Ajker Patrika

রাঙামাটিতে বৃষ্টি কমলেও এখনো জনজীবন বিপর্যস্ত

রাঙামাটি প্রতিনিধি 
আপডেট : ০২ জুন ২০২৫, ১৪: ৫০
টানা বৃষ্টিতে রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে ছোট আকারে পাহাড় ধস ও সড়ক ধসের ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা
টানা বৃষ্টিতে রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে ছোট আকারে পাহাড় ধস ও সড়ক ধসের ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটিতে টানা চার দিনের ভারী বৃষ্টি কমলেও এখনো জনজীবন স্বাভাবিক হয়নি। নিচু এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করলেও অনেক স্থানে এখনো দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

আজ সোমবার সকাল থেকে কিছুটা রোদ দেখা গেলেও দুপুরের পর আবারও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়।

টানা বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট আকারে পাহাড় ধস ও সড়ক ধসের ঘটনা ঘটে। কিছু এলাকায় সড়কের ওপর ধসের কারণে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ হলেও সড়ক বিভাগ দ্রুত মাটি সরিয়ে চলাচল স্বাভাবিক করে। তবে কাউখালী ও জুরাছড়ি উপজেলায় দুটি সড়ক সম্পূর্ণ ধসে পড়ায় সেখানে এখনো যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বিশেষ করে কাউখালী-ঘিলাছড়ি সংযোগ সড়ক ধসে পড়ায় ওই এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। একইভাবে, জুরাছড়ি উপজেলার যক্ষা বাজার এলাকায় সড়ক ধসে পড়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

ভারী বর্ষণে কাপ্তাই হ্রদে পাহাড়ি ঢল নেমে জুরাছড়ি, বাঘাইছড়ি, বরকল ও বিলাইছড়ির কিছু অংশ প্লাবিত হয়। তবে বৃষ্টি কমে আসায় এসব এলাকার পানি নামতে শুরু করেছে।

জুরাছড়ি উপজেলার যক্ষা বাজার এলাকায় সড়ক ধসে পড়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
জুরাছড়ি উপজেলার যক্ষা বাজার এলাকায় সড়ক ধসে পড়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এখন পর্যন্ত ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বৃষ্টিতে ৫৩টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষতি হয়েছে ৬ হাজার ২৮০ হেক্টর জমির। দুর্যোগ মোকাবিলায় ৫৪০ টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র পর্যবেক্ষক কেচিনু মারসা জানান, গতকাল সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এখন পর্যন্ত ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এখন পর্যন্ত ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

জুরাছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছিল, তবে পানি নামতে শুরু করেছে। যক্ষা বাজার এলাকায় সড়ক ধসে পড়ায় যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ঢলের কারণে এখনই মেরামতের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।’

রাঙামাটির সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা বলেন, ‘দুর্যোগকালীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মেডিকেল টিম কাজ করছে। পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিশেষায়িত মেডিকেল টিম। রাঙামাটি শহরের দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাড়ি থেকে ভিজিএফের চাল উদ্ধার দাবিতে ছড়ানো ভিডিওটি ভিন্ন ঘটনার

দেশ টিভির কার্যালয়ে ১২০০ বস্তা চাল পাঠানো প্রয়োজন: উপদেষ্টা আসিফ

অপমানিত সহকর্মীর ছাদ থেকে লাফ, শ্রমিক বিক্ষোভে রণক্ষেত্র শ্রীপুর, আহত শতাধিক

সরকারি কর্মচারীদের ১০–১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

জাদুঘরে রাখা হলো একটি কনডম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত