আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
ব্যবসায়ীদের বিরোধিতার মুখেই আজ বুধবার থেকে কার্যকর হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত মাশুল। এ সিদ্ধান্ত স্থগিত করে তা পুনর্বিবেচনার জন্য গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরাম।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর কার্যক্রম ‘কস্ট-বেইজড অ্যান্ড সার্ভিস-ওরিয়েন্টেড’ মডেলে পরিচালিত হওয়া উচিত। কিন্তু প্রায় ৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরামের আহ্বায়ক আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরীর পাঠানো চিঠিতেও ব্যবসায়ীদের এমন উদ্বেগের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অর্থ ও হিসাবরক্ষণ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা মো. আবদুস শাকুর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আজ থেকে নতুন মাশুল কার্যকরের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এর প্রতিবাদে গত রোববার চট্টগ্রাম রেডিসনে ব্যবসায়ীদের এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভা থেকে বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফ স্থগিতের দাবি জানান তাঁরা।
বন্দরের ৫২টি খাতের মধ্যে ২৩টিতে মাশুল বাড়ানোর আগে এশিয়ার ১০টি এবং আন্তর্জাতিকভাবে ১৭টি বন্দরের কার্যক্রম ও ট্যারিফ পর্যালোচনা করা হয়। এ কাজে স্পেনের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইডম সহযোগিতা করে। তবে বন্দর ব্যবহারকারীদের চিঠিতে বলা হয়, ১৯৮৬ সালে সর্বশেষ ট্যারিফ-কাঠামো প্রণয়নের সময় ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার ছিল ৩০.৬১ টাকা। বর্তমানে এই হার ১২২ টাকা ছাড়িয়েছে, অর্থাৎ বন্দরের বিদ্যমান ট্যারিফেই কার্যত চার গুণের বেশি বেড়ে গেছে।
গত কয়েক দশকে বন্দরের সার্ভিস ফি, হ্যান্ডলিং চার্জ, পাইলটেজ, ডেমারেজ ইত্যাদি বিভিন্ন খাতে ট্যারিফ বেড়েছে। ফলে বড় পরিসরে ট্যারিফ পুনর্নির্ধারণ করলে তা আমদানি-রপ্তানির ব্যয় অনেক বাড়িয়ে দেবে। এ ছাড়া ট্যারিফ বৃদ্ধির ফলে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের মধ্যে আস্থা হ্রাস পাবে এবং চট্টগ্রাম বন্দর আন্তর্জাতিকভাবে একটি অনিশ্চিত ও ব্যয়বহুল গন্তব্য হিসেবে চিহ্নিত হবে। রপ্তানি হওয়া পণ্যের ক্ষেত্রে কনটেইনার হ্যান্ডলিং, স্টোরেজ ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হবে। আমদানি পণ্যের ব্যয় বাড়বে, বিশেষ করে জ্বালানি, গম, সার ও শিল্প কাঁচামালের ক্ষেত্রে এর প্রভাব দৃশ্যমান হবে। এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে মূল্যস্ফীতির ওপর।
চিঠিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত নতুন ট্যারিফ বাস্তবায়ন আপাতত স্থগিত রেখে বিষয়টি যেন পর্যালোচনা করা হয়। সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে যৌক্তিক ও বাস্তবভিত্তিক ট্যারিফ-কাঠামো নির্ধারণ করা যেতে পারে।
ব্যবসায়ীদের বিরোধিতার মুখেই আজ বুধবার থেকে কার্যকর হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত মাশুল। এ সিদ্ধান্ত স্থগিত করে তা পুনর্বিবেচনার জন্য গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরাম।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর কার্যক্রম ‘কস্ট-বেইজড অ্যান্ড সার্ভিস-ওরিয়েন্টেড’ মডেলে পরিচালিত হওয়া উচিত। কিন্তু প্রায় ৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরামের আহ্বায়ক আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরীর পাঠানো চিঠিতেও ব্যবসায়ীদের এমন উদ্বেগের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অর্থ ও হিসাবরক্ষণ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা মো. আবদুস শাকুর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আজ থেকে নতুন মাশুল কার্যকরের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এর প্রতিবাদে গত রোববার চট্টগ্রাম রেডিসনে ব্যবসায়ীদের এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভা থেকে বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফ স্থগিতের দাবি জানান তাঁরা।
বন্দরের ৫২টি খাতের মধ্যে ২৩টিতে মাশুল বাড়ানোর আগে এশিয়ার ১০টি এবং আন্তর্জাতিকভাবে ১৭টি বন্দরের কার্যক্রম ও ট্যারিফ পর্যালোচনা করা হয়। এ কাজে স্পেনের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইডম সহযোগিতা করে। তবে বন্দর ব্যবহারকারীদের চিঠিতে বলা হয়, ১৯৮৬ সালে সর্বশেষ ট্যারিফ-কাঠামো প্রণয়নের সময় ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার ছিল ৩০.৬১ টাকা। বর্তমানে এই হার ১২২ টাকা ছাড়িয়েছে, অর্থাৎ বন্দরের বিদ্যমান ট্যারিফেই কার্যত চার গুণের বেশি বেড়ে গেছে।
গত কয়েক দশকে বন্দরের সার্ভিস ফি, হ্যান্ডলিং চার্জ, পাইলটেজ, ডেমারেজ ইত্যাদি বিভিন্ন খাতে ট্যারিফ বেড়েছে। ফলে বড় পরিসরে ট্যারিফ পুনর্নির্ধারণ করলে তা আমদানি-রপ্তানির ব্যয় অনেক বাড়িয়ে দেবে। এ ছাড়া ট্যারিফ বৃদ্ধির ফলে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের মধ্যে আস্থা হ্রাস পাবে এবং চট্টগ্রাম বন্দর আন্তর্জাতিকভাবে একটি অনিশ্চিত ও ব্যয়বহুল গন্তব্য হিসেবে চিহ্নিত হবে। রপ্তানি হওয়া পণ্যের ক্ষেত্রে কনটেইনার হ্যান্ডলিং, স্টোরেজ ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হবে। আমদানি পণ্যের ব্যয় বাড়বে, বিশেষ করে জ্বালানি, গম, সার ও শিল্প কাঁচামালের ক্ষেত্রে এর প্রভাব দৃশ্যমান হবে। এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে মূল্যস্ফীতির ওপর।
চিঠিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত নতুন ট্যারিফ বাস্তবায়ন আপাতত স্থগিত রেখে বিষয়টি যেন পর্যালোচনা করা হয়। সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে যৌক্তিক ও বাস্তবভিত্তিক ট্যারিফ-কাঠামো নির্ধারণ করা যেতে পারে।
‘চাকসু থাকলে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, পরিবহন ও আবাসন—এসব ইস্যুতে সরাসরি আলোচনার সুযোগ মিলবে। তাই সবাই এই নির্বাচনের অপেক্ষায়।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিলা হক। এটা শুধু তানজিলার কথা নয়। এমন ছাত্র প্রতিনিধি পাওয়ার অপেক্ষায় অনেকেই।
৬ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন এলাকায় বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রাসায়নিকের দোকান ও গুদাম। মাঝেমধ্যেই এসব স্থানে আগুন লাগে, ঘটে প্রাণহানি। ফায়ার ফাইটাররা সাধারণ আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও রাসায়নিকের আগুন নেভাতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের।
৭ ঘণ্টা আগেরোজকার মতো গতকাল মঙ্গলবারও তাঁরা পোশাক কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন। আগুনে কারখানাতেই নিভে গেল তাঁদের জীবনপ্রদীপ। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। গুরুতর দগ্ধ তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। অনেকে নিখোঁজ থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বল
৭ ঘণ্টা আগেহাটহাজারীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে অপু দাশ (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাটহাজারী থানাধীন চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের চৌধুরীহাটের দাতারাম সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত অপু দাশ ওই ইউপির ৩নং ওয়ার্ড এলাকার মিন্টু দাশের ছেলে।
৭ ঘণ্টা আগে