ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত তিন দিন ধরে ইলিশ নিয়ে ট্রলার ঘাটে ফিরছে। গত রোববার ১০০ ইলিশ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে। গতকাল ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে।
পাইকারি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, বেশির ভাগ ইলিশ ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, বগুড়া, সিলেট, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
জসিম উদ্দিন আরও বলেন, সাগরে বড় ইলিশ ধরা পড়ার কারণে এখন অবতরণ কেন্দ্রে তা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। যেমন এক কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, এক কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দেড় কেজি থেকে আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ফিশারীঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আবদুল্লাহ আল আজাদ বলেন, সবে মাত্র ট্রলার আসা শুরু হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে আরও ট্রলার ঢুকলে দাম হয়তো কমে যেতে পারে। তবে এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ইলিশের আকার বড় হওয়ায় দামও ভালো থাকবে বলে মনে করেন তিনি।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০১৯ সাল থেকে বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক মাছ ও ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধিতে সরকার ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন মাছ ধরা ও বিপণনে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ ছাড়া ২০১১ সাল থেকে অক্টোবর মাসেও সাগরে মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে হয় জেলেদের।
জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির তথ্য মতে, জেলার কুতুবদিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও টেকনাফের উপকূলে প্রায় সাত হাজার ছোট-বড় মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় লক্ষাধিক মাঝি-মাল্লা রয়েছেন। এর মধ্যে বড় নৌকায় ৩০ থেকে ৪০ জন এবং ছোট নৌকায় ৫ থেকে ১৭ জন জেলে থাকেন।
জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আরও ১২ দিন বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে যেতে পারেনি জেলেরা। আড়াই মাস পর সাগরে গিয়ে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আশানুরূপ ধরা পড়ছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে থাকা ট্রলার মালিক ও জেলেদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিক ইকরাম চৌধুরী টিপু বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে দুই-তিন বছর আগেও ইলিশ এত বড় হওয়ার সুযোগ পায়নি। এটি আমাদের জন্য সুখবর।’
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এহ্সানুল হক বলেন, ‘এ কেন্দ্রে পাইকারি হারে ১০০টি করে ইলিশ বিক্রি হয়।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান বলেন, এ বছর জেলায় ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর আহরণ হয়েছিল ১৫ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন।
বাংলাদেশ সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কক্সবাজার কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক মাছ ও ইলিশ প্রজননের মৌসুমে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইলিশ বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এতে জেলে, ট্রলার মালিক ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা সুফল পেতে শুরু করেছেন।’
জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় অন্তত ৭৪টি মামলার তদন্ত করছে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট—পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এসব ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত না হওয়ায় হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা কিছুটা বিপাকে পড়ছেন।
৬ মিনিট আগেবাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ রুটে সফলতার পর এবার আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে নবীন ও উদীয়মান বেসরকারি এয়ারলাইনস এয়ার এ্যাস্ট্রা। এই লক্ষ্যে এয়ারবাসের চারটি উড়োজাহাজ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে এয়ারলাইনসটি। বহরে উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়া সাপেক্ষে চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রচলিত আঞ্চলিক...
১১ মিনিট আগেরংপুরের কাউনিয়ায় মরা তিস্তা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। খুঁটি নির্মাণের পর চার বছর পেরিয়ে গেলেও অর্থাভাবে সেতুর বাকি নির্মাণকাজে হাত দেওয়া হয়নি। এতে চরাঞ্চলের ছয় গ্রামের মানুষের উপজেলা সদর ও হারাগাছ পৌর এলাকায় যাতায়াতে দুর্ভোগ দূর হচ্ছে না।
২১ মিনিট আগেপ্রায় দেড় মাস ধরে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা নীলক্ষেতে প্রধান সড়কের এক পাশের প্রায় পুরোটা বন্ধ করে সুয়ারেজ লাইনের কাজ চলছে। বাকি অংশ দখল করে রেখেছেন হকাররা। বিপরীত সড়কে ডিভাইডার দিয়ে আলাদা লেন করলেও জনদুর্ভোগ কমেনি। এতে দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
৩০ মিনিট আগে