কক্সবাজার প্রতিনিধি
ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার অভিযোগে অভিযুক্ত কক্সবাজারের রামু সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ হোছাইনের শাস্তি ও অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী ছাত্রীর সহপাঠীরা কলেজ চলাকালে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কবিতা চত্বর এলাকা থেকে ওই শিক্ষককে হাতেনাতে ধরেন। পরে জেলা বার সমিতি ভবনে এক আইনজীবীর সামনে নন-জুড়িশিয়াল স্ট্যাম্পে মুচলেকা দিয়ে তিনি ছাড়া পান।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মোশারেফা খানম আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘স্যারের হাতেই যদি আমরা নিরাপদ না থাকি, তাহলে কলেজে আসব কীভাবে? আমরা নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন চাই। যৌন হয়রানিকারী শিক্ষকের শাস্তি চাই।’
কলেজ শিক্ষার্থী আশেক উল্লাহ বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেও যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। ঘটনা জানাজানি হলে তিনি মাফ চেয়ে পার পেয়ে যান। এবার আমরা মানব না। ওনার শাস্তি না হলে প্রয়োজনে আন্দোলনে যাব।’
সাজ্জাদুর রহমান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলে, ‘এ রকম ঘটনা যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য অভিযুক্ত শিক্ষককে উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হোক।’
কলেজের আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আকতার জাহান কাকলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই লজ্জাজনক ও দুঃখজনক। এতে আমরা খুবই বিব্রতবোধ করছি।’
কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবদুল হক বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনার পর থেকে আমরা লজ্জায় কাউকে মুখ দেখাতে পারছি না। আশা করি অধ্যক্ষ মহোদয় বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ধরনের নৈতিক স্খলনজনিত ঘটনায় ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলেজ শিক্ষার্থীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার কলেজে ৭ মার্চের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ হোছাইন কর্মসূচিতে অংশ না নিয়ে দুপুরে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কবিতা চত্বর এলাকায় যান। সেখানে এক শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনে যেতে বলেন। এ খবরটি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাঁর সহপাঠীদের জানান। পরে ঝাউবাগানের ভেতর থেকে ভুক্তভোগীর ১৫-২০ জন সহপাঠী মোহাম্মদ হোছাইনকে ধরে কক্সবাজার আদালতপাড়ায় আইনজীবী মোহাম্মদ রেজাউল করিম কাজলের চেম্বারে নিয়ে আসেন। সেখানে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি।
এর আগে ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেছিলেন, ১০-১২ দিন আগে ওই শিক্ষক মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে বিভিন্ন সময় তাঁকে ফোন ও ভিডিও কল দিতেন। বিষয়টি তিনি সহপাঠী ও তাঁর মা-বাবাকে জানান। পরে সহপাঠীদের পরিকল্পনা করে শিক্ষককে হাতেনাতে ধরেন।
এর আগে, গত ১১ অক্টোবর কলেজের উন্নয়ন প্রকল্পের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আইসিটি শিক্ষক আকতার জাহানকে অধ্যক্ষের কক্ষে মারতে তেড়ে যান মোহাম্মদ হোছাইন। এমন অভিযোগে আকতার জাহান রামু থানায় লিখিত অভিযোগও করেন।
ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার অভিযোগে অভিযুক্ত কক্সবাজারের রামু সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ হোছাইনের শাস্তি ও অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী ছাত্রীর সহপাঠীরা কলেজ চলাকালে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কবিতা চত্বর এলাকা থেকে ওই শিক্ষককে হাতেনাতে ধরেন। পরে জেলা বার সমিতি ভবনে এক আইনজীবীর সামনে নন-জুড়িশিয়াল স্ট্যাম্পে মুচলেকা দিয়ে তিনি ছাড়া পান।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মোশারেফা খানম আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘স্যারের হাতেই যদি আমরা নিরাপদ না থাকি, তাহলে কলেজে আসব কীভাবে? আমরা নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন চাই। যৌন হয়রানিকারী শিক্ষকের শাস্তি চাই।’
কলেজ শিক্ষার্থী আশেক উল্লাহ বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেও যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। ঘটনা জানাজানি হলে তিনি মাফ চেয়ে পার পেয়ে যান। এবার আমরা মানব না। ওনার শাস্তি না হলে প্রয়োজনে আন্দোলনে যাব।’
সাজ্জাদুর রহমান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলে, ‘এ রকম ঘটনা যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য অভিযুক্ত শিক্ষককে উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হোক।’
কলেজের আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আকতার জাহান কাকলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই লজ্জাজনক ও দুঃখজনক। এতে আমরা খুবই বিব্রতবোধ করছি।’
কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবদুল হক বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনার পর থেকে আমরা লজ্জায় কাউকে মুখ দেখাতে পারছি না। আশা করি অধ্যক্ষ মহোদয় বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ধরনের নৈতিক স্খলনজনিত ঘটনায় ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলেজ শিক্ষার্থীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার কলেজে ৭ মার্চের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ হোছাইন কর্মসূচিতে অংশ না নিয়ে দুপুরে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কবিতা চত্বর এলাকায় যান। সেখানে এক শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনে যেতে বলেন। এ খবরটি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাঁর সহপাঠীদের জানান। পরে ঝাউবাগানের ভেতর থেকে ভুক্তভোগীর ১৫-২০ জন সহপাঠী মোহাম্মদ হোছাইনকে ধরে কক্সবাজার আদালতপাড়ায় আইনজীবী মোহাম্মদ রেজাউল করিম কাজলের চেম্বারে নিয়ে আসেন। সেখানে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি।
এর আগে ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেছিলেন, ১০-১২ দিন আগে ওই শিক্ষক মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে বিভিন্ন সময় তাঁকে ফোন ও ভিডিও কল দিতেন। বিষয়টি তিনি সহপাঠী ও তাঁর মা-বাবাকে জানান। পরে সহপাঠীদের পরিকল্পনা করে শিক্ষককে হাতেনাতে ধরেন।
এর আগে, গত ১১ অক্টোবর কলেজের উন্নয়ন প্রকল্পের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আইসিটি শিক্ষক আকতার জাহানকে অধ্যক্ষের কক্ষে মারতে তেড়ে যান মোহাম্মদ হোছাইন। এমন অভিযোগে আকতার জাহান রামু থানায় লিখিত অভিযোগও করেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
৪১ মিনিট আগেধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় নগরীর কাঁচিঝুলি আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত হয়।
১ ঘণ্টা আগেবাগেরহাটের বিশ্বঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের জামাত উপলক্ষে আজ শনিবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা মসজিদের প্রাঙ্গণে ভিড় জমাতে থাকেন।
১ ঘণ্টা আগেযশোরের মনিরামপুরে একটি মাছের ঘেরের হাঁটুপানি থেকে এক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়নের বাহিরডাঙ্গা এলাকার নিজেদের মাছের ঘের থেকে থানা-পুলিশ যুবকের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
১ ঘণ্টা আগে