নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
বন্ধুর কাছ থেকে ক্যামেরা ধার নিয়ে বিভিন্ন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে ফটোগ্রাফি করতেন নিহত শাওন বড়ুয়া (২৩)। এই ফটোগ্রাফিই তাঁর জীবনের কাল হয়েছে। খুনিরা ওয়েডিং ফটোগ্রাফির কথা বলে প্রথমে তাঁকে ভাড়া করে। পরে নির্জন স্থানে নিয়ে তাঁর ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ক্যামেরা বাঁচাতে শাওনের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তাঁকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
ওই খুনের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তারের পর আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে গ্রেপ্তারকৃতদের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি শাওনের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া একটি ডিজিটাল ক্যামেরা, একটি ক্যামেরার লেন্স, দুটি ফ্লাশ লাইট ও তিনটি ক্যামেরার ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল, একটি সিএনজি অটোরিকশা ও দুইটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—চান্দগাঁও থানার পশ্চিম মোহরা এলাকার দিদারুল আলমের ছেলে ইমতিয়াজ আলম মুরাদ (২১), একই এলাকার নুরুল আবছারের ছেলে আশহাদুল ইসলাম ইমন (২৪), নুরুল আমিনের ছেলে তৌহিদুল আলম (২৩), কাপ্তাই রাস্তার মাথার মো. সেলিমের ছেলে মো. বাহার (২২) ও কুমিল্লা জেলার আবুল কাশেমের ছেলে মো. আলমগীর (৩০)।
নিহত শাওন সাতকানিয়া উপজেলার বাজারিয়া ইউনিয়নের শীলঘাটা গ্রামের দীপু বড়ুয়ার ছেলে। তিনি নগরীর নাসিরাবাদের ওমরগণি মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি (এমইএস) কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ওয়েডিং ফটোগ্রাফির কাজ করতেন। নগরের বহদ্দারহাটে থাকতেন শাওন। এই খুনের ঘটনায় নিহতের বাবা টিপু বড়ুয়া বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চান্দগাঁও থানাধীন অনন্যা আবাসিক এলাকা থেকে শাওনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আগের দিন সোমবার রাতে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি করতে বেরিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। যে এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয় সেটা আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিত হলেও সেখানে কোনো অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। তাই এলাকাটি নির্জন। আর ক্যামেরাকে কেন্দ্র করে নির্মম এ হত্যাকাণ্ড সেখানেই সংঘটিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার পঙ্কজ চক্রবর্তী বলেন, ‘ঘটনাটি ছিনতাই হলেও এটা একটা স্পেশাল অপরাধ ছিল। কারণ ছিনতাইকারীরা শুধু ভুক্তভোগীর ক্যামেরা ও ক্যামেরার সঙ্গে আনুষঙ্গিক জিনিস নিয়ে গিয়েছিল। অন্য কিছু নিয়ে যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্যামেরাটি শাওনের এক বন্ধুর ছিল। তাই ঘটনার সময় ক্যামেরাটি সে দিতে চায়নি। এ জন্য ছিনতাইকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেছিল। এতে তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাঁর মাথা, শরীর, উরুসহ বিভিন্ন অংশে অন্তত সাতটি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে তাঁকে ফেলে আসামিরা ক্যামেরা নিয়ে পালিয়ে যায়।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘একটি ফেসবুক পেজের সূত্র ধরে শাওনের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে চক্রটি। সোমবার রাত সাড়ে আটটায় চান্দগাঁও থানাধীন কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় একটি গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফির কথা বলে শাওনকে ভাড়া করে তারা। এ জন্য মিনিমাম একটা অ্যামাউন্ট দেওয়া হয়। পরে তাঁকে চান্দগাঁও বাইর সিগন্যাল এলাকা থেকে অনন্যা আবাসিক এলাকায় নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে তাঁরা মূলত বিভিন্ন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে কাজ করা ফটোগ্রাফারদের টার্গেট করে থাকে। চক্রটির কেউ কেউ ফটোগ্রাফিও করেন। মূলত তাঁদের টার্গেট ক্যামেরা নিয়ে ফেলা। পরে তা বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে দিত। তাঁরা ফটোগ্রাফারদের নম্বর বিভিন্ন ফেসবুক পেজ থেকে কালেকশন করত।’
আসামিদের কাছ থেকে জব্দকৃত একটি মোবাইলে বহু ফটোগ্রাফারদের নম্বর পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছবেদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
বন্ধুর কাছ থেকে ক্যামেরা ধার নিয়ে বিভিন্ন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে ফটোগ্রাফি করতেন নিহত শাওন বড়ুয়া (২৩)। এই ফটোগ্রাফিই তাঁর জীবনের কাল হয়েছে। খুনিরা ওয়েডিং ফটোগ্রাফির কথা বলে প্রথমে তাঁকে ভাড়া করে। পরে নির্জন স্থানে নিয়ে তাঁর ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ক্যামেরা বাঁচাতে শাওনের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তাঁকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
ওই খুনের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তারের পর আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে গ্রেপ্তারকৃতদের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি শাওনের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া একটি ডিজিটাল ক্যামেরা, একটি ক্যামেরার লেন্স, দুটি ফ্লাশ লাইট ও তিনটি ক্যামেরার ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল, একটি সিএনজি অটোরিকশা ও দুইটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—চান্দগাঁও থানার পশ্চিম মোহরা এলাকার দিদারুল আলমের ছেলে ইমতিয়াজ আলম মুরাদ (২১), একই এলাকার নুরুল আবছারের ছেলে আশহাদুল ইসলাম ইমন (২৪), নুরুল আমিনের ছেলে তৌহিদুল আলম (২৩), কাপ্তাই রাস্তার মাথার মো. সেলিমের ছেলে মো. বাহার (২২) ও কুমিল্লা জেলার আবুল কাশেমের ছেলে মো. আলমগীর (৩০)।
নিহত শাওন সাতকানিয়া উপজেলার বাজারিয়া ইউনিয়নের শীলঘাটা গ্রামের দীপু বড়ুয়ার ছেলে। তিনি নগরীর নাসিরাবাদের ওমরগণি মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি (এমইএস) কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ওয়েডিং ফটোগ্রাফির কাজ করতেন। নগরের বহদ্দারহাটে থাকতেন শাওন। এই খুনের ঘটনায় নিহতের বাবা টিপু বড়ুয়া বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চান্দগাঁও থানাধীন অনন্যা আবাসিক এলাকা থেকে শাওনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আগের দিন সোমবার রাতে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি করতে বেরিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। যে এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয় সেটা আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিত হলেও সেখানে কোনো অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। তাই এলাকাটি নির্জন। আর ক্যামেরাকে কেন্দ্র করে নির্মম এ হত্যাকাণ্ড সেখানেই সংঘটিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার পঙ্কজ চক্রবর্তী বলেন, ‘ঘটনাটি ছিনতাই হলেও এটা একটা স্পেশাল অপরাধ ছিল। কারণ ছিনতাইকারীরা শুধু ভুক্তভোগীর ক্যামেরা ও ক্যামেরার সঙ্গে আনুষঙ্গিক জিনিস নিয়ে গিয়েছিল। অন্য কিছু নিয়ে যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্যামেরাটি শাওনের এক বন্ধুর ছিল। তাই ঘটনার সময় ক্যামেরাটি সে দিতে চায়নি। এ জন্য ছিনতাইকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেছিল। এতে তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাঁর মাথা, শরীর, উরুসহ বিভিন্ন অংশে অন্তত সাতটি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে তাঁকে ফেলে আসামিরা ক্যামেরা নিয়ে পালিয়ে যায়।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘একটি ফেসবুক পেজের সূত্র ধরে শাওনের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে চক্রটি। সোমবার রাত সাড়ে আটটায় চান্দগাঁও থানাধীন কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় একটি গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফির কথা বলে শাওনকে ভাড়া করে তারা। এ জন্য মিনিমাম একটা অ্যামাউন্ট দেওয়া হয়। পরে তাঁকে চান্দগাঁও বাইর সিগন্যাল এলাকা থেকে অনন্যা আবাসিক এলাকায় নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে তাঁরা মূলত বিভিন্ন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে কাজ করা ফটোগ্রাফারদের টার্গেট করে থাকে। চক্রটির কেউ কেউ ফটোগ্রাফিও করেন। মূলত তাঁদের টার্গেট ক্যামেরা নিয়ে ফেলা। পরে তা বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে দিত। তাঁরা ফটোগ্রাফারদের নম্বর বিভিন্ন ফেসবুক পেজ থেকে কালেকশন করত।’
আসামিদের কাছ থেকে জব্দকৃত একটি মোবাইলে বহু ফটোগ্রাফারদের নম্বর পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছবেদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় শাকুয়াই ইউনিয়নের প্রান্তিক নারী উপকারভোগীদের (ভিডব্লিউবি) মাঝে চাল বিতরণ করছে। মঙ্গলবার প্রতিজন উপকারভোগীকে তিন বস্তা করে চাল দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, কিছু ব্যবসায়ী ওই চাল উপকারভোগীদের কাছ থেকে কিনে মজুদ করছেন।
১ মিনিট আগেগোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরকারি চাল দেখতে পান। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ইউএনওকে অবহিত করলে তিনি সেখানে গিয়ে প্রথমে ৩০ বস্তা পরে আরও ৮৭ বস্তাসহ মোট ১১৭ বস্তা চাল জব্দ করেন এবং জামতৈল ইউনিয়ন পরিষদে তা সংরক্ষণ করা হয়।
৪ মিনিট আগেবঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে উপজেলার গ্রীষ্মকালীন সবজি, আউশ ধানের বীজতলা ও রোপা আউশ ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেউত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের প্রধান সড়ক রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক। এ মহাসড়কের রংপুরের পাগলাপীর থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশ এখন পথচারী ও যানবাহনের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। হাজারো গর্তে ভরা এই মহাসড়কে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। ভোগান্তির শেষ নেই যাত্রী ও চালকদের।
৫ ঘণ্টা আগে