Ajker Patrika

‘প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপরে গেট বন্ধ করে বাংলাদেশকে অপমান করা হয়েছিল’ 

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ০২
‘প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপরে গেট বন্ধ করে বাংলাদেশকে অপমান করা হয়েছিল’ 

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ার পর সমবেদনা জানানোর জন্য তাঁর বাসায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপরে গেট বন্ধ করে বাংলাদেশকে অপমান করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন-সংলগ্ন সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন। 

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর আমাকে বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, উনি জেলখানায় আছে। তুমি এক কাজ করো, খালেদা জিয়ার পরিবার একটি দরখাস্ত দিয়েছে, তুমি আইনের মারফতে খালেদা জিয়াকে ছেড়ে দাও। তখন খালেদা জিয়াকে দুইটা শর্তে আমরা ছেড়ে দিলাম। প্রথম শর্ত হলো তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না, দ্বিতীয় শর্ত হলো তাঁকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।’

আনিসুল হক বলেন, বাঙালির রীতিনীতি অনুযায়ী শত্রুর বাড়িতেও যদি কেউ মারা যায়, তাকে সমবেদনা জানাই। বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে মারা গেল, স্বাভাবিকভাবেই মমতাময়ী আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর মা খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানানোর জন্য তাঁর বাসায় গেলেন, কিন্তু তখন মুখের ওপর গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাসায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’ 

আইনমন্ত্রী আনিসুল আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অন্যায় এত গভীর যে, তিনি এতিমের টাকা মেরে দিয়েছেন। এ জন্য বিচারিক আদালত পাঁচ বছরের জায়গায় ১০ বছরের সাজা দিয়েছে। উনি এবং ওনার ছেলেরা দুস্থদের টাকা মেরে দিয়েছেন, সেখানেও বিচারিক আদালত তাঁকে সাত বছরের সাজা দিয়েছে। এত কিছুর পরেও মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাহী আদেশে দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। উনি চিকিৎসা করাচ্ছেন।’ 

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়া হয়েছে দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে। তিনি চিকিৎসা করাচ্ছেন। এখন বলে বিদেশে যেতে দিতে হবে। কথায় আছে, দাঁড়াতে দিলে বসতে চায়, বসতে দিলে শুতে চায়। আর শুতে দিলে ঘুমাতে চায়।’ 

এ সময় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন, আখাউড়া পৌর মেয়র ও যুবলীগের আহ্বায়ক তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা মনির হোসেন বাবুলসহ উপজেলার সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মহিলা সংরক্ষিত আসনের সদস্য, মেম্বার পদপ্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত